ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

ইইউবিতে শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ১৪ আগস্ট ২০২০, ২২:০১

ইইউবিতে শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা

স্বাধীনতার স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাতবার্ষিকী যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মাধ্যমে পালনের উপলক্ষে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ ২ দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।

এ কর্মসূচির আওতায় ভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাসের সেমিনার কক্ষে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইইউবির রেজিস্ট্রার মুক্তিযোদ্ধা এ.এফ.এম গোলাম হোসেন।

তিনি বলেন ‘বাঙালির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ঘটনা মুক্তিযুদ্ধ, সবচেয়ে সফলতম প্রাপ্তি স্বাধীনতা আর সবচেয়ে বড় ট্রাজেডি হলো বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করা।’

আলোচনায় বঙ্গবন্ধু রাজনৈতিক ত্যাগের কথা উঠে আসে। আলোচনায় অংশ নেন ইইউবির প্রক্টর মুক্তিযোদ্ধা ড. কাজী বজলুর রহমান, উপদেষ্টা ও ইংরেজি বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ নূরুল হুদা, সিভিল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদ, ইইই বিভাগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ড. হযরত আলিসহ আরও অনেকে।

বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতির সংগ্রামের দিক আলোচনা করে ড. কাজী বজলুর রহমান আলোচনা সভায় উপস্থিতজনেদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘১৯৭৫ সালের নারকীয় হত্যাকাণ্ডের পর ষড়যন্ত্র থেমে নেই। সমস্ত ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে আপনারা দেশকে ভালোবাসুন। দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রকে রুখে দিন।’

ইউবির উপাচার্য মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ড. মকবুল আহমেদ খান আলোচনায় সভায় সমাপনী বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, ‘১৯৭১ এর আগে বাঙালি জাতি কোনদিন স্বাধীন ছিল না। এ জাতি কোনদিন কোন বিষয়ে একমত হতে পারেনি এবংএর আগে কোনদিন মুক্তিও আসেনি। বঙ্গবন্ধু একমাত্র নেতা যিনি বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে পেরেছিলেন।’

সভা সঞ্চালনা করেন ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডীন ড. ফারজানা আলম। অনুষ্ঠানের তত্বাবধায়কের দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি। অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ছিল বঙ্গবন্ধুর জীবন ও সংগ্রামের তথ্যচিত্র প্রদর্শন, সংঙ্গীত পরিবেশন।

এছাড়া বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু পরিবারের নিহত সদস্য ও স্বজনদের রূহের মাগফেরাত কামনা করা হয়।

বঙ্গবন্ধুকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ প্রমিত বাঙালি বলে উল্লেখ করে একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি মোহাম্মদ নূরুল হুদা বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতাকে নিয়ে লেখা স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন।

উল্লেখ্য, ১৫ আগস্ট ভার্সিটি চত্বরে সূর্যদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত