প্রকাশ : ১৩ জানুয়ারি ২০২১, ১২:১৫
প্রাথমিক শিক্ষকদের টাইমস্কেল, আশার বাণী ডিপিই মহাপরিচালকের
প্রাথমিক শিক্ষকদের কয়েকটি দাবির বিষয়ে আশার বাণী শুনিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) মহাপরিচালক আলমগীর মোহাম্মদ মনসুরুল আলম।
|আরো খবর
জানা যায়, শিক্ষকদের (চাকরি শর্তাদি নির্ধারণ) বিধিমালা এসআরও নম্বর ৩১৫ আইন ২০১৩ প্রণয়ন করে গেজেট প্রকাশের পর ২০১৪ সালের জুন মাস থেকে বেতন-ভাতা, টাইম স্কেলসহ অন্যান্য আর্থিক সুবিধাদি শিক্ষকরা পাচ্ছিলেন। তবে, বিধিমালার ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে অর্থমন্ত্রণালয় ২০২০ সালের আগস্টে একটি পরিপত্র জারি করে টাইমস্কেল বাতিল করে অর্থ ফেরত নেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়।
এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে শিক্ষক কল্যাণ সমিতি। সেখানে শিক্ষকদের টাইমস্কেল বহাল রাখাসহ তিনটি দাবির কথা সরকারকে জানিয়েছেন শিক্ষক নেতারা। এমনকি এই তিন দাবি না মানলে কঠোর আন্দোলনেরও হুঁশিয়ারি দেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ২২ জানুয়ারির মধ্যে এসব দাবি আদায় না হলে ২৪ জানুয়ারি দেশের সব জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বরাবর স্মারকলিপি দেয়া হবে। পরে একই দাবিতে ঢাকায় অবস্থান করে আমরণ অনশন ও বিভিন্ন আন্দোলন কর্মসূচি পালন করা হবে।
দাবিগুলো হল-
১. প্রাথমিক শিক্ষকদের ৫০ শতাংশ কার্যকর চাকরিকালের ভিত্তিতে টাইমস্কেল বহাল রাখা।
২. ৫০ শতাংশ কার্যকর চাকরিকালের ভিত্তিতে শিক্ষকদের জ্যেষ্ঠতা ও পদোন্নতি দেওয়া।
৩. অধিগ্রহণ করা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এসএমসি তৈরি করা প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের নাম গেজেটে অন্তর্ভুক্ত করা।
বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মুনছুর আলী বলেন, ‘অর্থমন্ত্রণালয়ের এ নির্দেশনার কারণে ৫০ হাজার শিক্ষক ও তাদের পরিবারের স্বচ্ছলতা হুমকির মুখে পড়ে। এই সিদ্ধান্তে আমরা হতাশ। তাদের এই সিদ্ধান্তের কারণে জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক শিক্ষকরা জ্যেষ্ঠতা, পদোন্নতি ও টাইমস্কেল থেকে সম্পূর্ণভাবে বঞ্চিত হচ্ছে। এটি চূড়ান্ত রকমের অমানবিক সিদ্ধান্ত।’
সম্প্রতি এ দাবির বিষয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন ডিপিই মহাপরিচালক আলমগীর মোহাম্মদ মনসুরুল আলম। সেখানে তিনি বলেন, ‘শিক্ষকদের এই দাবির বিষয়গুলো আমরা জানি। এ ব্যাপারে তারা যদি কথা বলতে চায় আমরা কথা বলতে রাজি আছি। আমরা অবশ্যই তাদের দাবি ন্যয্যতার সঙ্গে বিবেচনা করে দেখব।’
বাংলাদেশ জার্নাল/কেআই/ওয়াইএ