ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১২ মিনিট আগে
শিরোনাম

এনটিআরসিএর সিদ্ধান্তে অনিশ্চয়তায় দুই হাজার চাকরি প্রার্থী

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১১:২৩

এনটিআরসিএর সিদ্ধান্তে অনিশ্চয়তায় দুই হাজার চাকরি প্রার্থী

এনটিআরসিএর সিদ্ধান্তের কারণে অনিশ্চয়তায় পড়েছেন দুই হাজার চাকরি প্রার্থী। নিয়োগের ঠিক আগ মুহূর্তে এনটিআরসিএ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করায় তারা এই অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন। এদের মধ্যে অনেকের আবার চাকরির বয়সও শেষ হয়ে গেছে।

রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন এসব চাকরি প্রার্থীরা। মানববন্ধন শেষে সংবাদ সম্মেলনে তারা তাদের হতাশা ও অনিশ্চিত জীবনের কথা তুলে ধরেন। একইসঙ্গে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে তাদের নিয়োগ প্রদানের জন্য এনটিআরসিএ’র প্রতি অনুরোধ জানান।

সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, আমরা ৬ মাস মেয়াদি ডিপ্লোমা কোর্সধারী নিবন্ধিত সহকারী শিক্ষক (আইসিটি)। ১৯/১২/২০১৮ সালের ১০ ডিসেম্বর এনটিআরসিএ কর্তৃক জারিকৃত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুসারে অনলাইনে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক আবেদন করি আমরা।

আবেদনকারীদের জাতীয় মেধা তালিকা অনুসারে সকল প্রকার যাচাই বাছাই শেষে গত ২৪ জানুয়ারি ফলাফল প্রকাশ করে। একইসঙ্গে সফলভাবে উত্তীর্ণ আবেদনকারীদের মেধাতালিকা অনুসারে নির্দিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের জন্য সুপারিশপত্র প্রদান করে।

সুপারিশপত্রের মাধ্যমে জানানো হয়, উত্তীর্ণ আবেদনকারীদের চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্ধারিত প্রতিষ্ঠানে যোগদান করতে হবে। আর যদি ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে যোগদান না করে তবে উক্ত পদ শুন্য হয়ে যাবে।

সুপারিশপত্র পাওয়ার পর আমরা স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানে যোগদানের জন্য যাই। কিন্তু ইতোমধ্যে গত ২৭ জানুয়ারি এনটিআরসিএ বিশেষ ঘোষণার মাধ্যমে ৬ মাস ডিপ্লোমা কোর্সধারী নিবন্ধিত সহকারী শিক্ষকদের (আইসিটি) যোগদানপত্র না নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের প্রতি আদেশ জারী করেন।

এর ফলে আমরা বার বার প্রতিষ্ঠানের প্রধানের সাথে যোগাযোগ করেও কোন সুরাহা পাচ্ছি না। এরপর আমরা এনটিআরসির চেয়ারম্যানকে আমাদের বিষয়টি অবগত করে চিঠি দেই, কিন্তু চিঠির কোন প্রতি উত্তর না পেয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, উপ শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী বরাবর চিঠি দিয়েছি।

এতে বলা হয়, এক এক সময় এনটিআরসিএ এক এক নিয়ম তৈরি করছে। সকল ক্ষেত্রে বলা হচ্ছে এম.পি.ও নীতিমালা-২০১৮ অনুসরণ করতে। এখানে উল্লেখ থাকে যে এম.পি.ও নীতিমালা- ২০১৮, ১ থেকে ১২তম নিবন্ধনধারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। এছাড়া হাইকোর্ট ৬ মাস মেয়াদী কম্পিউটার ডিপ্লোমা কোর্সধারীদের সনদের বৈধতা দিয়েছেন।

তারা আরো বলেন, এখন বিভিন্ন তালবাহানা দেখিয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষকগণ আমাদের নিয়োগপত্র নিচ্ছেন না, ফলে আমরা কাজে যোগদান করতে পারছি না। যোগাদন করতে না পেরে আমরা হতাশায় দিন পার করছি। এছাড়া আমাদের বেশিরভাগের সরকারি চাকরির বয়সসীমাও শেষ হয়ে গেছে।

এ অবস্থায় আমাদের বিষয়টি মানবিক দিক থেকে বিবেচনা করার জন্য আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শিক্ষামন্ত্রীসহ এনটিআরসিএ চেয়ারম্যানের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওয়াইএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত