ঢাকা, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

১৫তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার প্রস্তুতি

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ২১ মার্চ ২০১৯, ১০:৫৯  
আপডেট :
 ২১ মার্চ ২০১৯, ১১:০৯

১৫তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার প্রস্তুতি

১৫তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। গত সোমবার এনটিআরসিএর এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ সূচি প্রকাশ করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ১৯ এপ্রিল সকাল ১০টা থেকে ১১টায় স্কুল ও স্কুলপর্যায়-২ এবং একই দিন বিকাল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত কলেজপর্যায়ের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া ২৬ জুলাই সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত স্কুল ও স্কুলপর্যায়-২ এবং পর দিন ২৭ জুলাই সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কলেজপর্যায়ের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, আবেদনকারী সব প্রার্থীর প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রবেশপত্র যথাসময়ে http://ntrca.teletalk.com.bd ও http://www.ntrca.gov.bd/ এই ওয়েবসাইটে আপলোড করে টেলিটক থেকে এসএমএস পাঠিয়ে প্রার্থীদের অবহিত করা হবে।

প্রার্থীগণ উল্লিখিত ওয়েবসাইট থেকে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। প্রবেশপত্রে পরীক্ষার ভেন্যু, তারিখ ও সময় উল্লেখ থাকবে।

প্রসঙ্গত, দেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের জন্য গত বছরের ২৮ নভেম্বর ১৫তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ।

এমসিকিউ পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ভালো করতে চাইলে কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। আসুন জেনে নেই পরীক্ষায় ভালো করার উপায়গুলো-

পরীক্ষার ধরণ: এতে প্রার্থীদের ১০০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। পরীক্ষার সময় ১ ঘণ্টা। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় পাস করতে হলে ৪০ নম্বর পেতে হবে। প্রতি শুদ্ধ উত্তরের জন্য এক নম্বর দেওয়া হবে। ভুল উত্তরের জন্য প্রাপ্ত মোট নম্বর থেকে ০.৫০ নম্বর কাটা হবে। এমসিকিউ পদ্ধতিতে বাংলা, ইংরেজি, সাধারণ গণিত ও সাধারণ জ্ঞান বিষয়ে প্রশ্ন করা হবে। প্রতি বিষয়ে ২৫ নম্বর করে বরাদ্দ থাকবে।

বাংলা: স্কুল পর্যায়ের জন্য বাংলা অংশে ভালো করতে হলে ব্যাকরণে জোর দিতে হবে। ব্যাকরণের প্রায় প্রতিটি অধ্যায় থেকে এক থেকে দুটি প্রশ্ন আসে। এসব অধ্যায়গুলোর মধ্যে ভাষারীতি ও বিরাম চিহ্নের ব্যবহার, বাগধারা ও বাগবিধি, ভুল সংশোধন বা শুদ্ধকরণ, অনুবাদ, সন্ধিবিচ্ছেদ, কারক, বিভক্তি, সমাস ও প্রত্যয়, সমার্থক ও বিপরীতধর্মী শব্দ, বাক্য সংকোচন, লিঙ্গ পরিবর্তন অধ্যায়গুলো ভালোভাবে জানতে হবে। কলেজ পর্যায়ের জন্য পড়তে হবে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যবইগুলো। এসব বইয়ের গদ্য ও পদ্যের লেখক পরিচিতি সম্পর্কে জানা থাকলে ভালো করা যাবে। বিগত বছরের শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার প্রশ্নের সমাধান করলেও ভালো একটি অভিজ্ঞতা হবে।

ইংরেজি: ইংরেজি বিষয়ে বেশি করে পড়তে হবে গ্রামারের খুঁটিনাটি। এ অংশে ভালো করতে হলে গ্রামার অংশকে গুরুত্ব দিতে হবে। ইংরেজির জন্যও আপনি একটি দিকদর্শন প্রকাশনীর বই থেকে অনুশীলন করলে ভালো একটি ধারণা পেয়ে যাবেন। এখানে গ্রামারের ওপর সহজভাবে আলোকপাত করা আছে। গ্রামার অংশ থেকেই স্কুল ও কলেজ উভয় পর্যায়েই প্রশ্ন আসে। Completing Sentences, Translation from Bengali to English, Change of Parts of Speech, Right Forms of Verb, Fill in the Blanks with Appropriate Word, Transformation of Sentences, Synonyms and Antonyms, Idioms and Phrases, Article— এ অধ্যায়গুলোর ওপর ধারণা থাকতে হবে।

সাধারণ গণিত: গণিতে ভালো করতে হলে সপ্তম থেকে দশম শ্রেণির বইগুলো বারবার চর্চা করতে হবে। পাটিগণিত থেকে লসাগু, গসাগু, ঐকিক নিয়ম, শতকরা, সুদকষা, লাভ-ক্ষতি, অনুপাত-সমানুপাত— এসব অধ্যায় ভালো করে চর্চা করলে প্রশ্ন পাওয়া যাবে। বীজগণিতের জন্য করতে হবে উৎপাদক, বর্গ ও ঘণ-সংবলিত সূত্রগুলো ও প্রয়োগ, গসাগু, সূচক, লগারিদম— এসব অধ্যায় থেকে প্রতিবছরই প্রশ্ন থাকে। জ্যামিতির জন্য রেখা, কোণ, ত্রিভুজ, চতুর্ভুজ, ক্ষেত্রফল ও বৃত্ত অধ্যায়গুলো আয়ত্তে রাখা দরকার। কলেজ পর্যায়ের জন্য পড়তে হবে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির বই। বিগত বছরগুলোর বিসিএস প্রশ্ন ও শিক্ষক নিবন্ধন প্রশ্নগুলো বারবার চর্চা করলেও ভালো করা যাবে। প্রতিটি উত্তর দেওয়ার ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে।

সাধারণ জ্ঞান: এ অংশে ভালো করতে হলে নিয়মিত পত্রিকা পড়া, দেশি-বিদেশি সমসাময়িক খবরগুলো নিজের আয়ত্তে আনতে হবে। বিজ্ঞান, তথ্য ও প্রযুক্তি, পরিবেশ এবং রোগব্যাধি সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। বাংলাদেশ অংশে বাংলাদেশের ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ, জলবায়ু, সংস্কৃতি, খেলাধুলা, বিভিন্ন জেলার আয়তন, অর্থনীতি প্রভৃতি সম্পর্কে অবগত থাকতে হবে। আন্তর্জাতিক অংশের জন্য বিভিন্ন দেশের মুদ্রা, দিবস, পুরস্কার ও সম্মাননা, সাম্প্রতিক ঘটনা— এসব থেকে দুই থেকে চারটি প্রশ্ন পাওয়া যেতে পারে। এছাড়া বাজারে সাধারণ জ্ঞানের বিভিন্ন প্রকাশনীর বই পড়লেও ভালো করা যাবে। এছাড়া প্রিলিমিনারি পরীক্ষা সহায়িকা বাজার থেকে কিনে পড়ে নিতে পারেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত