ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

প্রাথমিক নিয়োগ পরীক্ষার পাশ মার্কস কত?

প্রাথমিক নিয়োগ পরীক্ষার পাশ মার্কস কত?

প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগের চার ধাপে সম্পন্ন হলো। ‍তবে পরীক্ষার্থীদের আলোচনার একমাত্র ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে এবারের প্রাথমিক নিয়োগ পরীক্ষার কাট মার্কস কত হবে? এ নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা-কল্পনা। আগে পরীক্ষার প্রশ্ন কেমন হবে তা নিয়ে নির্ঘুম রজনী কাটলেও এবার উপদ্রব হয়ে হাজির হলো কাট মার্কস।

প্রশ্নপত্র বিশ্লেষণ, পরীক্ষার্থীর সংখ্যা, বিগত কয়েকটি প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা পর্যালোচনা করে কেউ মনে করছেন কাট মার্কস ৬৫ হতে পারে, আবার কেউ বলছেন ৬০ থেকে ৬৫ নম্বরের মধ্যে থাকলেই চলবে। তবে বিষয়টি ধারণা মাত্র।

৮০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় (এমসিকিউ) প্রতিটি শুদ্ধ উত্তরের জন্য এক নম্বর এবং প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর জানায়, গত বছরের ১ আগস্ট থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত অনলাইনে ২৪ লাখের বেশি আবেদন জমা পড়েছে। ১৩ হাজার পদের বিপরীতে এসব আবেদন জমা পড়ে।

অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তার সাথে কথা বলে জানা যায়, এবার বুয়েটের বিশেষ সফটওয়ার ব্যবহার করে পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের সেট সাজানো হয়। প্রশ্ন প্রণয়নে সাধারণ মান রক্ষা করা হয়েছে। প্রশ্নের মান যেহেতু মধ্যম পর্যায়ে রাখা হয়েছে সুতরাং কাট মার্কসও ৬০ এর উপরে হতে পারে বলে জানান তারা।

শামীম জামান নামে এক কর্মকর্তা জানান, এই ধরণের নিয়োগ পরীক্ষায় নির্দিষ্ট কোন কার্ট মার্কস বা পাশ মার্ক থাকে না। বরং ১৩ হাজার পদের বিপরীতে অধিদপ্তর সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্ত একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক পরীক্ষার্থীকে মৌখিক পরীক্ষার সুযোগ দিবেন। অনেকে মনে করেন, সর্বনিম্ন যে নম্বর পেয়ে ওই বাছাইকৃতদের তালিকায় স্থান পাওয়া যায় তা হলো— কাট মার্কস।

বিগত কয়েক বছরের প্রাথমিকের নিয়োগ পরীক্ষা পর্যবেক্ষণ করেছেন প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক রফিকউদ্দীন মাসুদ। তিনি জানান, বিগত বছরের চেয়ে এবারের প্রশ্ন বলা চলে একটু সাধারণ মানের করা হয়েছে। সুতরাং মোটামুটি সবাই ভালো পরীক্ষা দিয়েছেন। প্রাথমিক নিয়োগ পরীক্ষার পাশ মার্কস কত? তাই কাট মার্কসও একটু বেশি হবে। এছাড়া এটিও বলা বাহুল্য, এমসিকিউ প্রশ্নের বৃত্ত বরাট করতে গিয়ে অনেকে কমন কিছু ভুল করে বসেন। তাই পরীক্ষার হলে বেশ ভালো করলেও তাদের কিছু নম্বর কাটা যাবে। তাই কাট মার্কস ৬৫ থেকে ৭০ এর মধ্যে থাকবে।

একাধিক পরীক্ষার্থী জানান, প্রশ্ন তুলনামূলক সহজ হয়েছে। তারপরও যেহেতু প্রতিযোগী সংখ্যা ২৪ লাখেরও বেশি; তাই যোগ্য ও দক্ষরাই টিকবে।

প্রসঙ্গত, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রাজস্ব খাতভুক্ত সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০১৮ এর লিখিত পরীক্ষা চার ধাপে পর্যায়ক্রম ২৪ মে, ৩১ মে, ১৪ জুন ও ২১ জুন সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত