ঢাকা, শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

স্কুলে না গিয়েই ‌‘ক্লাস’ করেন প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষক

স্কুলে না গিয়েই ‌‘ক্লাস’ করেন প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষক

শিশু শিক্ষার্থীদের দিয়ে সিগারেট আনিয়ে খাওয়া, নিয়মিত স্কুলে না যাওয়া, তার পরিবর্তে বহিরাগতকে দিয়ে দায়িত্ব পালন করানোসহ নানা অভিযোগ উঠেছে জয়পুরহাট ক্ষেতলালের জিয়াপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ওয়াদুদ ফারুকের বিরুদ্ধে।

জানা গেছে, অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতির দায়িত্বে থাকায় কাউকে তোয়াক্কা না করেই এসব অনিয়ম করে যাচ্ছেন।

অভিভাবকরা জানান, স্কুলে পাঠদান ভালো না হওয়ায় আশপাশের বেসরকারি, প্রি-ক্যাডেট স্কুলে ছেলেমেয়েদের ভর্তি করাচ্ছেন স্থানীয়রা।

সরেজমিনে জানা যায়, চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রধান শিক্ষক অবসরে যাওয়ার পর ওয়াদুদ ফারুক ১ মার্চ ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব নেন। তারপর থেকে এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠছে। প্রধান শিক্ষকের অব্যবস্থাপনা, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের দিয়ে সিগারেট-ভাত আনানো, ক্লাস রুমে ঘুমানো, স্কুলে নিয়মিত না আসাসহ নানা কারণে এ প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

কয়েক বছর আগে প্রায় পাঁচ’শ শিক্ষার্থী থাকলেও বর্তমানে ১৯১ শিক্ষার্থী নিয়েই চলছে স্কুলের পাঠদান।

স্কুলটির শিশু শিক্ষার্থীরা বলে, ‘ওয়াদুদ স্যার ঠিকমতো ক্লাস করান না, মাঝে মাঝে স্কুলে আসেন, ক্লাসরুমেই তিনি ঘুমিয়ে পাড়েন। আমাদের দিয়ে সিগারেট আনিয়ে খান’।

সভাপতি আকবর হোসেন বলেন, ‘এ বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে। তারপর আর কোনো মিটিং না হওয়ায় নতুন কমিটিও হয়নি। তিনি নিজের ইচ্ছামতো স্কুল চালাচ্ছেন। শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী যা বলেছে তার প্রায় সবই সত্য’।

শিক্ষক ওয়াদুদ ফারুক এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘ছাত্রছাত্রীদের দিয়ে সিগারেট নিয়ে আসা এটা ভিত্তিহীন কথা। স্কুলে নিয়মিত আসি না এটা দেখার জন্য আমার সংশ্লিষ্ট অথরিটি আছে, আমার এখানে অ্যাটেনডেন্স খাতা আছে, আমাদের টিও আছে, এটিও আছে, জেলা শিক্ষা অফিস আছে, কমিটি আছে, এগুলো দেখার তো অনেক লোক আছে। যারা এগুলো বলে সেটা উড়ো কথা’।

ক্ষেতলাল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. নাদিরুজ্জামান বলেন, ‘জিয়াপুর স্কুলে প্যারা শিক্ষিকার ব্যাপারে আমাদের জানা নেই। তার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিষয়টি যদি আমরা অভিযোগ আকারে পাই সরকারি বিধান ও ডিপার্টমেন্টের নিয়ম অনুযায়ী আমরা ঊর্ধ্বতনকে জানাব বা ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুপারিশ করব’।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত