ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

মুজিববর্ষে তারকারা: ‘বঙ্গবন্ধু’ একটা গর্বিত চেতনার নাম

  বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশ : ১৭ মার্চ ২০২০, ১৬:২০  
আপডেট :
 ১৭ মার্চ ২০২০, ১৬:৩৩

মুজিববর্ষে তারকারা: ‘বঙ্গবন্ধু’ একটা গর্বিত চেতনার নাম

বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ইতিহাসে অনন্য এক নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এ দেশের ভৌগলিক স্বাধীনতার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক মুক্তি ও বিকাশের স্বপ্ন দেখতেন তিনি। তাই আজীবন শিল্প ও সাহিত্যের মানুষদের তিনি ভালোবেসেছেন। বাংলাদেশের সংগীতশিল্পী, কবি, সাহিত্যিক, চিত্রশিল্পী, অভিনয় শিল্পীদের সবসময় উৎসাহ দিতেন বঙ্গবন্ধু। এদেশের চলচ্চিত্রের উন্নয়নে আমৃত্যু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন বঙ্গবন্ধু। শুধু তাই নয়, বঙ্গবন্ধু নিজে সিনেমাতে অভিনয়ও করেছেন! ‘সংগ্রাম’ নামের সেই ছবির পরিচালক ছিলেন প্রয়াত নির্মাতা চাষী নজরুল ইসলাম। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ‘সংগ্রাম’ ছবিতে ছোট্ট একটি ভূমিকায় হাজির হয়েছিলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি।

আজ মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মদিন। এদিন থেকে শুরু হয়েছে মুজিববর্ষেরও। বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীর দিন ১৭ মার্চ ২০২০ থেকে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে এ বর্ষ উদযাপন করা হবে। জন্মশত বর্ষের বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হলেও করোনা ভাইরাসজনিত বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে উদযাপন কর্মসূচি সীমিত আকারে হচ্ছে। তবে ভার্চুয়াল জগতে থেমে নেই তাঁকে নিয়ে বাঙালির উচ্ছ্বাস। সমস্ত পেশাজীবী মানুষেরাও বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করছেন বিশেষ এই দিনে।

কুমার বিশ্বজিৎ, সংগীতশিল্পী

একটা স্বাধীন দেশ, পতাকা পেয়েছি বঙ্গবন্ধুর জন্য। তিনিই বাংলাদেশের স্থপতি। তাঁর অবদানের কথা এক কথায় শেষ করা যাবে না। আমাদের অনুপ্রেরণার নাম বঙ্গবন্ধু। এমন মহান নেতা জাতির জন্য গর্বের। জাতির জনক বলতেই একটা পরিপূর্ণ মানুষের ছবি চোখের সামনে চলে আসে। খুব গর্ব সহকারে জাতির জনকের নাম উচ্চারিত হয় বুকের ভেতরে।

রিয়াজ আহমেদ, অভিনেতা

আজকে আমরা স্বাধীনভাবে নিঃশ্বাস নিতে পারছি, স্বাধীনতার সুফল ভোগ করছি শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধুর জন্য। এসব কিছুর মূলে রয়েছেন সেই সাহসী, সেই বিপ্লবী, সেই মহামানব সেই টুঙ্গিপাড়ার খোকা, আমাদের আজকের বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধু আমার কাছে একটা গর্বিত চেতনার নাম, বিশ্বাসের নাম, মুক্তির নাম। বঙ্গবন্ধু একটা পতাকার নাম। যে পতাকার রঙ লাল-সবুজ। বঙ্গবন্ধু হচ্ছেন হাজার বছরের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি। বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ। আমার হৃদয়ের সর্বশ্রেষ্ঠ অনুভূতির নাম বঙ্গবন্ধু।

শাকিব খান, চিত্রনায়ক

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু সব দল মতের ঊর্ধ্বে। বাংলাদেশের জন্য তার অবদান অনেক। বাঙালির জন্য অকাতরে কাজ করে গেছেন। তিনি না থাকলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। জাতির জনককে সবসময় সবকিছুর ঊর্ধ্বে রাখা উচিত। বঙ্গবন্ধুর তুলনা নেই। জাতির জনকের ভাষণ শুনলে বুকের মধ্যে একটা শিহরণ জাগে। এমন নেতা যুগে যুগে আসে না। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বলতে বঙ্গবন্ধুকেই বুঝি। আমাদের এফডিসি তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন। জাতির অনেক ঋণ রয়েছে তাঁর কাছে। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন জাতির জনক মানুষের হৃদয়ে ছড়িয়ে থাকবে।

জিয়াউল ফারুক অপূর্ব, অভিনেতা

বঙ্গবন্ধু নামটিই আমার কাছে সবসময়ই ভীষণ শ্রদ্ধার, ভালোবাসার, পরম মমতার। আমার কাছে সবসময়ই বঙ্গবন্ধু একটি সরলতার নাম। যার চোখের দিকে দৃষ্টি দিলেই বোঝা যায় তিনি কতটা সহজ ছিলেন, সরল ছিলেন। তিনি নেই, এটা সত্যি। কিন্তু এখনো কোথাও বঙ্গবন্ধুর ছবির দিকে চোখ পড়লে, তার চোখের দিকে তাকালে মনে হয় তিনি খুব সহজে কথা বলছেন। বঙ্গবন্ধু তার সারল্যের কারণেই তিনি সবার কাছে প্রিয় হয়ে উঠেছিলেন। বিশ্বাস করতেন সবাইকে, মায়া করতেন, ভালোবাসতেন। একজন প্রধানমন্ত্রী হয়েও তিনি সাধারণের কাছে ছিলেন বন্ধুর মতো, বঙ্গবন্ধুর নাম যেন এখানেই সার্থক। বঙ্গবন্ধু, ‘যার জন্ম না হলে হয়তো সৃষ্টি হতোনা বাংলাদেশ এর’! যার জন্ম না হলে একটি আলাদা ভূখণ্ডে আলাদা স্বাধীন দেশে বাংলা ভাষায় কথা বলার সুযোগ হতো না। বঙ্গবন্ধু আমাদের অহংকার, আমাদের গর্ব। আমরা সৌভাগ্যবান যে দেশ স্বাধীন করার জন্য এমন একজন নিবেদিত, সাহসী বঙ্গবন্ধুকে পেয়েছিল বাংলাদেশ, যার আহ্বানে এই দেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে দেশকে স্বাধীন করেছিল, পেয়েছিল সোনার বাংলাদেশ…। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে বঙ্গবন্ধুকে বুকে লালন করে তাঁর স্বপ্ন পূরণ করতে হবে আমাদেরই।

সিয়াম আহমেদ, অভিনেতা

বাঙালির ইমেজ বলতেই আমি বঙ্গবন্ধুকেই বুঝি। বঙ্গবন্ধু মানেই একটা বাংলাদেশ। এমন ইমেজ আর কারো মাঝে খুঁজে পাইনি। মানুষের এমন ভালোবাসা জাতির জনক ছাড়া আর কেউ পায়নি। বঙ্গবন্ধু মানেই সাহসী একজন নেতা। কোনো ভয় তাকে দাবিয়ে রাখতে পারেনি। বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান। তার ভাষণ আমাদের সম্পদ। জাতির জনকের বজ্রকণ্ঠে বলা সব কথা আমাদের জন্য সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা। ইতিহাসের সোনার অক্ষরে জাতির জনকের নাম আজীবন জ্বলজ্বল করে জ্বলবে।

বিদ্যা সিনহা মিম, অভিনেত্রী

কোনো বইতে যখন বঙ্গবন্ধুর কোনো ছবি দেখি, আলাদা রকমের একটা অনুভূতি হয়। শ্রদ্ধায় মাথানত হয়ে আসে। এমন ব্যক্তিত্ব আর আসবে না বাংলাদেশে। বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুনলে শরীরের পশম দাঁড়িয়ে যায়। তার ভাষণ একটা উদ্দীপনা এনে দেয়। বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে আমার অনেক আগ্রহ। তার লেখা বইগুলো পড়ার চেষ্টা করি। জাতির জনককে নিয়ে অনেক আর্টিকেল ইতোমধ্যে পড়েছি। দেশের প্রতি জাতির জনকের প্রেম আমাকে ভীষণ মুগ্ধ করে। স্বাধীন দেশের স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমান। চিরদিন অমর হয়ে থাকবেন এটা বিশ্বাস করি।

এনএইচ/ আইএন

  • সর্বশেষ
  • পঠিত