ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

সমালোচনা মেনেই এগিয়ে যেতে হবে: সৌভিক

  বিনোদন প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৩ অক্টোবর ২০২০, ১৫:৫২  
আপডেট :
 ০৩ অক্টোবর ২০২০, ১৬:১৮

সমালোচনা মেনেই এগিয়ে যেতে হবে: সৌভিক

পুরো নাম আহমেদ শাদমান সৌভিক হলেও তিনি সৌভিক আহমেদ নামেই পরিচিত। একাধারে মডেল,অভিনেতা, আরজে ও সঙ্গীত শিল্পী; এই তরুণকে চিনেন না বাংলাদেশের ইউটিউবে এমন দর্শকের সংখ্যা অল্পই বলা চলে। ইউটিউবে পথচলার শুরুটা বন্ধুদের সাথে শুরু হলেও নিজেকে আলাদাভাবে চেনাতে শুরু করেছেন নিজ চ্যানেল ‘গান ফ্রেন্ডস’র মধ্য দিয়ে। ৩৫ টি কটেন্ট, প্রায় সাড়ে ৭ লক্ষ সাবস্ক্রাইবার, সাথে সাড়ে ৪ কোটি ভিউয়ের এই চ্যানেলটি শুরু থেকেই আলোচিত হলেও এখন অনেকটাই অনিয়মিত হয়ে পড়েছে। ৫ বছর আগে খোলা এই চ্যানেলটির পেছনের গল্পসহ নিজের ক্যারিয়ারের নানান বিষয় নিয়ে সম্প্রতি বাংলাদেশ জার্নালের বিনোদন বিভাগের মুখোমুখি হয়েছেন সৌভিক আহমেদ; জানিয়েছেন নিজের আগামীর গন্তব্য নিয়েও। তাকে নিয়ে লিখেছেন কৌশিক

বাংলাদেশ জার্নাল: শুরুর সৌভিক থেকেই আসি, ইউটিউবে পথচলার শুরুটা শুনতে চাই...

সৌভিক: এই গল্পটা খানিকটা লম্বা।

বাংলাদেশ জার্নাল: শুরু থেকেই শুনতে চাই...

সৌভিক: ছোটবেলা থেকেই আমার জীবন ছিলো একদম লক্ষ্যহীন। আমি কোনোদিন পরিকল্পনা করিনি যে বড় হয়ে আমাকে কি হতে হবে! এরজন্য মা-বাবারও কম ঝাড়ি খাইনি। তারাও আমাকে প্রায় বলতো আমি বড় হয়ে করবো টা কি! পড়ালেখায়ও আমি আজীবন ফাঁকিবাজ ছিলাম। তেমন কিছুই পারতাম নাহ, আবার এটা না যে আমি কিছুই পারিনা। একদিন ভাবলাম আমি কিসে ভালো, দেখা গেলো আমার গানের ক্ষেত্রে খুব শখ। গান করতে ভালোবাসতাম। গানের প্রতি ভালোবাসা দেখে আব্বু একদিন বাসায় গানের শিক্ষক রেখে দেন। ১ বছর পর সেটাও আর আগানো হয়নি। গান নিয়ে আগাবো এরকম কোনো চিন্তা করিনি। আবার দেখা গেলো আমার বন্ধুদের হাসানোর খুব শখ, কিন্তু এসব তো শুধুই অবসর সময়ের জন্য। তখনো ধারণায় ছিলোনা ইউটিউব বলে কিছু একটা আসতে যাচ্ছে। এরমধ্যে একদিন দেখলাম সালমানরা (সালমান মুক্তাদির) সহ সব বন্ধুরা মিলে ভিডিও বানাচ্ছে। এরমধ্যে আমি তখন ভারত থাকতাম। ভারত থেকে দেশে ফিরে দেখি তারা তখনো ভিডিওতেই আছে। ওদের দেখেই কিছুটা আগ্রহ পেয়েছিলাম ভিডিও বানানো নিয়ে। আমাদের কাজ দেখে অনেকেই প্রশংসা করেছিলো। তখনই চিন্তায় আসে এটা দিয়েই কিছু একটা করা সম্ভব। সবার আগ্রহ দেখে এই বিষয়ে ঝুঁকে পড়ি। এভাবেই মূলত ইউটিউবের সাথে নিজেকে জড়ানো শুরু করেছি।

বাংলাদেশ জার্নাল: অনেক বন্ধুরা মিলেই শুরু করেছিলেন, পরবর্তীতে আলাদা হয়ে গান ফ্রেন্ডস তৈরির কারণ?

সৌভিক: ভিডিও বানানো শুরু করি মূলত সব বন্ধুরা মিলেই। প্রত্যেকটি কাজের ক্ষেত্রেই সবার আইডিয়াকে এক করে মূল সিদ্ধান্ত নেওয়া হতো। এর মাঝেই নিজের একটি আলাদা প্লাটফর্ম নিয়ে মাথায় চিন্তা আসে, যেখানে সবকিছু আমি নিজেই পরিচালনা করবো। নিজের জন্য একটি স্বাধীন প্লাটফর্ম তৈরি করতে চেয়েছিলাম, যেখানে নিজের পছন্দমতোই সব মেলে ধরতে পারবো। মূলত এই ভাবনা থেকেই আমি এবং বন্ধু তামিম (তামিম মৃধা) মিলে শুরু করি ‘গান ফ্রেন্ডস’। এটার মাধ্যমে আমরা চেয়েছিলাম আমাদের মতো করে বিষয়টাকে সাজিয়ে তুলতে। ছোটবেলার গান আর অভিনয়ের প্রতি ভালোবাসা থেকেই এই দুইটি বিষয়কে একত্র করে ‘গান ফ্রেন্ডস’র কটেন্ট বানানো শুরু করি, যেখানে গান এবং মজা দুইটিই প্রাধান্য পাবে।

সৌভিক আহমেদ ও তামিম মৃধা

বাংলাদেশ জার্নাল: এক্ষেত্রে পরিবার থেকে কেমন সাপোর্ট পেয়েছিলেন?

সৌভিক: স্বাভাবিকভাবেই শুরুতে তারা ব্যাপারটিকে সমর্থন করেনি। যেহেতু ইউটিউব ধারণাটা তখন ওভাবে ছিলোনা। শুরুর দিকে পরিবারের মতে এটা অনেকটা ফাইজলামী আর সময় নষ্টের মতই ছিল। তাদের বক্তব্য ছিল, এটা করে তো আনন্দ ছাড়া কারোই কোনো লাভ নেই। পড়াশোনা শেষ করে দ্রুত চাকরিতে যোগ দিয়ে পরিবারের হাল ধরার জন্য বেশ চাপও দিয়েছিলো। তবে এই অবস্থা বেশিদিন ছিলোনা। পরে যখন তারা দেখে বাংলাদেশ ইউটিউবকে সিরিয়াসভাবেই নিচ্ছে এবং আমরা ইউটিউব থেকে অর্থ উপার্জন করছি তখন তারা বিষয়টি বুঝতে শুরু করলো। শুরুতে যেখানে বকা খেতাম সেটি বদলে একটা সময় তারা জিজ্ঞেস করা শুরু করে, ‘তোমাদের পর পরবর্তী ভিডিও কবে আসবে?’। হয়তো তাদের সমর্থন ছিলো বলেই পরবর্তী সময়গুলোতে নিজেদের ভালোভাবে তুলে ধরতে পেরেছি।

বাংলাদেশ জার্নাল: ইউটিউবকে সিরিয়াসভাবে নেওয়ার সিদ্ধান্ত কতটুকু চ্যালেঞ্জিং ছিলো?

সৌভিক: সত্যি বলতে এটা পুরোটাই চ্যালেঞ্জিং বিষয়। তবে আমার অনুপ্রেরণা ছিলো বলেই চ্যালেঞ্জগুলোকে মোকাবেলা করতে পেরেছি। অনুপ্রেরণা ছিলো বলতে ‘ফ্যানদের ভালোবাসা’। এটিই সত্যি। যখন দেখছি মানুষ আমাদের কাজকে ভালোভাবে নিচ্ছে, ঘন্টার মধ্যেই লক্ষ্যাধিক ভিউ চলে আসছে, প্রশংসা করছে; ঠিক এই বিষয়গুলোই আমাদের মূল অনুপ্রেরণা ছিলো। তখন জিনিসটা এমন হয়ে গেলো যে, এতটা মানুষ আমাদের দিকে তাকিয়ে থাকছে ব্যাপারটা আমি টেলিভিশনের মতোই বলতে পারি। ছোটবেলায় আমরা আগে টিভি অন করে সবার আগে কার্টুনের চ্যানেলটা আনতাম অন্যদিকে এখন ব্যাপারটা এমন অনেকেই তখন ইউটিউব অন করে আমাদের দেখে। ব্যাপারগুলো আসলে খুবই অনুপ্রেরণা জোগাতো। আমরা কখনোই তেমন নিয়মিত ছিলাম না কিন্তু যখনই আসতাম দেখা যেতো মানুষ ভালোভাবেই নিচ্ছে প্রতিটি কটেন্ট।

বাংলাদেশ জার্নাল: এক ভিডিওতেই গান এবং কমেডি দুটো জিনিস থাকার ভিন্নতাতেই কি বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাতে পেরেছেন বলে মনে করেন?

সৌভিক: হয়তো এটাই। কমবেশি সব ধরণের বয়সের মানুষরাই আমাদের ভিডিওর নিয়মিত দর্শক ছিলো। এখানেও তিনটি ভাগ ছিলো। এক শ্রেণীর মানুষরা কমেডি পছন্দ করতো বলেই দেখতে ভালোবাসত, অন্যদিকে আরেক শ্রেণির মানুষ গানটাই পছন্দ করতো। আবার কিছু কিছু মানুষ গান এবং কমেডি দুটো বিষয়কেই একসাথে দেখতে পছন্দ করতো। এই ৩ টি শ্রেণীর দর্শকে এক করতে পারাটাই হয়তো আমাদের সার্থকতা কিংবা বেশি মানুষের কাছে পৌছাঁনোর কারণ।

বাংলাদেশ জার্নাল: এই দীর্ঘ সময়ে অভিনেতা, গায়ক, নির্মাতাসহ হরেক রকম পরিচয়ের সাথে নিজেকে জড়িয়েছেন। এর মধ্যে কোন পরিচয়ে নিজেকে বেশি খুঁজে পেয়েছেন?

সৌভিক: অভিনয়ের মধ্যে নিজেকে বেশি খুঁজে পেয়েছি বললেই সম্ভবত ভালো হবে, কারণ আমি যা-ই করেছি অভিনয়ের মাধ্যমে করেছি। আমি যা-ই করেছি যেমন কমেডি, গান, নৃত্য; এইসব বিষয়কে আমি অভিনয়ের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলতে পেরেছি। গান ফ্রেন্ডসের প্রতিটি ভিডিওতেই সবগুলো বিষয় অভিনয়ের সাহায্যে একসাথে করেছি। সবমিলিয়ে অভিনেতা পরিচয়েই নিজেকে খুঁজে পেয়েছি বলতে পারেন।

বাংলাদেশ জার্নাল: কম সময়ে অনেক বেশি সাড়া জাগিয়েও গান ফ্রেন্ডস অনিয়মিত হয়ে পড়ার কারণ কি?

সৌভিক: প্রথমত, আমরা সবাই এখন জীবনের প্রয়োজনে নানান চাকরির সাথে যুক্ত হয়ে পড়েছি। ফলে আগের মতো সময়টাও এখন আর পাওয়া যাচ্ছেনা। তামিম, সৌমিকরাও নিজেদেরকে ব্যস্ত। সবার পরিবারের হাল ধরাটাই তো আগে। আর দ্বিতীয়ত, কারণের কথা যদি বলি সত্যি বলতে আমাদের অডিয়েন্সটা কমবেশি সবসময়ই ছোট ছিল অর্থাৎ সবাই যে লক্ষ্য নিয়ে ভিডিও তৈরি করে ওরকম ছিলোনা। ইউটিউব মার্কেটের ধরণ দিন দিন পরিবর্তন হচ্ছে, এখন অনেকখানি পাল্টেও গিয়েছে।

বাংলাদেশ জার্নাল: সেটা ঠিক কিরকম?

সৌভিক: খেয়াল করলেই দেখবেন আগে ইউটিউবে শুধু এক ধরণেরই ভিডিও চলতো কিন্তু এখন সবকিছুই ইউটিউব কেন্দ্রিক হয়ে পড়ছে। এখন ইউটিউবে টিভির অনুষ্ঠানও চলে, টক-শোও চলে, নাটকও চলছে, সিনেমাও চলছে; সবই আছে যার ফলে এখন অডিয়েন্স একটু মিশে গিয়েছে। এমন একটা সময় ছিলো যে মোশারফ করিম ভাই কিংবা অপূর্ব ভাইকে দেখার জন্য আমরা টিভির সামনে বসতাম, আর ইউটিউবারদের ভিডিও দেখতে চাইলে ইউটিউব চালু করতাম আর এখন ব্যাপারগুলো মিশে গিয়েছে। সব একসাথেই ইউটিউবেই হচ্ছে, উনাদের দেখতে এখন টিভি ছাড়াও এখন ইউটিউবকেও ব্যবহার করছি। এটা নিয়ে কিন্তু আমার কোনো আপত্তি নেই। আগে একটা পার্থক্য ছিলো আর এখন আমরা যে কাউকেই দেখতে চাইলে ইউটিউবে দেখতে পারছি। সবকিছু এখন ইউটিউবে চলে আসায় সবকিছুর সংমিশ্রণের ফলে ইউটিউবে আগে গান ফ্রেন্ডসের যে রিচ ছিলো ওটা সম্ভবত এখন আগের থেকে অনেক অংশেই কম।

বাংলাদেশ জার্নাল: বলতে চাচ্ছেন সব এখন ইউটিউব কেন্দ্রিক, তাহলে ‘টেলিভিশন’ ধারণাটা কি হারিয়ে যাচ্ছে?

সৌভিক: সত্যি বলতে টিভি চ্যানেলের দর্শক আগের চেয়ে বাড়ছে কিন্তু সরাসরি টিভির সামনে এখন কেউ তেমন একটা বসছে না। এখন প্রত্যেকটা টিভি চ্যানেলরই ইউটিউবে নিজস্ব চ্যানেল আছে, নিজেদের অনলাইন প্লাটফর্ম আছে। সবারই পকেটে এখন স্মার্টফোন আছে তাই টিভির সামনে বসার প্রয়োজনীয়তা মনে করছে না। আগে এমন একটা জিনিস ছিলো ঈদের অমুক দিন অমুক টিভিতে এই নাটকটি প্রচারিত হবে। তখন আমরা ওই সময়টার জন্য পাগল হয়ে থাকতাম কারণ একবার মিস করলে ওটা আর পরবর্তীতে পাওয়া যাবেনা। এখন এই বিষয়টা আর নেই। এখন মিস করলে আর ভয় কিসের? কারণ ওটা পরে ঘুরে ফিরে ইউটিউবেই আপলোড হচ্ছে। যার ফলে টিভির অডিয়েন্স কমার চান্সটা দিনদিন বেড়ে যাচ্ছে। পাশ্ববর্তী দেশ ভারত যেটা করে, তারা কিন্তু তাদের অধিকাংশ নাটক ইউটিউবে দেয়না। ওরা একটা নিয়মের উপর চলে যার কারণে আপনি ওই নাটকটি টিভি ছাড়া দেখতেই পারবেন না। অন্যদিকে আমাদের টিভির সবকিছুই চলে যাচ্ছে ইউটিউবে। এক্ষেত্রে আমরা ভুল করছি, টিভির আগের সেই ঐতিহ্যটা এখন আর নেই।

বাংলাদেশ জার্নাল: ‘গান ফ্রেন্ডস’ এর ভবিষ্যৎ কি?

সৌভিক: বর্তমানে আমার আর তামিমের গান ফ্রেন্ডস নিয়ে যে ইচ্ছেটা আছে, আর কোনোকিছু না হোক অন্তত ১ মিলিয়ন সাবস্ক্রাইবারের মুখটা দেখতে চাই। তারপরেও হয়তোবা ছেড়ে দিলে সমস্যা নেই (হেসে)। এরপরে হয়তোবা কোনো এক সময় চ্যানেলটা আমাদের আগামীর প্রজন্মকে দিয়ে দেব, ওরাই চালাবে।

বাংলাদেশ জার্নাল: আর যদি ব্যক্তি সৌভিকের গানের কথা বলি?

সৌভিক: গানকে আমি কখনোই প্রফেশনালভাবে নেই নি। তবে এটা বলতে চাই, কখনো গান ছাড়বো না কারণ গানের মাধ্যমে নিজেকে অনেকখানিই খুঁজে পেয়েছি। টুকটাক আয়ও আসছে কনসার্টের মাধ্যমে। সবমিলিয়ে গানটাকে ধরে রাখতে চাই, তবে আলটিমেড পেশা হিসেবে চিন্তা নেই আপাতত। একক অ্যালবাম নিয়েও হাজির হওয়ার ইচ্ছে ছিলো একসময় তবে এখন নেই। কারণ অ্যালবাম বিষয়টা এখন আর আগের মতো নেই। সেজন্য আগেরমত মনটাও আর নেই।

বাংলাদেশ জার্নাল: বছর দুয়েক আগে আপনাকে নিয়মিত নাটকে দেখা যেত, সেই সংখ্যাটাও এখন কম...

সৌভিক: সবাই এখন নিজেদের জীবন নিয়ে ব্যস্ত, এছাড়াও অন্যান্য অনেক কাজের চাপ থাকে। সবমিলিয়ে নাটকটা আর আগের মতো করা হয়না। আগেও যে নিয়মিত করতাম; তা নয়। তবে ছাড়িনি, এখনও করছি। কিন্তু আমাদের প্রধান কাজ ইউটিউবেই থাকবে। আমি আজ এই পর্যন্ত যতটুকু এসেছি, ইউটিউবের সাথেই। কাজেই এটাই প্রধান লক্ষ্য।

বাংলাদেশ জার্নাল: পাঁচটা বছর পেরিয়ে গেলো, অর্জনের কথা আসলে কি বলবেন?

সৌভিক: আমি নিজেও কখনো কল্পনা করিনি আজ এই পর্যায়ে আসবো। অনেকেই পছন্দ করছে আবার অনেকেই অপছন্দ করছে। অপছন্দকারীদের সংখ্যাটা হিসাব করা যায় কিন্তু পছন্দকারীদের সংখ্যাটা হিসাব করা সম্ভব নয়। এটাই হয়তো আমার অর্জন, আমাদের গান ফ্রেন্ডসের অর্জন। পছন্দ অপছন্দ দুটোই কিন্তু ইমোশন। আমি গর্বিত এই ইমোশনটা তৈরি করতে পেরেছি। পছন্দ, অপছন্দ যা ই করুক, দিনশেষে আমাকে চিনছে। এই ৫ বছরে ইউটিউবের মাধ্যমে ১০ টা মানুষ আমাকে বেশি চিনছে এটাই আমার অর্জন।

বাংলাদেশ জার্নাল: এই ৫ বছরে সমালোচনারও কম শিকার হননি.....

সৌভিক: দেখুন, মানুষের কাজই কথা বলা, মন্তব্য করা। বিভিন্ন জিনিসকে বিভিন্নভাবে মোড় দেওয়াই মানুষের কাজ। এটা কারো দোষ না। আমারও চোখের সামনে কারো সমালোচনামূলক ভিডিও আসে, আমিও সেটা দেখব। পার্থক্য হচ্ছে মেন্টালিটি নিয়ে। এক পক্ষ দেখেই ব্যাপারটাকে বিচার করে ফেলে আর আরেক পক্ষ পুরো ঘটনা না শোনা পর্যন্ত বিচার করেনা। কারো একটি দূর্ঘটনা বা সমালোচিত কাজের জন্য যদি পুরো ৩/৪ বছরের ক্যারিয়ার নষ্ট হয়ে যায় তাহলে তো ব্যাপারটা হলোনা। সবচেয়ে বড় কথা যেটা আমি বলতে চাই, যেটা দেখবেন সেটা বিশ্বাস করবেন না কারণ যেকোনো গল্পের দুইটা পিঠ থাকে। আমাকে নিয়ে সংগঠিত হওয়া বিষয়গুলো নিয়ে আমি কখনোই বলিনি কারণ আমি মনে করি এটা বলারও কিছু নেই। সমালোচনা কখনো থামবে না, তবুও আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল: নিজেকে কোন পরিচয়ে নিয়মিত করতে চান?

সৌভিক: নির্মাতা। অনেক আগে থেকেই এটা আমার ভালো লাগার জায়গা। ডিরেকশন আমি আগেও দিয়েছি, এখনও দিচ্ছি। অনলাইনে আমার অনেক নাটকও আছে। আমার যেটা ইচ্ছে নিজের একটি প্রোডাকশন টিম থাকবে। যতই দিন যাচ্ছে ততই দেখছি ভিডিওতে অভিনয়ের থেকে ক্যামেরার পেছনে থাকতেই বেশি আগ্রহ পাচ্ছি। আমার নিজের জিনিসকে আমার নিজের মতো করে ফুটিয়ে তুলতেই বেশি ভালো লাগে। অভিনয়টা আমার পছন্দ নয়, এমন না; তবে নির্মাতা হিসেবেই গড়ে তুলতে পছন্দ করবো।

গ্রাফিক্স ডিজাইন: মেহেদী হাসনাত

আইএন

  • সর্বশেষ
  • পঠিত