ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ মিনিট আগে
শিরোনাম

বিশ্বস্বাস্থ্য বৈষম্যের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের প্রগতিশীল বাবা-মেয়ে

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ১৫ জানুয়ারি ২০২০, ২০:২৭

বিশ্বস্বাস্থ্য বৈষম্যের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের প্রগতিশীল বাবা-মেয়ে

বাংলাদেশে শিশু মৃত্যুহার কমিয়ে আনতে মাইক্রোবায়োলজির অধ্যাপক সমির সাহা ও তার কন্যা জীবাণুবিজ্ঞানী ডাঃ সেঁজুতি সাহা নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। বিল গেটস নোটস থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

অধ্যাপক সমীর সাহা স্বাস্থ্য ঝুঁকিগুলো সম্পর্কে পারিবারিক নৈশভোজের সময় আলোচনা করতেন। আলোচনার কেন্দ্রীভূত ছিলো ব্যাকটিরিয়া, ভাইরাস এবং সংক্রামক রোগগুলো নিয়ে। আর তারই প্রভাব পড়ে মেয়ে সেঁজুতির উপর। যিনি পরবর্তীতে জীবাণুবিজ্ঞানী হন।

এরপর তারা একসঙ্গে সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করেন। ভ্যাকসিন ব্যবহার ও তাদের গবেষণাটি কেবল বাংলাদেশেই নয়, দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য জাতীয় স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে থাকা দেশে অনুসরণ করা হচ্ছে। ঢাকা শিশু হাসপাতালের মাইক্রোবায়োলজির বিভাগীয় প্রধান সামির সাহা শৈশবের দু’টি মরণব্যাধি রোগ মেনিনজাইটিস এবং নিউমোনিয়ার জন্য ভ্যাকসিন সরবরাহে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখেন। এই ভ্যাকসিনগুলো তখন শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের মত ধনী দেশগুলোতে পাওয়া যেতো।

ডাঃ সেঁজুতি নবজাতক ও শিশুরা আক্রান্ত হয় এমন অসুস্থতা নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। গত বছর নিউইয়র্কে গোলকিপার্স ইভেন্টে বক্তৃতায় বাংলাদেশ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে, সে সম্পর্কে বিশদ ধারণা দেন। বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় ঢাকা শিশু হাসপাতালে প্রতি বছর ৬ হাজারেরও বেশি শিশু চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হয় কারণ বৃহত্তম ওই হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা মাত্র ৬৬৫টি যা সবসময় শিশু রোগী ভর্তি থাকে।

সরকারের পাশাপাশি তাদের চাইল্ড হেলথ রিচার্স ফাউন্ডেশন(সিএইচআরএফ) যৌথভাবে শিশুদের টিকা ও উন্নত স্বাস্থ্যসেবা, কম বয়সী মৃত্যুর হার হ্রাস এবং সার্বিক স্বাস্থ্যসেবা সরবরাহকে আরও উন্নত করে চলেছে। এর ফলে ১৭ লাখ মানুষের দেশ বাংলাদেশে ভ্যাকসিনের আওতায় এসেছে ৯৮ শতাংশ মানুষ।

বাংলাদেশ জার্নাল/ এমএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত