ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

নারী সাংবাদিকের প্রশ্নে ক্রুদ্ধ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নারী সাংবাদিকের প্রশ্নে ক্রুদ্ধ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ইউক্রেন নিয়ে প্রশ্ন করে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর রোষানলে পড়েছিলেন এক নারী সাংবাদিক। তিনি এ সময় ওই সাংবাদিকের প্রতি চিৎকার-চেঁচামেচি, ক্রুদ্ধ দৃষ্টি ও অশোভন ভাষা ব্যবহার করেছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।

পম্পেও শুক্রবার ভোরে এনপিআর রেডিওকে সাক্ষাৎকার দেয়ার সময়ই এমন আচরণ করেন। এমন একসময় তিনি এমন নিন্দনীয় আচরণ করলেন যখন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সিনেটে অভিশংসনের বিচার চলছে।

ওই সাক্ষাৎকারে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী পম্পেও। সেখানে অধিকাংশ কথাই হয়েছে ইরান নিয়ে। কিন্তু শেষে মুহূর্তে এসে পম্পেওর কাছে ইউক্রেন নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের দৃষ্টিভঙ্গি জানতে চান সাংবাদিক মেরি লুইস কেলি। আর এতেই তেলে বেগুনে জ্বলে উঠেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

যুক্তরাষ্ট্রে বিরোধী ডেমোক্রেট দলের অভিযোগ, নির্বাচনে ট্রাম্পের সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেনের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে কিয়েভকে চাপে রাখতে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন প্রেসিডেন্ট। এ নিয়ে প্রেসিডেন্টকে অভিশংসনের মাধ্যমে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে ডেমোক্রেটরা।

ইউক্রেনে ওয়াশিংটনের সাবেক রাষ্ট্রদূত মারিয়া ইয়োভানোভিচকে সুরক্ষা দিতে ব্যর্থতার অভিযোগ রয়েছে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহচর পম্পেওর বিরুদ্ধে। প্রেসিডেন্টের ব্যক্তিগত আইনজীবী রুডি গিলিয়ানির নোংরা প্রচারের শিকার হওয়ার পর গত বসন্তে ওই রাষ্ট্রদূতকে আকস্মিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রে ফেরত আনা হয়েছে।

এ নিয়ে পম্পেওর কাছে সাংবাদিক কেলির প্রশ্ন ছিল– ‘মারিয়া ইয়োভানোভিচের কাছে দুঃখপ্রকাশ করা কি আপনার দায়িত্ব ছিল না?’এরপর উত্তেজনাপূর্ণ বাক্যবিনিময়ের পর পম্পেও বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিটি কর্মকর্তাকে সমর্থন করেছেন তিনি।

তখন কেলি রাকঢাক না রেখেই প্রশ্ন করেন, ‘কখন আপনি প্রকাশ্যে মারিয়াকে সমর্থন দিয়েছেন?’জবাবে পম্পেও বলেন, ‘আজ আমি যা বলতে যাচ্ছি, তার সবই বলে ফেলেছি।’

এরপর পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দেন কেলি। কিন্তু কক্ষ ছেড়ে বের যাওয়ার আগে তার দিকে ক্রুদ্ধ দৃষ্টিতে তাকান পম্পেও।

এরপর কেলিকে কোনো রেকর্ডার ছাড়াই পম্পেওর ব্যক্তিগত থাকার কক্ষে নিয়ে যান এক কর্মী। সেখানে পম্পেও তার জন্য অপেক্ষায় ছিলেন। কেলিকে দেখেই তিনি তার সঙ্গে চিৎকার-চেঁচামেচি করতে শুরু করেন। এ নিয়ে কেলির অভিযোগ, তিনি যতটা সময় নিয়ে পম্পেওর সাক্ষাৎকার নেন, পুরো সময় জুড়েই তাকে ধমকাতে থাকেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত