ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : কিছুক্ষণ আগে
শিরোনাম

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ১০৯ মার্কিন সেনা আহত

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ১০৯ মার্কিন সেনা আহত

ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি) গত মাসে ইরাকের মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে যে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিলো তাতে আহত মার্কিন সেনাদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সর্বশেষ সংখ্যা ১০০’র বেশি বলে জানা গেছে। এসব সেনারা সবাই ব্রেইন ইনজুরিতে ভুগছে।

মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল সিএনএন এবং রয়টার্সসহ পশ্চিমা অনেক গণমাধ্যম এ খবর দিয়েছে। এসব গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে- এ পর্যন্ত ১০০’র বেশি মার্কিন সেনাকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

গত ৩ জানুয়ারি বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বের হওয়ার সময় ড্রোন হামলা চালিয়ে কাসেম সোলাইমানিকে হত্যা করে মার্কিন বাহিনী। সোলাইমানি হত্যার বদলা নিতে গত ৮ জানুয়ারি মার্কিন সেনা ঘাঁটিতে ওই হামলা চালায় ইরান। হামলার এক মাসেরও বেশি সময় পর শতাধিক সেনা মস্তিষ্কে আঘাতজনিত সমস্যায় ভুগছে বলে জানা গেল।

ইরান যখন আইন আল-আসাদ ঘাঁটিতে হামলা চালায়, তখন কোনো মার্কিন সেনা নিহত কিংবা তাৎক্ষণিকভাবে আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেনি। গত ৩ জানুয়ারি বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বের হওয়ার সময় ড্রোন হামলা চালিয়ে কাসেম সোলাইমানিকে হত্যা করে মার্কিন বাহিনী। এর বদলা নিতে গত ৮ জানুয়ারি মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ওই হামলা চালিয়েছিল ইরানি সেনারা।

সোমবার রয়টার্স জানায়, টিবিআইতে আক্রান্তের সংখ্যা ৬৪ থেকে বেড়ে ১০০ জনে পৌঁছাল। পেন্টাগন এক বিবৃতিতে বলছে, ১০৯ মার্কিন মস্তিষ্কে আঘাতজনিত সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছে। তবে তাদের মধ্যে ৭৬ জন চিকিৎসা শেষে দায়িত্বে ফিরেছেন।

এর আগে মার্কিন সেনাবাহিনী বলেছে, আসছে সপ্তাহে আহতের সংখ্যা আরও বাড়বে। কারণ সেনাদের শরীরে আক্রান্তের লক্ষণ স্পষ্ট হতে সময় লেগেছে। মস্তিষ্কে আঘাতজনিত সমস্যা হলে মাথাব্যথা, মাথাঘোরা, আলোর প্রতি বিতৃষ্ণা ও বমি বমি ভাব দেখা দিতে পারে।

আহতদের সংখ্যা কমিয়ে বলা কিংবা তথ্য প্রকাশে কোনো বিলম্ব হয়নি বলে জানিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে সন্দেহভাজন আহতের ঘটনায় কিভাবে অভ্যন্তরীণ প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে কিংবা অঙ্গহানিতে আহতদের মতোই তাদের চিকিৎসা দেয়া হয়েছে কিনা তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।

এর আগে ৮ জানুয়ারি হামলার পর মার্কিন সেনা সদরদপ্তর পেন্টাগন এবং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, ইরানে হামলায় কোনো সেনা হতাহত হয়নি। কিন্তু কিছুদিন পর প্রথমে ১১ জন সেনা আহত হওয়ার কথা স্বীকার করা হয়। তারপর ৩৪ জন এরপর ৫০ জনের কথা স্বীকার করা হয় এবং এখন বলা হচ্ছে ব্রেইন ইনজুরিতে ভুগছে ১০০’র বেশি সেনা।

সিএনএন বলছে, পেন্টাগনের কয়েকজন কর্মকর্তা গত মাসে জানিয়েছিলেন যে, ব্রেইন ইনজুরিতে ভোগা সেনার সংখ্যা বেড়েই চলতে পারে কারণ ইরানি হামলার সময় আইন আল-আসাদ ঘাঁটিতে ২০০ সেনা অবস্থান করছিল। এসব সেনার কিছু ইউরোপে এবং কিছু আমেরিকায় ফেরত নেয়া হয়েছে।

গত মাসে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, ব্রেইন ইনজুরিকে তিনি মারাত্মক কোনো শারীরিক ক্ষত বা আঘাত বলে মনে করেন না। সে সময় তিনি ইরাকে মার্কিন সেনাদের গুরুতর আহত হওয়ার কথাও অস্বীকার করেন।

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত