ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

করোনার টিকা নেয়ার পর নারীর উচ্ছ্বাস

করোনার টিকা নেয়ার পর নারীর উচ্ছ্বাস

করোনার পরীক্ষামূলক ভ্যাকসিন বা টিকা নেয়ার পর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে এক মার্কিন নারী বলেন, ‘আমার খুব ভালো লাগছে।’

তিনি দুই সন্তানের জননী। সোমবার যুক্তরাষ্ট্রে প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাসের পরীক্ষামূলক টিকার প্রথম ডোজের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথের অর্থায়নে এই পরীক্ষামূলক কার্যক্রম চলছে। সিয়াটলের কায়সার পার্মানেন্তে ওয়াশিংটন হেলথ রিসার্চ ইনস্টিটিউটে ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক ব্যবহার শুরু করেছে।

বিবিসি জানাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলের কাইজার পারমানেন্টে গবেষণাকেন্দ্রে ৪৫ জন সুস্থ স্বেচ্ছাসেবীর দেহে এই টিকা প্রয়োগ করা হবে। তাদের দুই ডোজে এই টিকা দেয়া হবে বলে জানা গেছে। ইতিমধ্যে সোমবার প্রথম দফায় মোট দুইজনের দেহে এই ভ্যাকসিন বা টিকা প্রয়োগ করা হয়েছে।

স্বেচ্ছাসেবকদের বাহুতে ২৮ দিন পর পর দুবার টিকাটি দেয়া হবে। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবককে বিভিন্ন মাত্রায় ভ্যাকসিনটি দেয়া হবে। পরীক্ষাটি যদি ভালোভাবে এবং নিরাপদে সম্পন্ন হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের দেহে প্রয়োগ করতে ১৮ মাস পর্যন্ত সময় লেগে যাবে।

এই টিকার উপাদান হলো, কোভিড-নাইনটিন ভাইরাসের একটি জেনেটিক কোড – যা আসল ভাইরাসটি থেকেই নকল করে তৈরি করা হয়েছে। এই কপিটি বিপদজনক নয় এবং এটা মানবদেহে সংক্রমণ ঘটাতেও পারে না।

যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলের নাগরিক জেনিফার হলারের ওপরই প্রথম করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে।

করোনার পরীক্ষামূলক ভ্যাকসিন গ্রহণের বিষয়ে জেনিফার হলার বলেন, আমরা সবাই অসহায় বোধ করছি। এটা আমার জন্য কিছু একটা করার বড় সুযোগ। তিনি এই কার্যক্রমে অংশ নেয়ায় তার দুই সন্তানও বেশ খুশি।

করোনার পরীক্ষামূলক ভ্যাকসিন নেওয়া দ্বিতীয় স্বেচ্ছাসেবী হলেন মাইক্রোসফটের নেটওয়ার্ক প্রকৌশলী নিল ব্রাউনিং। তিনি বলেছেন, একজন নাগরিক হিসেবে মূল্যবোধের জায়গা থেকেই তিনি এই পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন।

ভ্যাকসিন উদ্ভাবনের এ প্রক্রিয়া এসেছে এনআইএইচ এবং মডের্না ইনকর্পোরেশনের হাত ধরে। পরীক্ষামূলক ভ্যাকসিন থেকে স্বেচ্ছাসেবীদের সংক্রমিত হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।

এই ভ্যাকসিনে করোনাভাইরাস নেই। মূলত ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বোঝার জন্য এই পরীক্ষা চালানো হচ্ছে। বড় কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া না থাকলে তা আরও বড় পরীক্ষার পথ খুলে দেবে।

করোনার প্রাদুর্ভাব শুরুর পর থেকেই সারা বিশ্বেই গবেষকরা এর ভ্যাকসিন তৈরির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

কোনো কোনো গবেষক সাময়িক এক ধরনের ভ্যাকসিন তৈরির চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা বলছেন, সাময়িক এ ভ্যাকসিন মানুষের শরীরে এক থেকে দু'মাস কাজ করবে, ততদিনে দীর্ঘমেয়াদি ভ্যাকসিন তৈরির পথ খুলে যাবে বলেও আশাবাদ প্রকাশ করেন তারা।

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত