ঢাকা, রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : কিছুক্ষণ আগে
শিরোনাম

মার্কিন নির্বাচনে ‘সামাজিক মাধ্যম’ নিয়ে বিতর্ক

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ০৩ নভেম্বর ২০২০, ১১:৪৩

মার্কিন নির্বাচনে ‘সামাজিক মাধ্যম’ নিয়ে বিতর্ক

যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনী প্রচারণার উত্তাপ শুধু যে দুই প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীর গায়ে এসেই লাগছে তাই নয় - সামাজিক মাধ্যম কোম্পানিগুলোকে লক্ষ্য করেও উঠছে নিত্য নতুন অভিযোগ। অভিযোগের মূল কথা হলো: সামাজিক মাধ্যম কোম্পানিগুলো তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার করছে। খবর বিবিসির।

বিশেষ করে সাম্প্রতিক একটি ঘটনার প্রতিক্রিয়া হয়েছে খুবই ক্রুদ্ধ। ডেমোক্র্যাটিক প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জো বাইডেনের ছেলে হান্টারের কথিত কিছু ইমেইলের স্ক্রিনশটসহ একটি অনুসন্ধানী রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল নিউইয়র্ক পোস্ট পত্রিকা। কিন্তু টুইটার ব্যবহারকারীরা যখন সেই রিপোর্টের লিংক টুইটারে পোস্ট করতে গেলেন তখন টুইটার সেটা ব্লক করেছিল।

টুইটারের বক্তব্য ছিল, তারা এটা করেছে কারণ তাদের নীতিমালায় আছে যে হ্যাকিং-এর মাধ্যমে পাওয়া কোন দলিল এ প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করা যাবে না। এতে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। টুইটার তখন তাদের যুক্তিগুলো ঠিকমত ব্যাখ্যা করতে না পারার জন্য দু:খ প্রকাশ করে।

তবে অনেক রিপাবলিকান সমর্থকের চোখে এটা ছিল চূড়ান্ত প্রমাণ যে সামাজিক মাধ্যমগুলো রক্ষণশীলদের বিরুদ্ধে পক্ষপাত দেখাচ্ছে।

বুধবার মার্কিন সেনেটের একটি কমিটির সামনে হাজির হতে হয়েছিল ফেসবুক, টুইটার ও গুগলের প্রধানদের। সেখানে তাদেরকে এই পক্ষপাতের ইস্যুতেই রাজনীতিবিদদের দিক থেকে কড়া কড়া প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় ।

টুইটারের নীতিমালা অনুযায়ী তারা বিভিন্ন কনটেন্ট মুছে দিতে পারে বা তাকে ভুয়া তথ্য (মিসইনফরমেশন) বলে চিহ্নিত করতে পারে। বিশেষ করে এ নিয়ে সেনেটরদের তোপের মুখে পড়েছিলেন টুইটারে প্রধান জ্যাক ডরসি।

শুধু রিপাবলিকানরাই যে এ ব্যাপারে বিচলিত হয়ে পড়েছেন তা নয়। ওই কমিটির ডেমোক্র্যাট সদস্যরা বড় বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোকে জঙ্গী ঘৃণা-ছড়ানো গোষ্ঠীগুলোর উত্থানে মদদ দেবার অভিযোগ করেন।

আগস্ট মাসে পিউ রিসার্চ সেন্টারের এক জরিপে আভাস মেলে, রিপাবলিকানদের ৯০ শতাংশই মনে করে যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাজনৈতিক মতামত সেন্সর করা হয়। ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে এই মত পোষণ করেন ৫৯ শতাংশ লোক।

টুইটার অবশ্য ফেসবুকের চাইতে অনেক আলাদা। এর ব্যবহারকারীদের খুব সামান্য একটি অংশ নিয়মিত তাদের নিজেদের কনটেন্ট পোস্ট করে থাকে।

সম্প্রতি পিউ এর এক জরিপ বলছে, যুক্তরাষ্ট্রে নিয়মিত পোস্ট করেন এমন প্রাপ্তবয়স্ক টুইটারদের ৭০ শতাংশই ডেমোক্র্যাট। এর ফলে টুইটারকে হয়তো অধিকতর উদারনৈতিক প্ল্যাটফর্ম বলা যায়, কিন্তু এখানে রক্ষণশীলদের বিরুদ্ধে পক্ষপাত করা হচ্ছে এমন অভিযোগ প্রমাণ করা কঠিন।

ঠিক এই কারণেই সামাজিক মাধ্যম কোম্পানিগুলোর হয়তো তাদের প্ল্যাটফর্মে কী প্রকাশ করা যাবে বা যাবে না - তা মডারেট না করাটাই ভালো। কারণ, এটা করা শুরু করলেই আপনি রাজনীতির ভেতরে ঢুকে পড়বেন।

কিছু রিপাবলিকান নেতা মনে করেন, সামাজিক মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে যে কোন রকম সম্পাদনাই মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপের শামিল।

মার্চ মাসে এক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এতে বলা হয় ‘ইন্টারনেটে আমেরিকানরা কী দেখতে পারবে বা বলতে পারবে তা সীমিতসংখ্যক কিছু অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ঠিক করে দেবে - এটা আমরা হতে দিতে পারি না।'

বাংলাদেশ জার্নাল/নকি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত