ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

রাম রহিমের বিরুদ্ধে ফের মামলা

৪০০ শিষ্যের অণ্ডকোষ কর্তন

৪০০ শিষ্যের অণ্ডকোষ কর্তন

প্রায় ৬ মাস ধরে জেলে রয়েছেন স্বঘোষিত ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিম সিং। ডেরা সাচা সওদা প্রধান আশ্রমের ভিতরেই দুই সাধ্বীকে ধর্ষণের সাজা ভোগ করছে। কিন্তু এবার তার বিরুদ্ধে উঠে গেল আরও গুরুতর অভিযোগ।

আশ্রমের প্রায় ৪০০ জন পুরুষ শিষ্যের যৌনক্ষমতা পাকাপাকিভাবে কেড়ে নেন গুরমিত রাম রহিম। কেটে ফেলেছিলেন তাদের অণ্ডকোষ। পেপসির সঙ্গে মাদক মিশিয়ে সংজ্ঞাহীন করে চলত সার্জারি। এই অভিযোগে রাম রহিমের বিরুদ্ধে নতুন করে মামলা রুজু করল সিবিআই।

বৃহস্পতিবার সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন-এর অফিসাররা রাম রহিম ও তার দুই ডাক্তার শিষ্যের বিরুদ্ধে পঞ্চকুলার বিশেষ আদালতে নয়া মামলা রুজু করেছে। অভিযুক্ত দুই চিকিৎসক পঙ্কজ গর্গ ও এমপি সিং-ই ৪০০ জনের অণ্ডকোষ কেটে ফেলার অপারেশন করেন বলে জানিয়েছেন সিবিআই অফিসাররা।

রাম রহিম ও তার দুই চিকিৎসক আশ্রমের শিষ্যদের মধ্যে প্রচার করতেন, যৌনক্ষমতা হারালেই ঈশ্বরের কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়া যাবে। পুণ্য অর্জন হবে, হবে সিদ্ধিলাভও। যদিও তদন্তকারী অফিসাররা বলছেন, এসব রাম রহিমের যৌন পিপাসার ফল। আশ্রমের সমস্ত কম বয়সী সাধ্বীদের একাই ভোগ করার লালসা ছিল রাম রহিমের। তাই তিনি আশ্রমে নিজে ছাড়া অন্য কোনও পুরুষ মানুষ থাকুক, সেটি চাইতেন না।

তাই সিরসার আশ্রমের ৪০০ জন শিষ্যর নির্বীজকরণের নির্দেশ দেয় রাম রহিম। এই ঘটনার তদন্তের ভার কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়েছে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্ট। সিবিআই মুখপাত্র অভিষেক দয়াল বলছেন, রাম রহিমের বিরুদ্ধে প্রায় ৪০০ জন অভিযোগ দায়ের করে জানিয়েছেন, তাদের ভুল বুঝিয়ে সার্জারি করানো হয়। বলা হয়, মিলনক্ষমতা হারালেই নাকি ঈশ্বরের কাছাকাছি আসা যাবে, হয়ে ওঠা যাবে রাম রহিমের বিশেষ ভক্ত। সেই লোভেই শিষ্যরা সার্জারি করান। কিন্তু এবার বাবার জারিজুরি ধরা পড়ে যাওয়ায় প্রতিবাদে মুখর হয়েছেন ওই শিষ্যরা।

প্রসঙ্গত, ২০০২-এ দু’টি ধর্ষণের মামলায় গতবছরের আগস্টে গ্রেপ্তার করা হয় রাম রহিমকে। আগামী ২০ বছর তাকে জেলে কাটাতে হবে। তার গ্রেপ্তারের পরই রাম রহিমের পালিতা কন্যা হানিপ্রীতের প্ররোচনায় পঞ্চকুলা ও সিরসায় ব্যাপক সহিংসতা শুরু হয়। এতে কমপক্ষে ৩০ জন নিহত এবং আরো ২৫০ জনেরও বেশি আহত হন।

সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত