ঢাকা, রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

ইউক্রেন যুদ্ধকে পরীক্ষাক্ষেত্র হিসেবে নিয়েছে আমেরিকা

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৫২

ইউক্রেন যুদ্ধকে পরীক্ষাক্ষেত্র হিসেবে নিয়েছে আমেরিকা
রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ। ফাইল ছবি।

২০২২ সালে যুদ্ধ শুরুর মাসগুলোতে সংঘাত অবসানের জন্য মস্কোর সঙ্গে কিয়েভ একটি সমঝোতার কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল। কিন্তু ওয়াশিংটন ও লন্ডন কূটনীতির পথ পরিহার করার জন্য কিয়েভের ওপর চাপ সৃষ্টি করে এবং ইউক্রেনকে বিপুল পরিমাণ সমরাস্ত্র সরবরাহ করতে থাকে। ফলে ইউক্রেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধে জড়িয়ে যায়।

এছাড়া দিনে দিনে বিশ্বে নিজের প্রভাব হ্রাস পাওয়ার চিত্রটি বেশ ভালোভাবেই উপলব্ধি করতে পারছে যুক্তরাষ্ট্র। চীন ও রাশিয়ার নতুন করে একক শক্তি হিসেবে উত্থানে কিছুটা হলেও শঙ্কিত আমেরিকা। দারন এশিয়াসহ বিশ্বের অনেক বাজার হাতছাড়া হচ্ছে রাশিয়া ও চীনের কারণে। তাই অদূর ভবিষ্যতে হয়তো এদের কারো সঙ্গে আমেরিকার যুদ্ধটা অনিবার্য হিসেবে দেশছে ওয়ার্মিটর। তাই ইউক্রেন যুদ্ধকে ভবিষ্যতে সরাসরি রাশিয়া বা চীনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার পরীক্ষাক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহার করছে আমেরিকা। সংশ্লিষ্ট মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্ট এ খবর দিয়েছে।

ইউক্রেন যুদ্ধে জড়িত উভয় পক্ষের এক বছরের গৃহিত অভিজ্ঞতার ওপর ভিত্তি করে এক গোপন গবেষণার উদ্ধৃতি দিয়ে ওই খবরে বলা হয়েছে, এই গবেষণা আমেরিকার পরবর্তী জাতীয় প্রতিরক্ষা কৌশল নির্ধারণ করতে সাহায্য করবে।

২০ জন কর্মকর্তার নেতৃত্বে ওই গবেষণা হয়েছে যারা পাঁচটি প্রধান ক্ষেত্রকে চিহ্নিত করে কাজ করেছেন। ক্ষেত্রগুলো হচ্ছে- বিমান শক্তি, তথ্য যুদ্ধ, টেকসই ও ক্রমবর্ধমান বাহিনী এবং দূরপাল্লার লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার ক্ষমতা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মার্কিন সেনা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, তারা যাতে যুদ্ধের প্রভাব বুঝতে পারে সেজন্য আমরা তাদের এই সংঘাতে নিয়োজিত করেছি। আরেকজন কর্মকর্তা বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধলব্ধ অভিজ্ঞতা হবে আমাদের স্থায়ী সম্পদ। মার্কিন কর্মকর্তা আরো বলেছেন, ইউক্রেন দেখিয়েছে যে, মার্কিন সৈন্যরা যুদ্ধক্ষেত্রে যা কিছু করে তার সবকিছুই পুনর্মূল্যায়ন করে দেখা দরকার।

মার্কিন সরকার ও তার ইউরোপীয় মিত্ররা গত দুই বছরব্যাপী চলমান ইউক্রেন যুদ্ধকে রাশিয়াকে দুর্বল করার হাতিয়ার হিসেবে গ্রহণ করেছে। কিন্তু পশ্চিমা দেশগুলোর এ নীতি কার্যত ইউক্রেনকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করছে।

উল্লেখ্য, রাশিয়া ২০২২ সালের ২৪শে ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন আক্রমণ করে। এই আক্রমণটিকে আন্তর্জাতিকভাবে আগ্রাসন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে ইউরোপের সবচেয়ে বড় শরণার্থী সংকটের সূত্রপাত করে, ৮.৮ মিলিয়নেরও বেশি ইউক্রেনীয় দেশ ছেড়েছে, এবং আরও লক্ষাধিক অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়।

সূত্র- পার্সটুডে

বাংলাদেশ জার্নাল/এসএস

  • সর্বশেষ
  • পঠিত