ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

কামানের গোলা ছুড়ে ইফতারের সংকেত দেয় যে দেশ

  ডেস্ক প্রতিবেদন

প্রকাশ : ১৯ মার্চ ২০২৪, ১১:০৪

কামানের গোলা ছুড়ে ইফতারের সংকেত দেয় যে দেশ
ছবি: সংগৃহীত

রমজান মাসকে ঘিরে বিশ্বব্যাপী রয়েছে নানা অনুষ্ঠান আর রীতি-রেওয়াজ। সেহেরী আর ইফতারকে ঘিরে চলে নানান প্রস্তুতি। সাধারণত মাগরিবের আযান দেয়ার সাথে সাথেই সবাই ইফতার করেন।

কিন্তু ব্যতিক্রমী নিয়মও রয়েছে কিছু দেশে। এমনটাই জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।

রমজানে মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশে প্রতিদিন কামান দাগিয়ে ইফতারের সময় জানিয়ে দেয়ার রেওয়াজ বেশ পুরোনো। কুয়েতও এর ব্যতিক্রম নয়।

বাংলাদেশে ইফতারের সময় হলেই দেখা যায় বিভিন্ন মসজিদে সাইরেন কিংবা ‘ইফতারের সময় হয়েছে, আপনারা ইফতার করে নিন’ বলে দেয়া হয়। অন্যদিকে কুয়েতে ইফতারের সময় জানাতে কামানের গোলা ছোড়ার আওয়াজ শোনানো হয়। যা ‘মিডফা আল ইফতার’ নামে পরিচিত।

রোজাদারদের জানাতে দেশটির শাসক শেখ মোবারক আল সাবাহ এ রীতি চালু করেন বলে জানা যায়। এটি কুয়েতের ঐতিহ্যও বটে। ইফতারের সময় হলেই দেশটির বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম এ দৃশ্য সরাসরি সম্প্রচার করে। যেটা দেখে রোজাদাররা ইফতার শুরু করেন। কুয়েত ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যের আরও কয়েকটি দেশে এ রীতি চালু আছে।

জানা যায়, কুয়েত সিটির লিবারেশন টাওয়ারের পাশেই নায়েফ প্রাসাদে এ কামান বসানো হয়েছে। নায়েফ প্রাসাদটি ১৯১৯ সালে শেখ সালেম আল-মুবারক আল-সাবাহ-এর শাসনামলে নির্মিত হয়েছিল। কুয়েতে প্রথম কামানটি ১৯০৭ সালে শেখ মুবারক আল-সাবাহ-এর শাসনাধীনে আসে।

কামানটি ছিল ইরানের গভর্নরের কাছ থেকে পাওয়া একটি উপহার ছিল। নায়েফ প্রাসাদের বর্তমান কামানটি ১৯৯২ সালে বাহরাইন রাজা থেকে প্রতিশ্রুতি হিসেবে এসেছে। এই কামান দাগাতে তিনজন ইউনিফর্মধারী গার্ড কাজ করেন। কামানের গোলা ছোড়ার এ দৃশ্য দেখতে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসেন স্থানীয় নাগরিক ও প্রবাসীরা। তাদের কাছে এটি মনোমুগ্ধকরও বটে। বলা হয়ে থাকে, মিশরের তৎকালীন শাসক খোস কাদাম একদিন সূর্যাস্তের সময় নতুন একটি কামান পরীক্ষা করতে গিয়ে ঘটনাক্রমে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ফেলেন। সেটা ছিল রমজানের মাগরিবের সময়।

সমগ্র কায়রোয় শব্দটি শোনা গিয়েছিল। স্থানীয়রা মনে করেছিল, ইফতারের সময় হয়েছে, তা জানাতে এটি নতুন শাসকের নতুন পদ্ধতি। বিশিষ্ট ব্যক্তি ও সমাজের অভিজাত ব্যক্তিরা সুলতানের কাছে গিয়েছিলেন এবং তার সদয় অঙ্গভঙ্গির জন্য তাকে ধন্যবাদ জানান। তখন থেকে এ ঐতিহ্য আজ অবধি অব্যাহত রয়েছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/ এমএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত