ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১১ মিনিট আগে
শিরোনাম

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড্যানিয়েল কাহনেম্যান মারা গেছেন

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ২৮ মার্চ ২০২৪, ১২:৫১

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড্যানিয়েল কাহনেম্যান মারা গেছেন
ড্যানিয়েল কাহনেম্যান। সংগৃহীত ছবি

২০০২ সালে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মনোবিজ্ঞানী ড্যানিয়েল কাহনেম্যান মারা গেছেন। ৯০ বছর বয়সে তিনি মারা যান বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সিতে অবস্থিত প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটি। ১৯৯৩ সাল থেকে এই বিশ্ববিদ্যালয়েই মনোবিদ্যা এবং পাবলিক অ্যাফেয়ার্স বিভাগের প্রফেসার এমেরিটাস হিসেবে কর্মরত ছিলেন। খবর বিবিসির।

প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক এলদার শফির বলেন, ‘ড্যানিয়েল একজন জ্ঞানী, প্রিন্সটনের একজন তারকা, উজ্জ্বল মেধাবী মানুষ এবং একজন মহান সহকর্মী ও বন্ধু ছিলেন। তিনি আসার পর থেকে সামাজিক বিজ্ঞানের অনেক ক্ষেত্র আর একরকম ছিল না। তাকে খুব মিস করব।’

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, বিহেভেরিয়াল ইকোনমিক্স বা আচরণগত অর্থনীতির সমার্থক হয়ে উঠেছিলেন ড্যানিয়েল কাহনেম্যান। যদিও কখনও অর্থনীতির কোর্স করেননি এই নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ। ইউনিভার্সিটি ড্যানিয়েল কাহনেম্যানের মৃত্যুর কথা ঘোষণা করেছে।

মূলত মানুষের অভ্যাস, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ধরন কী ভাবে ব্যয় এবং তার হাত ধরে অর্থনীতিকে প্রভাবিত করে (বিহেভেরিয়াল ইকনমিক্স) তা নিয়ে গবেষণা করেছেন কাহনেম্যান। বিশেষত অনেক কিছুই না জেনে কীভাবে একজন সিদ্ধান্ত নেন বা নেন না, কেমন আয়ের মানুষ বেশি খুশি থাকেন- এই সব ঘিরেই আবর্তিত তার কাজ। আর এটিই পাল্টে দিয়েছে অর্থনীতি সম্পর্কে বহু চিরাচরিত ধ্যান-ধারণাকে। ‘প্রসপেক্ট থিয়োরি’ (অনিশ্চয়তার মধ্যে সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া) নিয়ে গবেষণার জন্য ২০০২ সালে নোবেল পান তিনি।

১৯৩৪ সালে কাহনেম্যান ফিলিস্তিনের (বর্তমান ইসরায়েলের) তেল আবিবে জন্মগ্রহণ করেন। নিজের প্রাথমিক জীবনের বেশিরভাগ সময় নাৎসি-অধিকৃত ফ্রান্সে কাটিয়েছিলেন তিনি। সেখানে তার বাবা একটি রাসায়নিক কারখানায় গবেষণার প্রধান হিসেবে কাজ করতেন। তবে ইসরায়েল রাষ্ট্র সৃষ্টির ঠিক আগে ১৯৪৮ সালে কাহনেম্যানের পরিবার ব্রিটিশ শাসিত ফিলিস্তিনে ফিরে আসে।

১৯৫৪ সালে ইসরায়েলের জেরুজালেমে হিব্রু ইউনিভার্সিটি থেকে মনস্তত্ত্ববিদ্যা নিয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেন কাহনেম্যান। পরে তিনি যোগ দেন ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সে। সেখানে সেনা নিয়োগে মানসিকতা যাচাই করতে তৈরি করেন বিশেষ ব্যবস্থা। পরে আমেরিকার বার্কলেতে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফর্নিয়া থেকে পিএইচডি করার পরে ফের হিব্রু ইউনিভার্টিসিতে যোগ দেন অধ্যাপক হিসেবে। ২০১১ সালে প্রকাশিত হয় কাহনেম্যানের বিখ্যাত বই ‘থিংকিং ফাস্ট অ্যান্ড স্লো’।

বাংলাদেশ জার্নাল/এফএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত