আট বছর পর পৌঁছালো ১০ টন চিঠি-পার্সেল
জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশ : ১৯ আগস্ট ২০১৮, ১০:১৬ আপডেট : ১৯ আগস্ট ২০১৮, ১০:২১
পরিবার পরিজন, বন্ধু-বান্ধব বা আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে যোগাযোগ, তথ্য ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আদান-প্রদানে চিঠিপত্র ও ডাক বিভাগের গুরুত্ব অপরিসীম। এখনকার আধুনিক যুগে এগুলো সেকেলে মনে হলেও বর্তমানে এর উপযোগিতা কম নয়। দূর-দূরান্ত থেকে আপনজন বা কাছের মানুষদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা এবং প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আদান-প্রদানে তাই আমরা এখনও ডাক ও পার্সেল বিভাগের স্মরণাপন্ন হই।
কিন্তু অতি দরকারি এসব চিঠি-পার্সেল যদি সঠিক সময়ে না পাওয়া যায় তাহলে তার গুরুত্ব যেমন কমে যায় তেমনি তা অনেক সময় বিপর্জয়ের কারণও হয়ে দাঁড়ায়। আর সেই সময়ের ব্যবধান যদি হয় ৮ বছর তাহলে তো কথাই নেই। হ্যা পাঠক, সম্প্রতি ইসরাইলের হাতে এমনই ঘটনার শিকারে পরিণত হয়েছে নিরীহ ফিলিস্তিনি জনগণ।
ফিলিস্তিনি প্রাপকদের পাঠানো চিঠিপত্র ও পার্সেল আট বছর পর জর্ডান থেকে ফিলিস্তিনে প্রবেশ করতে দিয়েছে ইসরাইল। ইসরাইলি বাধার কারণে পড়ে থাকা এসব চিঠিপত্র ও পার্সেলের ওজন এখন ১০ টন!গত সপ্তাহে এসব চিঠিপত্র ও পার্সেল ফিলিস্তিনি ডাক বিভাগের হাতে পৌঁছেছে, যার মধ্যে পারিবারিক ছবি, পোস্টকার্ড ও চিঠির সঙ্গে ওষুধ থেকে শুরু করে করে হুইল চেয়ারের মতো পার্সেলও রয়েছে। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইল ১০ টনের চিঠিপত্র ও পার্সেলের যে চালান ফিলিস্তিনি ডাক বিভাগের হাতে দিয়েছে তার বহু জিনিসই নষ্ট হয়ে গেছে বা ভেঙে গেছে। এসব পার্সেলের সঙ্গে 'ইসরাইলের কাছ থেকেই সেগুলো ভাঙা বা নষ্ট অবস্থায় এসে পৌঁছেছে' উল্লেখ করে এখন নোট সেঁটে দিচ্ছেন ডাক বিভাগের কর্মীরা।
ফিলিস্তিনি ডাক বিভাগের বাছাই কেন্দ্রের কর্মকর্তা রামাদান ঘাজাবি বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, এসব চিঠিপত্র বাছাই করতে দুই সপ্তাহ সময় লেগে যাবে।
ফিলিস্তিনের ডাক বিভাগের পরিচালক হুসেইন সাওয়াফতা জানিয়েছেন, ইসরাইলের ডাক বিভাগের নামে আসেনি বলেই সেগুলোকে আটকে দেয়া হয়েছিল।
উল্লেখ্য, ৮ বছর আগে থেকেই সরাসরি ফিলিস্তিনের ডাক বিভাগের কাছে পাঠানো কোনো চিঠি বা পার্সেল বিলি করে না দখলদার ইসরাইল।
বাংলাদেশ জার্নাল/এনএস