ঢাকা, রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ মিনিট আগে
শিরোনাম

প্রেমিকের সঙ্গে রাত কাটালেন তিন সন্তানের মা, তারপর?

প্রেমিকের সঙ্গে রাত কাটালেন তিন সন্তানের মা, তারপর?

স্বামী মারা গেছেন দশ বছর আগে। দিনমজুরির আয়ে তিন সন্তানকে নিয়ে একাই সংসার টানতেন লীলা ভুঁইঞা। কাজের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল এক যুবকের সঙ্গে। সম্পর্ক দানা বাঁধতে শুরু করে। বন্ধুত্ব গড়ায় ভালোবাসায়। প্রেমিককে নিয়ে ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখছিলেন লীলা। কিন্তু অকালেই ঝড়ে গেল তার স্বপ্নের কুঁড়ি। প্রেমিকের হাতেই খুন হতে হল তাকে। পশ্চিমবঙ্গের আসানসোলের কুলটিতে এক গৃহবধূর রহস্যমৃত্যুতে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।

কুলটির রাধানগরের বাসিন্দা ছিলেন লীলা ভুঁইঞা। দশ বছর আগে তার স্বামীর মৃত্যু হয়। রাধানগরের হাটিয়ায় এলাকায় ছেলে-মেয়েদের নিয়ে একটি এক কামরার ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতেন লীলা। কয়েক বছর আগে পেশায় ইসিএল কর্মী হপন মাঝির সঙ্গে পরিচয়। এরপর তার সঙ্গেই সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি।

প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, হপনের সঙ্গে লীলার সম্পর্ক ভালোই ছিল। লীলার তিন সন্তানও হপনকে মেনে নিয়েছিল। লীলা সন্তানদের ভরণপোষণের দায়িত্বও নিয়েছিলেন হপন। মাঝেমধ্যেই লীলার বাড়িতে রাত কাটাতেন হপন। মাঝেমধ্যে ঘুরতেও যেতেন দু’জনে মিলে।তারা বিয়ে করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।

গত রবিবার রাতে (৭ অক্টোবর) লীলাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় হপন। রাধানগর পেট্রোল পাম্প সংলগ্ন এলাকার একটি বাড়িতে ঘর ভাড়া নিয়ে ওঠেন তারা। কিন্তু রাতে আর বাড়ি ফিরেনি লীলা। এমনকি পরেরদিনও না। আসলে কেোনদিনই আর বাড়ি ফিরবে না সে। ফিরবে না প্রিয় সন্তানদের কাছেও।

মায়ের খোঁজে ছেলেমেয়েরা ছুটে যায় হপনের বাড়িতে। তারা দেখে, বিছানায় অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছেন তাদের মা।

পরে স্থানীয়রা কুলটির নিয়ামতপুর ফাঁড়িতে খবর দেন। পুলিস গিয়ে লীলাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিত্সকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় হপন মাঝিকে আটক করেছে পুলিস। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরও দুজনকে আটক করা হয়েছে। তবে লীলাকে কীভাবে খুন করা হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

এছাড়া ভালোবাসার কথা বলে লীলাকে কেন হত্যা করা হলো সেই রহস্যও এখনও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।

সূত্র: জি২৪ঘণ্টা

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত