ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

যৌনাঙ্গে মরিচের গুঁড়ো দিয়ে নাবালিকাদের ‘শাস্তি’

যৌনাঙ্গে মরিচের গুঁড়ো দিয়ে নাবালিকাদের ‘শাস্তি’

বয়স ছয় থেকে পনেরো। এই বয়সে স্কুলে পড়াশোনার বদলে রান্না করা, বাসন মাজা বা জামাকাপড় কাচাকাচির কাজ করতে হয়। সেই সঙ্গে নিজেদের ঘরদোর বা বাথরুম পরিষ্কার করাটাও বাধ্যতামূলক। অবাধ্য হলে জোটে মারধর। এমনকি, শাস্তি হিসাবে মরিচের গুঁড়ো ঠেসে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় যৌনাঙ্গে।

এমন শিউরে ওঠা ছবিটা দিল্লির দ্বারকা এলাকার এক বেসরকারি শেল্টার হোমের। অভিযোগ, হোমের আবাসিক ২২ জন মেয়ের উপরে নিয়মিত এ ভাবেই চলছে যৌন হেনস্থা এবং শারীরিক নির্যাতন। হোমের সদস্যরাই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই ওই হোমের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে স্থানীয় পুলিশ।

দিল্লির মহিলা কমিশনের গঠিত এক বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্যেরা বৃহস্পতিবার রাতে আচমকাই হানা দিয়েছিলেন দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লির ওই হোমে। দিল্লি সরকারের পরামর্শেই গঠিত হয়েছিল ওই কমিটি। রাজধানীর সরকারি-বেসরকারি হোমের ভিতরকার ছবিটা জানতে কাজ শুরু করে সেটি। সেই অভিযানের অঙ্গ হিসাবেই দ্বারকার ওই হোমে পৌঁছন তারা। হোমের আবাসিকদের সঙ্গে কথা বলে শিউরে উঠার মতো তথ্য সামনে আসে।

কমিটির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার পর ওই হোমে যান দিল্লির মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন স্বাতী মালিওয়াল। শুক্রবার কমিশন জানিয়েছে, কয়েকটি মেয়ের অভিযোগ, ওই হোম কর্তৃপক্ষের কথা না শুনলে জুটত বেধড়ক মারধর। যৌনাঙ্গে মরিচের গুঁড়ো ঢুকিয়ে দেওয়া ছাড়াও শাস্তি হিসাবে তাদের জোর করে লঙ্কাগুঁড়ো খাইয়েও দেওয়া হত।

ঘটনার কথা জানিয়ে এর পর পুলিশের দ্বারস্থ হয় কমিশন। পুলিশ জানিয়েছে, হোমের আবাসিকদের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে।

দ্বারকার ডিসিপি আন্টো আলফোন্সে বলেন, ওই হোমের বিরুদ্ধে প্রোটেকশন অব চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়্যাল অফেন্সেস অ্যাক্ট (পকসো) এবং জুভেনাইল জাস্টিস অ্যাক্ট-এর আওতায় এফআইআর করা হয়েছে।

এফআইআর করা ছাড়াও কমিশনের সদস্য এবং পুলিশকর্মীরা ওই হোমে সব সময়ের জন্য নজরদারি করবেন বলেও জানিয়েছেন ডিসিপি।

প্রশাসনিক স্তরে এই ঘটনা নিয়ে তৎপরতা শুরু হয়েছে। এ নিয়ে তদন্ত কমিটিও গড়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে দিল্লি সরকার।

সূত্র: আনন্দবাজার

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত