ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

ইমরানকে গোপনে শুভেচ্ছা জানালেন মোদি

ইমরানকে গোপনে শুভেচ্ছা জানালেন মোদি

পাকিস্তানের জাতীয় দিবস উপলক্ষে সে দেশের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে শুভেচ্ছা জানিয়ে গোপনে বার্তা পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। যদিও কাশ্মীরের তথাকথিত বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের আমন্ত্রণের ছুতো ধরে নয়াদিল্লিস্থ পাকিস্তান হাই কমিশনের অনুষ্ঠানে যোগ দেয়নি ভারত।

পুলওয়ামা হামলা ও বালাকোটে ভারতীয় বিমানবাহিনীর বোমাবর্ষণের পর লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে এখনও পাক বিরোধিতা জারি রয়েছে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর। আর এ কারণেই বোধহয় ইমরানকে দেয়া শুভেচ্ছাবার্তাটি গোপন করার চেষ্টা করেছিলেন মোদি।

এ নিয়ে সে দেশের বাংলা পত্রিকা আনন্দবাজারের ভাষ্য, ‘এই শুভেচ্ছার কথা জানাই যেত না যদি না পাক প্রধানমন্ত্রী তার টুইটে প্রধানমন্ত্রী মোদির পাঠানো শুভেচ্ছা-বার্তার কথা জানাতেন! কারণ, টুইট-প্রেমী মোদি সেই বার্তা সোশ্যাল মিডিয়ায় দেননি।’ ফলে মোদির এই শুভেচ্ছা বার্তাটি নিয়ে সমালোচনায় সরব হয়েছেন কংগ্রেসসহ সে দেশের বিরোধী দলীয় নেতারা।

ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা নিয়ে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান লিখেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মোদির পাঠানো বার্তা পেয়েছি। জাতীয় দিবসে আমি পাক নাগরিকদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। গণতন্ত্র, শান্তি, সুস্থিতি ও উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির লক্ষ্যে এই উপমহাদেশের মানুষকে একজোট হয়ে কাজ করতে হবে। এই অঞ্চলকে হিংসা ও সন্ত্রাসের পরিবেশ থেকে মুক্ত করতে হবে।’

প্রতি বছর ২৩ মার্চ দিনটিকে ‘জাতীয় দিবস’হিসেবে পালন করে পাকিস্তান। এবারও সেই অনুষ্ঠান হয়েছিল দিল্লির পাক হাইকমিশন ও ইসলামাবাদে। কিন্তু শুক্রবার দিল্লিতে পাক হাইকমিশনের অনুষ্ঠান বর্জন করে ভারত। কোনো কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তো বটেই, আমলারাও যাননি সেই অনুষ্ঠানে। শোনা যায়, ফোন করে সংবাদমাধ্যমকেও ওই অনুষ্ঠানে যেতে বারণ করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার।

এ নিয়ে শুক্রবার ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার জানায়, পাক হাইকমিশনের অনুষ্ঠানে জম্মু-কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন হুরিয়ত কনফারেন্স নেতাদের আমন্ত্রণ জানানোয় তারা এটি বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দিল্লিতে পাক হাইকমিশনের ওই অনুষ্ঠানে ৩০ জন হুরিয়ত নেতাকে আমন্ত্রণ জানান হয়েছে।

এ নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রবীশ কুমার শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমাদের অবস্থান জানা সত্ত্বেও পাকিস্তান হুরিয়ত নেতাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে। আমরা এটাকে হালকা ভাবে নিচ্ছি না। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ভারতের কোনও প্রতিনিধি ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন না।’

পাকিস্তানে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনারও ইসলামাবাদের ওই অনুষ্ঠান বয়কট করেন।

উল্লেখ্য, হুরিয়তের বেশির ভাগ নেতাই এখন বন্দি অথবা আত্মগোপনে রয়েছেন। তাই শুক্রবার তাদের সামনের সারির কোনও নেতাকেই দেখা যায়নি ওই অনুষ্ঠানে। মনে করা হচ্ছে, ধরপাকড়ের ভয়ে তাদের কেউ আসেননি। দিল্লিতে কাল মহম্মদ হাসান আন্টু নামে হুরিয়তের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এদিকে ইমরানকে টুইট পাঠানো নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীর ‘দ্বিমুখী নীতি’র সমালোচনায় সরব হয়েছেন কংগ্রেসসহ বিরোধী দলের নেতারা। কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রিয়ঙ্কা চতুর্বেদী টুইটে লেখেন, ‘জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নে সরকারের এই দ্বিচারিতা আমাদের খুব একটা অবাক করেনি!’

আর জম্মু-কাশ্মীরের ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা ও প্রাক্তন মুখ্য়মন্ত্রী ওমর আবদুল্লা টুইটে প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মোদির কাছে কোনটা নীতি আর কোনটা নীতি নয়, তা বোঝা মুশকিল!’

সূত্র: আনন্দবাজার

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত