ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৫২ মিনিট আগে
শিরোনাম

ভারত জুড়ে চলছে চিকিৎসকদের ধর্মঘট

  কলকাতা প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৭ জুন ২০১৯, ১৫:১১

ভারত জুড়ে চলছে চিকিৎসকদের ধর্মঘট

পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার নীল রতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (এনআরএস) রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে জুনিয়র চিকিৎসকদের মারধোরের ঘটনায় চিকিতসকদের আন্দোলন ক্রমশই বড়ো আকার নিচ্ছে। সোমবার দুপুর ১২ টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ভারতের রেসিডেন্ট চিকিতসকেরা কর্মবিরতি শুরু করে দিয়েছে। চিকিৎসকদের সংগঠন আইএমএ-র ডাকে শুরু হয়েছে এই কর্মবিরতি।

দিল্লির এইমস হাসপাতালের তরফে সমর্থন করা হয়েছে এই কর্মবিরতিকে। যার ফলে সোমবার ফের চূড়ান্ত হয়রানির শিকার হচ্ছেন রোগী ও রোগীর পরিবারের লোকজন। কলকাতার এনআরএসে জুনিয়র চিকিৎসকদের বিদ্রোহের পাশে দাঁড়িয়ে এদিনের কর্মবিরতিতে সামিল হয়েছেন ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের চিকিৎসকেরা।

এদিন দুপুর ১২ টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬ টা পর্যন্ত কর্মবিরতিতে সামিল হয়েছেন দিল্লির এইমসের রেসিডেন্ট চিকিৎসকেরা। যদিও তারা এইমসের আইসিইউ, ইমার্জেন্সি ও লেবার রুমের পরিষেবা চালু রেখেছেন।

এদিন মিছিল করে এইমসের চিকিৎসকেরা প্রতিবাদ জানান, কলকাতায় এনআরএসে জুনিয়র চিকিতসকদের উপর মারধোরের ঘটনায়। পাশাপাশি, তারা অচলাবস্থা কাটাতে সরকারি হস্তক্ষেপের দাবিও জানান।

এদিন কর্মবিরতি শুরু হতেই ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে সংকটে পড়ে চিকিৎসা পরিষেবা। ভারতের রাজস্থান রাজ্যে এদিনের চিকিৎসক কর্মবিরতির ব্যাপক প্রভাব পড়ে। সেখানে জরুরি পরিষেবা চালু রাখলেও ওপিডি বন্ধ রেখেছেন চিকিৎসকেরা। নিজেদের চেম্বারেও নেই চিকিৎসকেরা। বারাণসীর অন্যতম সুন্দরলাল হাসপাতালেও চিকিৎসকদের কর্মবিরতির জেরে নাভিশ্বাস দশা ছুটেছে রুগীদের।

ভুবনেশ্বর এবং ঝাড়খন্ডেও চিকিৎসকদের কর্মবিরতির ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। রাচিতে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছেন চিকিৎসকেরা। আসামেওও চলছে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি।

পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত সরকারি হাসপাতালে চলছে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি। এই কর্মবিরতির জেরে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের জরুরি বিভাগ খোলা থাকলেও আউটডোর এবং অস্ত্রোপচার বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন রোগী ও রোগীদের পরিবারের লোকজন।

ভারতের বিভিন্ন কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারি হাসপাতালগুলিতে চলছে কর্মবিরতি। এই কর্মবিরতির ডাক দেওয়া চিকিৎসকদের সংগঠন আইএমএ-র সেক্রেটারি জেনারেল আর ভি অশোকন বলেন, হাসপাতাল চত্বরে এই ধরনের হামলা চিকিৎসকদের মনোবল নষ্ট করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। এতে আখেরে ক্ষতি হয় রোগীদেরই। কারন, মুমূর্ষ রোগীদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে ঝুঁকি নেওয়ার আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেন চিকিৎসকেরা। তাই কর্মস্থলে চিকিৎসকদের নিরাপত্তায় কড়া আইন প্রয়োজন।

এদিকে দুপুরে কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি মেনেই তাদের কাছে পৌঁছে যায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য প্রশাসনিক ভবন নবান্নের আমান্ত্রণ পত্র। পাশাপাশি জানা গিয়েছে, জুনিয়র চিকিৎসকদের পরবর্তী দাবি অনুযায়ী গোটা বৈঠক লাইভ না হলেও নিরপেক্ষ ক্যামেরা দিয়েই তা রেকর্ড করা হবে এই বৈঠক।

রাজ্যের স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তার অফিসে আমন্ত্রণ পত্র তৈরি করার পর তা পৌঁছায় এনআরএস হাসপাতালে। চিঠিতে জানানো হয়েছে ৩টা থেকে শুরু হবে বৈঠক। কাজেই আড়াইটের মধ্যে ১৪টি হাসপাতালের প্রতিনিধিদের পৌঁছানোর আবেদন জানানো হয়েছে। পাশাপাশি বৈঠক রেকর্ডের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত