ফের কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো!
কানাডায় জাতীয় নির্বাচনে জয় পেয়ে ফের ক্ষমতায় আসতে চলেছে জাস্টিন ট্রুডোর ক্ষমতাসীন দল লিবারেল পার্টি। যদিও তাদের আসন সংখ্যা গতবারের চেয়ে অনেক কমেছে। ফলে সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে সংখ্যালঘু সরকার হিসেবে ট্রুডো ক্ষমতায় আসছেন বলে জানিয়েছে দেশটির জাতীয় সংবাদমাধ্যম সিবিসি।
কানাডার পূর্বাঞ্চলের কয়েকটি প্রদেশে শুরুতে হেরে গেলেও পার্লামেন্টে ট্রুডোর দল অধিকাংশ আসন ধরে রেখেছে।
এই নির্বাচনে কোন দল কত আসন পেয়েছে তা এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোনো গণমাধ্যম নিশ্চিত করতে পারেনি। সিবিসি বলছে, এখনো বেশ কিছু ভোট গণনা বাকি আছে।
তবে প্রাথমিক ফলাফলে দেখে গেছে, ৩০৪টি ইলেকটোরাল জেলার মধ্যে ট্রুডোর দল পেয়েছে ১৫৬টি আসন, কনজারভেটিভ ১২১টি। সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার নিশ্চিত করতে ট্রুডোর দরকার ছিল ১৭০টি আসন।
সোমবার কানাডার চার প্রদেশে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিরোধী কনসারভেটিভ পার্টি ভোটের আগে ট্রুডোর বিরুদ্ধে বড় ধরনের দুটি কেলেঙ্কারির অভিযোগ আনে। ফলে নির্বাচনে ট্রুডোকে বেশ অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছিলো। তবে এখন পর্যন্ত যেসব প্রদেশে ভোট হয়েছে তাতে ধারণা করা হচ্ছে লিবারেল পার্টিই আবারও জয়ী হতে যাচ্ছে।
গত চার বছর আগে সত্যিকারের পরিবর্তনের অঙ্গীকার নিয়ে বিশাল এক বিজয়ের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেন জাস্টিন ট্রুডো। চলতি বছরের নির্বাচনেও তার দলকেই পরবর্তী সরকারে দেখা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তবে নির্বাচনে জয় পেলেও ট্রুডোর দলের আসন সংখ্যা অনেক কম হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। ফলে পার্লামেন্ট কোনো প্রস্তাব পাস করার ক্ষেত্রে তাকে অন্য দলগুলোর ওপর নির্ভর করতে হতে পারে।
২০১৫ সালে ট্রুডো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণের সময় তার মন্ত্রিসভায় নারী-পুরুষের সমান অংশগ্রহণের কারণে বিশ্বের সংবাদ মাধ্যমে শিরোনাম হয়েছিলেন। যা তার দলের প্রধান গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য বলে তিনি প্রমাণ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু চার বছর বাদে তার সেই অঙ্গীকার প্রশ্নের মুখে পড়েছে।
দেশের ৪৩ তম জাতীয় নির্বাচনে ট্রুডোর মূল প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ পার্টির অ্যান্ড্রু শের। মোট ৩৩৮টি আসনে নির্বাচন সরকার গঠনের জন্য একটি দলকে কমপক্ষে ১৭০টি আসনে জয়লাভ করতে হবে।
প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী এবং লিবারেল পার্টির সাবেক নেতা পিয়েরে ট্যুডোর সন্তান জাস্টিন ট্রুডো। বাবার দেখানো পথেই এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি। সোমবার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মন্ট্রিলে ভোট দিয়েছেন ট্রুডো। গত চারদিন ধরে সারাদেশে নির্বাচনী প্রচারণায় বেশ গতিশীল দেখা গেছে তাকে। অপরদিকে নিজের নির্বাচনী জেলা সাস্কাটচেওয়ানে ভোট দিয়েছে শের।
এমএ/
