ঢাকা, শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

অবরুদ্ধ জম্মু-কাশ্মীরে এ কেমন নির্বাচন!

অবরুদ্ধ জম্মু-কাশ্মীরে এ কেমন নির্বাচন!

জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা লোপের পর থেকে সেখানে কার্যত কারফিউ জারি রয়েছে। প্রধান প্রধান দলগুলোর নেতারা এখনও অন্তরীণ। বন্ধ রয়েছে টেলিফোন ও ইন্টারনেট সেবা। লাখ লাখ সেনা টহলদারিতে গোটা উপত্যকার মানুষজন এখনও বন্দি। এ অবস্থায় সেখানে তড়িঘড়ি একটি পঞ্চায়েত নির্বাচন করেছে মোদি সরকার। সেই নির্বাচনে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি ছাড়া আর কোনো রাজনৈতিক দল অংশ না নেয়ায় ভালো ফাঁকা মাঠেই গোল দিয়েছে মোদির দল।

কাশ্মীরে অন্যায়ভাবে উপত্যকার মানুষদের দীর্ঘদীনের অধিকার ৩৭০ ধারা বাতিলের পর বৃহস্পতিবার প্রথম ভোট হয় সেখানে।

স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে, ব্লক উন্নয়ন পরিষদ স্তরের ওই নির্বাচনে বিজেপি ছাড়া আর কোনো বড় দল অংশ নেয়নি। তাই এ ভোটে ছিল না কোনো নির্বাচনী উত্থাপ। ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতিও ছিলো অনেক কম। পঞ্চায়েত ও সরপঞ্চদের বাসে করে ব্যাপক নিরাপত্তার মধ্যে ভোটকেন্দ্রে নিয়ে আসে প্রশাসন। তারপরও শতকরা ৯৮ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে বলে দাবি করেছে কাশ্মীরের প্রশাসন। ওইদিন রাতেই প্রকাশিত হয়েছে ফলাফল। নির্বাচনে ৮১টি ব্লক দখল করেছে নরেন্দ্র মোদির দল।

ব্লক উন্নয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচনে ভোট দেওয়ার অধিকার রয়েছে জম্মু-কাশ্মীরের পঞ্চ ও সরপঞ্চদের (গ্রামপ্রধান)। রাজ্যের প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তা শৈলেন্দ্র কুমার জানান, ২৬,৬২৯ জন পঞ্চ ও সরপঞ্চ ভোট দেওয়ার অধিকারী। তাদের মধ্যে ৯৮.৩% ভোট দিয়েছেন।

জম্মু-কাশ্মীরে ৩১৬টি ব্লক রয়েছে। তার মধ্যে ২৮৩টি ব্লকে বৃহস্পতিবার ভোট হয়। ২৭টি ব্লকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন চেয়ারম্যানরা। মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত চারটি ব্লকে এখনও কোনো মহিলা পঞ্চ নির্বাচিত হননি। এ দিন রাতেই প্রকাশিত হয়েছে ভোটের ফল।

২১৭টি ব্লকে বিজয়ী হয়েছেন নির্দলীয় প্রার্থীরা। ৮১টি ব্লকে জিতেছে বিজেপি। চারটি ব্লক দখল করেছে প্যান্থার্স পার্টি। একটিতে জিতেছেন কংগ্রেস প্রার্থী। কংগ্রেস ভোটে অং‌শগ্রহণ না করার সিদ্ধান্তগ্রহণের আগেই ওই ক‌ংগ্রেস প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন।

বিশেষ মর্যাদা বিলুপ্ত করার পর উত্তপ্ত কাশ্মীরে পঞ্চ ও সরপঞ্চদের জন্য বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে সরকার। শ্রীনগর জেলার গ্রামপ্রধানদের রাজধানী থেকেই বিশেষ বাসে করে কঠোর নিরপত্তায় ভোট দেওয়ার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। অন্য জেলার ভোটারদের জন্য একই পদক্ষেপ নিয়েছিলো প্রশাসন। এভাবে অনেকটা লুকিয়েই যেন সম্পন্ন হয় কাশ্মীরের এই পঞ্চায়েত নির্বাচন।

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত