প্রেমিকার নগ্ন ছবি-ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল
নিজস্ব প্রতিবেক
প্রকাশ : ২৬ জানুয়ারি ২০২২, ১৭:৩৩
নারীদের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচিত হন। এরপর তাদের সঙ্গে মাঝে মাঝে মেসেঞ্জারে কথাবার্তা। ধীরে ধীরে গড়ে তুলতেন প্রেমের সম্পর্ক। এক পর্যাযে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কৌশলে নগ্ন ছবি এবং ভিডিও ধারণ করে এডিট করেন।
এসব নগ্ন ছবি, ভিডিও বন্ধু ও পরিবারের সদস্যদের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে ভুক্তভোগী নারীদেরকে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করার জন্য চাপ দেন। এরপর এসব নারীদের থেকে মোটা অংকের টাকা দাবি করাই তার ধান্দা।
একজন ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রাজধানীর মিরপুর মডেল থানা এলাকা থেকে খন্দকার সাব্বির আহম্মেদ (২৪) নামে এক প্রতারককে গ্রেপ্তারর করেছে র্যাব-৪। তার বিরুদ্ধে প্রেমিকার গোপনে ধারণ করা নগ্ন ছবি ও ভিডিও নিয়ে ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগ রয়েছে।
মঙ্গলবার মিরপুর বশির উদ্দিন রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তারের পর বুধবার দুপুরে র্যাব-৪ এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মোজাম্মেল হক এসব তথ্য জানান।
এ সময় তার কাছ থেকে একাধিক নারী ভুক্তভোগীর বিপুল পরিমাণ নগ্ন ছবি, ভিডিও, ইমো ও মেসেঞ্জার কথোপকথনের স্ক্রিনশট জব্দ করা হয়।
তিনি বলেন, গত ২২ জানুয়ারি একজন ভুক্তভোগী র্যাব-৪ এ পর্নোগ্রাফির বিষয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের পর র্যাব-৪ এর সাইবার সেল বিষয়টির তদন্ত শুরু করে। পরে অভিযুক্ত সাব্বির আহমেদ নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে র্যাব জানায়, ভুক্তভোগীর সঙ্গে সাব্বিরের প্রায় এক বছর আগে ইন্টারনেটে যোগাযোগমাধ্যমে পরিচয় হয়। তখন থেকেই ভুক্তভোগীর সঙ্গে তিনি মাঝে মাঝে মেসেঞ্জারে কথা বলতেন। ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমের এক পর্যায়ে ভুক্তভোগীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সুকৌশলে নগ্ন ছবি ও ভিডিও ধারণের পর তা এডিট করেন।
অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মোজাম্মেল হক বলেন, এসব নগ্ন ছবি, ভিডিও বন্ধু ও পরিবারের সদস্যদের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে ভুক্তভোগীকে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন সাব্বির। ভুক্তভোগী নারী বিয়ের কথা বললে তিনি টাল-বাহানা শুরু করেন। একপর্যায়ে সাব্বির বিভিন্ন সময়ে ভুক্তভোগীর কাছে টাকা দাবি করে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন এবং শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন না করলে ধারণ করা ছবি-ভিডিও ভুক্তভোগীর আত্মীয়-বন্ধুদের কাছে পাঠিয়ে দেয়ার হুমকি দেন।
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, এরপর ভুক্তভোগী সম্পর্ক ছিন্ন করার চেষ্টা করলে আসামি ৫ লাখ টাকা দাবি করেন। গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে তার মোবাইল ফোনে ও গুগল ড্রাইভে বিপুল পরিমাণ নগ্ন ভিডিও ও ছবি পাওয়া যায়।
বাংলাদেশ জার্নাল/এফজেড/আরকে