ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

সারাদেশে সব হাসপাতাল প্রস্তুত রাখার নির্দেশ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৯ মার্চ ২০২৪, ১৬:৫০

সারাদেশে সব হাসপাতাল প্রস্তুত রাখার নির্দেশ
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আলোচনায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন ও মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

সারাদেশের সব হাসপাতাল প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

ডেঙ্গুর প্রজনন ও বিস্তার কীভাবে হয় সে বিষয়ে মানুষকে সচেতন করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা প্রিভেনশন নেব প্রতি ওয়ার্ডে, মানুষকে সচেতন করা, মানুষকে বোঝানো যে ডেঙ্গু কীভাবে হয়।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া নির্মূলে করণীয় বিষয় নিয়ে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়রের সঙ্গে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে যেন হাসপাতালগুলো প্রস্তুত রাখা হয়। রোগীরা যখন ডেঙ্গু আক্রান্ত হন বা জ্বর হয় তারা যেন দ্রুত হাসপাতালে আসেন। অনেক সময় দেখা যায় অনেক দেরিতে আসেন। তখন কিছু করা যায় না। এই মেসেজগুলো আমরা দিচ্ছি।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, আমরা প্রথমে ঠিকাদারের মাধ্যমে বিটিআই (মশার লার্ভা নিধনের জৈব কীটনাশক) এনেছিলাম। যার মূল্য ছিল ৮৫ লাখ টাকা। টেস্ট কেস হিসেবে বিটিআই আনা হয়েছিল। কিন্তু বিটিআই দেখেছি ৫ টন। যে ঠিকাদার নিয়ে এসেছেন সে এটাকে মিস ডিক্লিয়ারেশন করেছেন এবং যা ইচ্ছে তা-ই করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় বলেছেন আমরা হাজার হাজার কোটি টাকা বানিয়ে ফেলেছি। সেই ৫ টন বিটিআই আদালতের নির্দেশনার কারণে ব্যবহার করিনি। যে ঠিকাদার সে একবার জেলে যান, একবার জামিন নেন, এটা আদালতের ব্যাপার।

তিনি বলেন, আমরা এজন্য এখন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন সরাসরি প্রথমবারের মতো বিটিআই আমদানি করতে যাচ্ছি। আজ এখানে যারা বিশেষজ্ঞ আছেন ওনারাও বলেছেন কীভাবে অর্গানিক, বায়োলজিক্যাল ট্রিটমেন্ট করা যায়। বিটিআই হচ্ছে বায়োলজিক্যাল ট্রিটমেন্টের মধ্যে উত্তম প্রস্তাব। এটি নিয়ে অমরা অলরেডি কাজ করেছি।

আতিকুল ইসলাম বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রথমবারের মতো এন্টামোলজি দিচ্ছে। রমজানের পরই আমরা এটা নিয়ে কাজ শুরু করবো।

তিনি বলেন, গতবার জাপান গার্ডেনকে তিন কোটি ৮৭ লাখ টাকা জরিমানা করেছি। আমরা আমাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। গুলশান লেক যেদিন প্রথম পরিষ্কার করি সেখান থেকে কোটি কোটি মশা বের হয়ে যায়। আগামীকাল (বুধবার) উত্তরায় যাবো, রাজউকের প্রতিটি খাল পরিষ্কার করার জন্য।

মেয়র বলেন, আমাদের প্রত্যেককে যার যার সংস্থার দায়িত্ব নিতে হবে। আপনারা দেখেছেন পেট্রোবাংলার নিচে লার্ভা পাওয়ায় ৫ লাখ টাকা করে জরিমানা করেছি।

তিনি বলেন, আমি কাউকে দোষ দিচ্ছি না। লেটস ওয়ার্ক টুগেদার। আমাদের কাজ চালিয়ে যেতে হবে এবং আমরা অবশ্যই ফল পাবো। আমরা আগের থেকে ভালো করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার এবং সব সংস্থাকে নিয়ে সিটি করপোরেশনে কাজ করবো।

বাংলাদেশ জার্নাল/টিআর

  • সর্বশেষ
  • পঠিত