শিক্ষকের মূল্যায়নই মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষার চাবিকাঠি
জামিল বাসার
প্রকাশ : ২৪ মার্চ ২০১৯, ২১:১২
‘প্রাথমিক শিক্ষার দীপ্তি উন্নত জীবনের ভিত্তি’ এই শ্লোগান দিয়ে সদ্য সমাপ্ত হলো প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ। মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়নের লক্ষে বঙ্গবন্ধু কন্যা গণপপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। আশানুরূপ ফল পেতে মেধাবী শিক্ষক নিয়োগ দিচ্ছেন, প্রয়োজনীয় অবকাঠামো থেকে শুরু করে শিক্ষা উপকরণ দিচ্ছেন, ছাত্রছাত্রীদের পরিচর্যা করার জন্য প্রত্যেকটি গার্ডিয়ানদের মোবাইলে সিউর ক্যাশের মাধ্যমে টাকা দিচ্ছেন, অনুন্নত এলাকায় পুষ্টিকর খাবারের ব্যবস্থা করেছেন। মন্ত্রণালয়কে কার্যকর করার জন্য কর্মঠ মন্ত্রীসহ মেধাবী কর্মকর্তা নিয়োগ দিচ্ছেন।
সবচেয়ে বড় বাজেট শিক্ষা খাতে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে বর্তমান সরকার।এত কিছুর পরেও কেন প্রাথমিক শিক্ষা মানসম্মত হচ্ছে না, কি এমন সমস্যা তা একটু গভীরে ভাবা দরকার।
কামারের কাজ যেমন মুচি দিয়ে হয় না,ডাক্তারের কাজ যেমন ইঞ্জিনিয়ারদের দিয়ে হয় না, ঠিক তেমনি প্রাথমিকের শিক্ষার মানোন্নয়ন নিয়ে বড় বড় দেশ বরেণ্য শিক্ষাবিদ দিয়ে হবে না, প্রাথমিক শিক্ষকদেরকে দিয়েই করাতে হবে। বড় বড় শিক্ষাবিদগণ এবং মন্ত্রী-সচিব আমলারা প্রাথমিকের সমস্যা এবং এর থেকে উত্তরণের পথ দেখাতে পারবে না। প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং মানসম্মত শিক্ষা দিতে হলে, প্রান্তিক জনপদের প্রাথমিকের শিক্ষকদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে হবে, কেননা প্রাথমিকের শিক্ষকরাই কেবলমাত্র প্রাথমিকের মানসম্মত শিক্ষার নেগেটিভ কারণগুলোর প্র্যাক্টিকাল সাক্ষী।
আমরা যারা শিক্ষক,কেবলমাত্র তারাই প্রাথমিকের মানসম্মত শিক্ষার বড় বাধা গুলো প্রতিনিয়ত চোখের সামনেই দেখতে পাচ্ছি। অভিন্ন শিক্ষা পদ্ধতি চালু করতে হবে,সরকারি প্রাথমিকের সরকার কর্তৃক নিয়মনীতি গুলো কিন্ডারগার্ডেন গুলোতেও প্রয়োগ করতে হবে।
ঘোষিত শিক্ষানীতি নিঃসন্দেহে বর্তমান সরকার তথা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সুদূরপ্রসারী চিন্তা ভাবনা, যা বড় একটি চ্যালেঞ্জ ও বটে। একজন প্রাথমিকের শিক্ষক হিসেবে বলতে চাই প্রাথমিক শিক্ষাকে মানসম্মত যুগোপযোগী করতে হলে, এত এত নিয়ম নীতি বস্তায় বস্তায় পরিপত্র লাগবে না। লাগবে শুধু সঠিক রোগ নির্ণয় করে সঠিক মেডিসিনের নিয়মতান্ত্রিক ব্যবহার। যা কেবল মাত্র প্রাথমিকের শিক্ষকদেরকে সঠিক মূল্যায়ন করে,তাদের জীবন যাত্রার মানোন্নয়ন করেই সম্ভব।
লেখক: সহকারী শিক্ষক