ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

এলিয়েন নিয়ে নাসার ৩৬ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন

  বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক

প্রকাশ : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৭:২৮  
আপডেট :
 ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৭:৩৯

এলিয়েন নিয়ে নাসার ৩৬ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন
এলিয়েন

মহাকাশে অসংখ্য রহস্যাবৃত উড়ন্ত বস্তু নিয়ে অনুসন্ধান করেছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। নতুন এই অনুসন্ধানে ইউএফও সংশ্লিষ্ট ঘটনায় এলিয়েনদের থাকার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে এলিয়েন থাকার সম্ভাবনাটিও অস্বীকার করতে পারেনি সংস্থাটি।

নাসার প্রকাশিত ৩৬ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে উন্নত প্রযুক্তি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে ইউএপি (অজ্ঞাত অস্বাভাবিক ঘটনা) কীভাবে তদন্ত করা যায় তার রূপরেখা দেওয়া হয়েছে। সংস্থার প্রশাসক বিল নেলসন বলেন, তারা কেবল সম্ভাব্য ইউএপি নিয়ে গবেষণা করবে না বরং আরও স্বচ্ছতার সঙ্গে তথ্য দেবে।

প্রতিবেদনটি বেশ প্রযুক্তিগত এবং বৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষণের। এখানে কয়েকটি মূল বিষয় রয়েছে। সেগুলো তুলে ধরা হলো:

এলিয়েনদের অস্তিত্বের কোনও প্রমাণ নেই, তবে তারা থাকতে পারে

৩৬ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনের একেবারে শেষ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে, নাসা যে শত শত ইউএপি নিয়ে অনুসন্ধান ও তদন্ত করেছে- সেখানে অশনাক্ত উড়ন্ত বস্তুর (ইউএফও) পেছনে বহিরাগত উৎস রয়েছে, সেটা একেবারে নিশ্চিতভাবে বলা যায় না।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, 'কিন্তু...এই বস্তুগুলো (ইউএফও) এখানে (পৃথিবীতে) পৌঁছানোর জন্য আমাদের সৌরজগতের মধ্য দিয়ে ভ্রমণ করেছে।'

সীমিত পরিমাণ ইউএপি ডেটা

নাসার সায়েন্স মিশন ডিরেক্টরেটের অ্যাসোসিয়েট অ্যাডমিনিস্ট্রেটর নিকোলা ফক্স বলেন, 'ইউএপি আমাদের গ্রহের সবচেয়ে বড় রহস্যগুলোর একটি।' একাধিক ইউএপি দেখার ঘটনা পাওয়া সত্ত্বেও নিকোলা ফক্স বলেন, পর্যাপ্ত তথ্য নেই নেই, যার মাধ্যমে ইউএফও আছে- এমন উপসংহারে পৌঁছানো যেতে পারে।

ইউএপি নিয়ে আরও গবেষণার জন্য নাসা নতুন পরিচালক নিয়োগ করেছে বলেও জানান নিকোলা ফক্স। তথ্য সংগ্রহ এবং বিশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় এআই এবং মেশিন লার্নিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।

মেক্সিকো থেকে ভাইরাল হওয়া 'এলিয়েনের ছবি' খতিয়ে দেখছে নাসা

সম্প্রতি মেক্সিকান পার্লামেন্টে দুই 'এলিয়েনের মৃতদেহ' সামনে আনেন বিজ্ঞানীরা। তারা এটিকে প্রাচীন (মানুষ নয় এমন) এলিয়েনের মৃতদেহ হিসাবে উপস্থাপন করেছিলেন। ওই দুটি ইউএফও নিয়ে গবেষণা করা জাইম মাউসান তখন দাবি করেন, ২০১৭ সালে পেরুর কুসকোতে মৃতদেহগুলো পাওয়া যায় এবং রেডিওকার্বন পরীক্ষায় বস্তুগুলোর বয়স ১ হাজার ৮০০ বছরের পুরোনো বলে ধারনা করা হচ্ছে।

এ বিষয় নিয়ে বিবিসির প্রতিবেদক স্যাম ক্যাব্রাল নাসার কাছে জানতে চান। বৈজ্ঞানিক মহলে নমুনাগুলোর সত্যতা নিয়ে তীব্র সন্দেহ দেখা দেয়। নাসার বিজ্ঞানী ড. ডেভিড স্পারগেল বলেন, বিশ্ব বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায়ের কাছে ওই নমুনাগুলো উপস্থাপন করুন। আমরা দেখবো সেখানে কী আছে।

নতুন 'ইউএফও পরিচালকের' পরিচয় একটি রহস্য রয়ে গেছে

ইউএপি গবেষণার জন্য নাসার নতুন পরিচালক আসবেন- তবে তাদের পরিচয় রহস্য রয়ে গেছে। এর একটি কারণ হতে পারে নতুন পরিচালককে সম্ভাব্য জনহয়রানির হাত থেকে রক্ষা করা।

নাসার গবেষণা বিষয়ক সহকারী ডেপুটি অ্যাসোসিয়েট অ্যাডমিনিস্ট্রেটর ড. ড্যানিয়েল ইভান্স বলেন, নাসা তাদের লোকদের নিরাপত্তাকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নেয়।

এআই সরঞ্জাম ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছে নাসা

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউএপি শনাক্ত করার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং মেশিন লার্নিং হলো অপরিহার্য সরঞ্জাম।

নাসা বলেছে, ইউএপিগুলো আরও ভালোভাবে বোঝার এবং শনাক্ত করার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে একটি হলো তথ্যের অভাব। ক্রাউডসোর্সিং কৌশলগুলোর মাধ্যমে এই অভাব পূরণের লক্ষ্য নিয়েছে নাসা।

এর মধ্যে 'ওপেন সোর্স স্মার্টফোন-ভিত্তিক অ্যাপ্লিকেশন' এবং 'বিশ্বব্যাপী একাধিক নাগরিক পর্যবেক্ষক' থেকে অন্যান্য স্মার্টফোন মেটাডেটা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বেসামরিক ইউএপি প্রতিবেদন সংগ্রহ ও সংগঠিত করার জন্য বর্তমানে কোনও মানসম্মত ব্যবস্থা নেই। যার ফলে বিরল এবং অসম্পূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়। তথ্যসূত্র: বিবিসি

নাসার প্রতিবেদনটি পড়তে ক্লিক করুন

বাংলাদেশ জার্নাল/এমএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত