ইউএনওর পোস্টে নাতনিকে পেলেন নানা-নানি
ময়মনসিংহের ফুলপুর সদরে বাসস্ট্যান্ডসংলগ্ন উপজেলা পরিষদের সামনে গেল সোমবার কান্নাকাটি করছিলো এক শিশু (৯)। আশপাশের লোকজন তার পরিচয় জানতে চাইলে সে তার নাম রিয়া মণি ও বাড়ি ফুলপুরের ইটাখোলা গ্রামের কথা বলে।
শিশুটি আরো জানায়, তার বাবার নাম নুরুল আমিন। তবে তিনি কোথায় আছেন তা বলতে পারেনি। শিশুটির মায়ের নাম রাবেয়া। তবে তিনি বেঁচে নেই। এর বেশি কিছু আর বলতে পারছিল না সে। কোনো কূলকিনারা করতে না পেরে স্থানীয় লোকজন তাকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে নিয়ে যান।
ফুলপুরের ইউএনও শীতেষ চন্দ্র সরকার শিশুটিকে পেয়ে তিনি তার সরকারি ফেসবুক পেজে মেয়েটির নাম এবং ঘটনার বর্ণনা লিখে মোবাইল নম্বর উল্লেখ করে একটি পোস্ট করেন। তিনি শিশুটি বিষয়ে তার সঙ্গে যোগাযোগও করতে বলেন।
পরে তিনি প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে শিশুটির স্বজনের খোঁজ করতে থাকেন। এক পর্যায়ে নতুন জামা ও শীতবস্ত্র উপহার দিয়ে শিশুটিকে ফুলপুর থানায় হস্তান্তর করেন। এর কয়েক ঘণ্টা পরই থানায় এসে হাজির হন রিয়ার নানা রমজান আলী ও নানি রহিমা খাতুন। রিয়া তাদের চিনতে পেরে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকে।
পরে জানা যায়, ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার ইটাখোলা গ্রামের শিশু রিয়া বছর দুয়েক আগে ঢাকার পোস্তগোলা এলাকায় খালার বাসায় বেড়াতে গিয়েছিল। সেখান থেকে সে হারিয়ে গেলে রাসেল নামের এক ব্যক্তি তাকে গৃহপরিচারিকা হিসেবে বাসায় নিয়ে যান। তবে সোমবার সকালে তিনি ঢাকা থেকে বাসে করে রিয়াকে ফুলপুরে নিয়ে আসেন। তারপর সদরে ফেলে রেখে চলে যান।
বাংলাদেশ জার্নাল/এনএম
