ঢাকা, রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

ড. কামালের শঙ্কা

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৬ এপ্রিল ২০১৯, ১৫:৫৬

ড. কামালের শঙ্কা

দেশের গণতন্ত্র স্বৈরতন্ত্রে পরিণত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। শুক্রবার ঢাকা মহানগর নাট্য মঞ্চে গণফোরামের বিশেষ জাতীয় কাউন্সিলে তিনি এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

‘গণতন্ত্র উদ্ধারে জাতীয় ঐক্য তুলুন’ এই স্লোগানকে ধারণ করে গণফোরামের এই বিশেষ জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে কামাল হোসেন বলেন, ‘ক্ষমতার উৎস হলো জনগণ, আর কেউ না। সুতরাং আপনাদের দেখতে হবে, যারা ক্ষমতায় তারা কি দেশের স্বার্থে না কি নিজের স্বার্থে কাজ করছেন। না কি অন্য কিছু করছেন। উল্টো কিছু করলে সংগঠিত হয়ে তাদেরকে থামাতে হবে। কারণ জনগণ গণতন্ত্রের পাহারাদার। আর এই নাগরিকরা যদি দায়িত্ব পালন না করে তাহলে গণতন্ত্র স্বৈরতন্ত্রে পরিণত হতে পারে।’

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘প্রধান বিচারপতি জনগণের হয়ে যে রায়টা দিলেন, আমি মনে করি- সেটা চির স্মরণীয় থাকবে। আর তিনি ঐতিহাসিক ভূমিকা রেখে গেলেন। এই কথা শুনে যে আপনারা যে করতালি দিলেন, এটা উনাকে জানানো হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা আজকে বলি যে, স্বৈরশাসনের চিত্র দেখা যাচ্ছে। কিন্তু নিরাশা হওয়ার কোন কারণ নেই। আমরা দেখেছি, শাসকগোষ্ঠী অনেক সময় স্বৈরাচারের দিকে অগ্রসর হয়ে স্বৈরাচার হয়ে যায়। কিন্তু এদেশে মানুষ কখনো স্বৈরতন্ত্রকে মেনে নেয়নি এবং নেবে না। এদেশে মালিক আপনারা।’

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য ড. কামাল আরো বলেন, ‘মালিক হিসেবে আপনাদের দেখতে হবে যে, সংবিধানে যা লেখা আছে- সে অনুযায়ী ক্ষমতাসীনরা রাষ্ট্র পরিচালনা করছে কি না। আর প্রশাসন ও পুলিশের যে দায়িত্ব-কর্তব্য সেগুলোও সংবিধানে স্পষ্টভাবে লেখা আছে। পুলিশ এদেশের মালিক না, তারা সেবক। সুতরাং সংবিধান ও আইন অনুযারি তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করবেন। তাই আপনারা সতর্ক থাকবেন, যাতে পুলিশ তাদের দায়িত্বের বাইরে গেয়ে ক্ষমতায় অপব্যবহার করে অন্যায় ও অত্যাচার করতে না পারে।’

তিনি বলেন, ‘যারা দেশ শাসন করেছেন, তারা কি আইন মেনে চলছে না কি আইন অমান্য করেছেন। এজন্য কেন্দ্র থেকে নিজ নিজ এলাকায় পাহারা দিতে হবে। যদি আইন অমান্য করা হয় তাহলে জনগণ তাদেরকে বাধা দেবে।’

গণফোরাম সভাপতি বলেন, ‘অর্থের বিনিময়ে যদি কেউ ভোটকে বিক্রি করে, এর চেয়ে বড় অন্যায় আর হতে পারে না। অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন বলতে, সবাই নিজের নিজের ভোট দিতে পারবেন। সেই কারণে আমরা ভোট ও নির্বাচনের ওপর গুরুত্ব দিয়ে থাকি।’

কাউন্সিলের শুরুতে জাতীয় সংগীতের বাজিয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ড. কামাল হোসেনসহ গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্যরা মঞ্চে আসন গ্রহণ করেন।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানের প্রথমে গণফোরাম নেতা জগলুল হায়দায় আফ্রিক শোক প্রস্তাব পাঠ করেন।

কাউন্সিলে ড. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে গণফোরাম নেতা সুব্রত চৌধুরী, মোকাব্বির খান, রফিকুল ইসলাম পথিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেএস/ওয়াইএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত