রাজু ভাস্কর্যে ঈদ করার ঘোষণা ছাত্রলীগের পদবঞ্চিতদের

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে বিতর্কিতদের বাদ না দেওয়া পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যে অবস্থান করবেন ছাত্রলীগের পদবঞ্চিতরা। তারা পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিনও সেখানে অবস্থান করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ছাত্রলীগের পদবঞ্চিতরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে তাৎক্ষণিক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

গত ১৩ মে ছাত্রলীগের ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। এই কমিটিত অছাত্র, বিবাহিত, চাকরিজীবী, ছাত্রদল রয়েছে বলে অভিযোগ করেন পদবঞ্চিতরা। এ নিয়ে হামলা-মারামারির ঘটনাও ঘটেছে। পরে গত ১৯ মে আওয়ামী লীগ নেতারা দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে তারা আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন। কিন্তু তাদের দাবি মেনে না নিয়ে বিতর্কিতদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানোর ঘোষণা দেওয়ায় রোববার রাতে খবরে তারা আবার রাজু ভাস্কর্যে অবস্থান নেন।

চিকিৎসার জন্য স্ত্রীসহ আমেরিকায় গেলেন আমির খসরু 

প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ছাত্রলীগের গত কমিটির উপদপ্তর সম্পাদক শেখ নকিবুল ইসলাম সুমন বলেন, ‘আমরা এখানে অবস্থান করব, ঈদ আমরা ঢাকায় করার প্রস্তুতি নিয়েছি। যদি আমাদের এই সমস্যার সুষ্ঠু সমাধান না দেওয়া হয়, তাহলে আমরা রাজু ভাস্কর্যে অবস্থান করব। ঈদের দিন আমরা রাজু ভাস্কর্যে থাকব।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হল শাখা সভাপতি বি এম লিপি আক্তার বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে কমিটি পুনর্গঠন করতে নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাদের বাদ দেওয়া হয়নি। উল্টো তাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানোর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। আমি সবার সঙ্গে আছি। যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের দাবি না মেনে নেওয়া হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা এখানে অবস্থান করবো।’

‘আমাদের মূল দাবি হলো ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রের সঙ্গে সাংঘর্ষিক, মাদকাসক্ত, বিবাহিত, জামায়াত-শিবির পরিবারের যারা; তাদের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ১৭ জনের একটি লিস্ট দিয়েছেন। ১১ দিন আগে তাদের নাম ঘোষণা করা হলেও তাদের পদশূন্য ঘোষণা করা হয়নি এবং তাদের নিয়ে আজকে ফুল দিতে যাচ্ছে ছাত্রলীগ। এই ঘটনার আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’

লিপি আক্তার আরো বলেন, ‘ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর একটি পবিত্র জায়গা। সেখানে জাতির কলঙ্কিত যারা, তাদের নিয়ে কোনোভাবে ফুল দিতে যেতে পারে না ছাত্রলীগ। এটা আমরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারি না।’

এ সময় পাশে অবস্থান করা ছাত্রলীগের পদবঞ্চিতরা ‘শেইম শেইম’ বলে নিন্দা জানান।

লিপি আক্তার বলেন, ‘আজকে আমাদের সবচেয়ে কষ্টের বিষয়, মুজিব সৈনিক হিসেবে এগুলো আমি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারি না। রাজাকারের সন্তান হয়ে ছাত্রলীগের ব্যানারে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে ফুল দিতে যাবে, এটা আমাদের সমগ্র জাতির জন্য লজ্জাজনক বিষয়।’

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে