ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

‘মহেষপুর-সাতকানিয়াতে ভোট জালিয়াতির উৎসব শুরু হয়েছে’

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৪ অক্টোবর ২০১৯, ১৪:২৭

‘মহেষপুর-সাতকানিয়াতে ভোট জালিয়াতির উৎসব শুরু হয়েছে’

মহেষপুর ও সাতকানিয়াতে উপজেলায় ভোটের নামে প্রকাশ্যে ভোট জালিয়াতির উৎসব শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

সোমবার রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রিজভী বলেন, আজ ঝিনাইদহ জেলার মহেষপুর ও চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়াতে উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকাল থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হলেও ভোটারদের সেখানে ডুকতে দেয়া হয়নি। মহেষপুরে প্রত্যেকটি ভোট কেন্দ্র থেকে বিএনপির প্রার্থীর এজেন্টদের মারধর করে বের করে দেয়া হয়েছে এবং রাস্তার মোড়ে-মোড়ে লাঠি সোটা ও ধারাল অস্ত্র নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। একই অবস্থা সাতকানিয়াতেও। এই দুই উপজেলাতে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের সাথে পাল্লা দিয়ে পুলিশও ভোটারদের বের করে দিচ্ছে। এই দুই উপজেলায় ভোটের নামে প্রকাশ্যে ভোট জালিয়াতির উৎসব শুরু হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনকে এই বিষয়ে অবহিত করলে তারা দেখছি বলে নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে।

তিনি বলেন, গত ২৯ ডিসেম্বর মধ্যরাতের নির্বাচন করে তাদের কাছ থেকে সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করা অরণ্যে রোদন। নির্বাচন কমিশন সরকারের যাদুর বাক্সে পরিণত হয়েছে। তারা দিনের নির্বাচন রাত্রে করে এবং ভোটার তালিকায় জীবিত মানুষকে মৃত দেখায়। বিগত নির্বাচনগুলোতে যে সমস্থ ভোটাররা জাতীয় নির্বাচনসহ স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে ভোট দিয়েছে কিন্তু ভোটার তালিকায় এখন তাদের মৃত দেখানো হচ্ছে। এই যাদুকর প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ কমিশনারদের অধীনে নির্বাচনে প্রকৃত ভোটারদের ভোট দেয়ার অধিকার নেই।

রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এখন দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে। ভোটারদের ভোট দিতে না দেওয়া কি সুনীতি? এটাতো এক মহা দুর্নীতি। পুলিশ এবং সরকারী দলীয় ক্যাডারদের দিয়ে দিনে-দুপুরে ভোট জালিয়াতি করা মহা দুর্নীতির বহিঃপ্রকাশ। আর এই মহাদুর্নীতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে বুক ফুলিয়ে বিগত ১০/১১ বছর যাবৎ করে আসছেন ক্ষমতাসীনরা। দুই একজন চুনো পুটিকে ধরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান বলে না বরং এই অভিযানের নামে বড় বড় দুর্নীতিকে আড়াল করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, ছাত্র রাজনীতি অপভ্রংশ অপরাজনীতি তথা সন্ত্রাস দুর্নীতি এবং রক্তপাতের অজুহাতে সমগ্র ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করে দেয়াটা গভীর মাষ্টারপ্লানেরই অংশ। ছাত্র রাজনীতিকে যারা কলুষিত করেছে, মারামারি-দলাদলিকে যারা উৎসাহিত করেছে, ক্যাম্পাসে আধিপত্য প্রতিষ্ঠা বিস্তারে যারা মদদ দিয়েছে তারাই প্রকৃত ছাত্র রাজনীতিকে মানুষের চোখে হেয় করেছে। তারাই এখন সমগ্র ছাত্র রাজনীতিকে বন্ধ করে দিতে চাচ্ছে।

বহু শতাব্দীর ‘একাডেমিক ফ্রিডম’সহ বহু মুক্তি আন্দোলন সংগ্রামের পথিকৃত ছাত্র সমাজে ছাত্র রাজনীতিকে কাঠ গড়ায় দাঁড় করানো ঠিক নয় বলে মন্তব্য করেন রিজভী।

কেএস

  • সর্বশেষ
  • পঠিত