ছবিতে সূর্যগ্রহণ
ফিচার ডেস্ক
প্রকাশ : ২৬ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৭:৫১ আপডেট : ২৬ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৭:৫৮
‘রিং অফ ফায়ার’ বা ‘আগুনের আংটি’ দেখার দুর্দান্ত সুযোগ ছিল আজ। বৃহস্পতিবার দশকের শেষ সূর্যগ্রহণের সাক্ষী হলো গোটা বিশ্ব, এই সূর্যগ্রহণ আংশিকভাবে প্রত্যক্ষ করা যায় বাংলাদেশ থেকেও।
আসলে চাঁদের আড়াল থেকে সূর্য বলয়ের যে সামান্য জ্যোতি ঠিকরে বেরিয়ে আসে তা দেখে সবারই মনে হতে পারে যে, আকাশে যেন একটা আগুনের আংটি দেখা যাচ্ছে, সে এক দুর্লভ দৃশ্য।
বৃহস্পতিবারের সূর্যগ্রহণ প্রথম দেখা যায় সৌদি আরবের রিয়াদে। আমাদের দেশের মানুষও সাক্ষী ছিল ওই আগুনের আংটির। বাংলাদেশের বেশ কিছু জায়গায় আংশিক সূর্যগ্রহণটি দেখা যায়।
সূর্যগ্রহণের তিনটি প্রকারভেদ রয়েছে - সম্পূর্ণ, আংশিক এবং কৌণিক।
চাঁদ পৃথিবী ও সূর্যের মাঝখানে চলে এলেই সূর্যগ্রহণ হয়, চাঁদের কারণেই পৃথিবী থেকে দৃশ্যমান সূর্য আংশিক বা সম্পূর্ণ ঢাকা পড়ে যায়। সূর্যগ্রহণের সময় চাঁদের আপাত ব্যাস সূর্যের চেয়ে ছোট হয় এবং সূর্যের বেশিরভাগ আলোকেই তা বাধা দেয়।
এর ফলে সূর্যকে তখন চাঁদের আড়াল থেকে ‘আগুনের আংটি’র মতো দেখায়।
বেশিরভাগ সময়েই বছরে দুটি সূর্যগ্রহণ হয়, তবে বিরল ক্ষেত্রে এক বছরে সাতবার সূর্যগ্রহণও হতে পারে।
ভৌগোলিক অবস্থানের উপর নির্ভর করে সূর্যগ্রহণের আংশিক পর্যায়গুলি দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিভিন্ন মাত্রায় দৃশ্যমান হয়।
সূর্য গ্রহণ দেখার ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করার কথা জানিয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। এক বর্ষীয়ান জ্যোতির্বিজ্ঞানী জানিয়েছেন, সঠিক পদ্ধতি ও নিরাপদে গ্রহণ দেখার যন্ত্রপাতি ছাড়া গ্রহণ দেখতে গেলে অতি বেগুনি রশ্মি ও ইনফ্রারেড রশ্মির আঘাতে চোখের রেটিনায় বড়সড় সমস্যা তৈরি হতে পারে।
এমপি বিড়লা প্ল্যানেটোরিয়ামের অন্তর্গত রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাকাডেমি অফ এমপি বিড়লা ইনস্টিটিউট অফ ফান্ডামেন্টাল রিসার্চের অধিকর্তা দেবীপ্রসাদ দুয়ারি জানিয়েছেন, এক মুহূর্তের জন্যেও এ সময় সূর্যের দিকে খালি চোখে তাকানো উচিত নয়।
তিনি এও বলেন, যদি গ্রহণে ৯৯ শতাংশ সূর্যকেও ঢেকে ফেলে চাঁদ, তাহলেও অবশিষ্ট রশ্মি চোখের ক্ষতি করার পক্ষে যথেষ্ট।
তিনি জানিয়েছেন, যথাযথ সোলার ফিল্টার যার তেজস্ক্রিয়তার বিরুদ্ধে সঠিক অপটিক্যাল ঘনত্ব রয়েছে তা দিয়ে গ্রহণ দেখা যেতে পারে।
তিনি আরো বলেন, মোটা অ্যালুমিনিয়াম মিলার ফিল্ম এবং দৃশ্যমানতা যুক্ত কালো পলিমারও নিরাপদ।
এগুলি গ্রহণ দেখার জন্যে তৈরি বিশেষ গগলসে থাকে বলে জানান তিনি।
ওয়েল্ডার্স গ্লাস নম্বর ১৪-ও সোলার ফিল্টার হিসেবে দারুণ কার্যকরী বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ জার্নাল/এইচকে