ঢাকা, রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : কিছুক্ষণ আগে
শিরোনাম

প্রেসিডেন্টকে তেল না মারায় তারা এখন ‘বেকার’

প্রেসিডেন্টকে তেল না মারায় তারা এখন ‘বেকার’
ডা. অ্যান্থনি ফাউচি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ব্রাজিলের জাইয়া বলসোনারোর কাছে দেশের অর্থনীতিই বড়। তাদের কাছে মানুষের প্রাণের যেন কোনও মূল্যই নেই। এজন্যই করোনা মহামারির ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতেও লকডউন তুলে দিতে তৎপর রয়েছেন এই দুই নেতা। তাদের এমন মনোভাবের বিরোধিতা করে বিপদে পড়েছেন কর্মকর্তারা। অনেকে হয়েছেন বরখাস্ত বা চাকরিচ্যুত।

ডা. অ্যান্থনি ফাউচি

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় এলার্জি ও সংক্রামক রোগ ইনস্টিটিউটের প্রধান ডা. অ্যান্থনি ফাউচি। এছাড়া তিনি হোয়াইট হাউসের করোনা ভাইরাস রেসপন্স টিমের একজন বিশেষজ্ঞ। করোনা ভাইরাস নিয়ে বিভিন্ন তথ্য দিতে একসময় ফাউচি নিয়মিত টেলিভিশনে উপস্থিত হতেন। কিন্তু গত ৪ মে’র পর আর তাকে টিভিতে দেখা যায়নি। কারণ নির্বাচনের বছর হওয়ায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাড়াতাড়ি লকডাউন তুলে দিতে চান, যার বিরুদ্ধে ফাউচি। এজন্য তাকে আর টিভির সামনে আসতে দেয়া হচ্ছে না।

লুই হেনরিক মেন্ডেটার

ব্রাজিলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করছিলেন লুই হেনরিক। কিন্তু দেশে করোনার বিস্তার রোধে তিনি লকডাউনের পক্ষে সোচ্চার ছিলেন। কিন্তু তার বিপরীত অবস্থানে রয়েছেন দেশটির চরম ডানপন্থী প্রেসিডেন্ট জাইয়া বলসোনারো। তিনি লকডাউন তুলে দ্রুত দেশের অর্থনীতিকে স্বাভাবিক অবস্থায় নিয়ে যেতে চান। এ নিয়ে মতেবিরোধের জের ধরে গত মাসের মাঝামাঝিতে লুই হেনরিক মেন্ডেটাকে বরখাস্ত করেন বলসোনারো।

নেলসন টেইক

লকডাউন নিয়ে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বিরোধের জের ধরে চলতি মাসের মাঝামাঝিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন নেলসন টেইক। লুইজ হেনরিক মেন্ডেটার পর তাকে এই দায়িত্বে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু লকডাইন নিয়ে এবারও বলসোনারোর সাথে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন নতুন এই স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, মহামারী সংক্রমণের চরম অবস্থায় জিম এবং বিউটি পার্লার কোলার খোলার অনুমতি দেন প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারো। এতে হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন নেলসন টেইক। তিনি প্রেসিডেন্টের এমন সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করেন।

এর আগে ব্রাজিলে করোনা রোগীদের জন্য ‘হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন’ওষুধ বড় পরিসরে ব্যবহারে প্রেসিডেন্টের বিরোধিতা করেছিলেন টেইক। সে সময় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে একমত হয়ে তিনি জানিয়েছিলেন, করোনা রোগীর ক্ষেত্রে এ ওষুধের কার্যকর প্রমাণ নেই। সর্বশেষ জিম, বিউটি পার্লার ও সেলুন খুলে দেয়ার বিষয়ে প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারোর সঙ্গে মতানৈক্য দেখা দেয় ও সম্পর্কে ফাটল ধরে টেইকের।

যে কারণে প্রেসিডেন্ট তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার আগেই নিজেই ওই পদ থেকে সরে দাঁড়ান। ফলে এ নিয়ে করোনা মহামারির মধ্যেই দেশটিতে মাত্র এক মাসের মাথায় দুই স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের ঘটনা ঘটলো।

সূত্র: ডয়েচে ভেলে

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত