ঢাকা, মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

অন্যায়ের কাছে কখনোই মাথা নত করেননি বঙ্গবন্ধু: ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ১৫ আগস্ট ২০২০, ১৮:৫৬

অন্যায়ের কাছে কখনোই মাথা নত করেননি বঙ্গবন্ধু: ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাৎ বার্ষিকীতে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় বিভিন্ন কর্মসুচি পালন করেছে। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কর্তৃকপক্ষ আজ সকাল ১০টায় রাজধানীর মতিঝিলস্থ যুব ভবনে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি এবং জাতির পিতার বর্নাঢ্য কর্মময় জীবন নিয়ে এক বিশেষ আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল এম পি। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জনাব মোঃ আখতারউজ্জামান কবীরের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্হায়ী কমিটির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপি এবং যুব ও ক্রীড়া সচিব সচিব মোঃ আখতার হোসেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাঙালি জাতির অধিকার প্রতিষ্ঠায় ও গরীব দুঃখী অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন লড়াই করেছেন। তিনি অন্যায়ের কাছে কখনোই মাথা নত করেননি। নানা ধরনের জেল-জুলুম এবং অত্যাচার সহ্য করে তিনি বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন।

তিনি এক যুগেরও বেশি সময় কারাগারে ছিলেন। তিনি সমগ্র বিশ্বের নিপীড়িত, শোষিত ও অধিকারবঞ্চিত মানুষের অনুপ্রেরণার এক অনিঃশেষ উৎস।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নির্মমভাবে নিহত সকল শহীদদের আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৫ আগস্ট ইতিহাসের বেদনাবিধুর ও বিভীষিকাময় এক দিন।

১৯৭৫ সালের এ দিনে সংগঠিত হয় বিশ্বের ইতিহাসে সব থেকে নিষ্ঠুরতম রাজনৈতিক হত্যাকান্ড। সে সময় বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানা।

সেদিন হাসিনা ও রেহানা বেঁচে গিয়েছিলেন বলেই বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের বিচার সম্ভব হয়েছে। বিচার হয়েছে যুদ্ধাপরাধের। কলঙ্কমুক্ত হয়েছে দেশ। আমরা বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্বে সারা বিশ্বে আজ স্বমহিমায় মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পেরেছি। বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে এখন আর তলাবিহীন ঝুড়ি নয়, উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের রোল মডেল।

তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা শারীরিকভাবে আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু রয়েছে তার আদর্শ, তার কর্ম। আমরা তাঁর দেখানো পথ অনুসরন করেই জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলবো।

এ সময়ে প্রতিমন্ত্রী যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কর্তৃক দিনব্যাপী স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। এছাড়াও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী সারাদেশের যুব উদ্যোক্তাদের মধ্যে ২৫ কোটি ২৬ লক্ষ টাকার যুব ঋণ বিতরণ কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কর্তৃক গরীব অসহায়দের মধ্যে বিনামূল্য ৬০ হাজার মাস্ক বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। শোক দিবস উপলক্ষে দুস্থ, গরীব ও এতিমদের মধ্যে উন্নত খাবার পরিবেশন করা হয়।

প্রতিমন্ত্রী জাতীয় শোক দিবসের শুরুতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে এবং বনানী কবরস্থানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু’র পরিবারের সদস্যদের সমাধিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন এবং শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাতে শরীক হন। এ সময়ে যুব ও ক্রীড়া সচিব মোঃ আখতার হোসেন, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ আখতারুজ্জামান কবীরসহ মন্ত্রণালয়ের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত