ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

টস জিতে ব্যাটিংয়ে কুমিল্লা

  স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশ : ১১ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৮:১৯

টস জিতে ব্যাটিংয়ে কুমিল্লা

চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স আর সিলেট থান্ডারের ম্যাচ দিয়ে শুরু হয়েছে সপ্তম বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) বা বঙ্গবন্ধু বিপিএল। দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স-রংপুর রেঞ্জার্স। টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স।

বিশেষ বিপিএলের প্রথম ম্যাচে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও সিলেট থান্ডার। প্রথম ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চট্টগ্রামের অধিনায়ক রায়ান এমরিট।

প্রথমে ব্যাট করতেই ধীরেসুস্থে খেলা শুরু করেছেন দুই ওপেনার রনি ও জনসন। দলীয় ৫ রানে রনির বিদায়ের পর মিথুনকে নিয়ে চট্টগ্রামের মোকাবেলা করেছেন জনসন। ২৩ বলে ৩৫ রান করে দলীয় ৫১ রানে নাসুমের বলে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন জনসন। এরপর জেভান মেন্ডিস নেমে বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। ৪ রান করেই এমরিটের বলে ওয়ালটনের তালুবন্দী হয়েছেন তিনি। এরপর মিথুন-মোসাদ্দেকের জুটিতে এসেছে ৯৬ রান।

ডানহাতি ব্যাটসম্যান মিথুন ইনিংস শুরু করেছিলেন অবশ্য ধীরগতিতে। প্রথম ১৫ রান করতে খেলেন ১৯ বল। পরের ১১ বলে পৌঁছে যান পঞ্চাশে। পেসার মুক্তার আলীকে ছক্কা হাঁকিয়ে মিথুনের তাণ্ডব শুরু। এরপর স্পিনার নাসুম আহমেদের এক ওভারেই হাঁকান তিন ছক্কা। পরের ওভারে নাসির হোসেনকে ছক্কায় উড়িয়ে ফিফটি পূর্ণ করেন মাত্র ৩০ বলে। ফিফটির পথে তার ব্যাট থেকে আসেনি কোনো চার। মেরেছেন পাঁচটি ছক্কা।

দলীয় ১৫৭ রানে রুবেলের বলে এমরিটের ক্যাচ হয়ে সাজঘরে ফেরেন মোসাদ্দেক। ৩৫ বলে ২৯ রান করেন সিলেটের অধিনায়ক। এরপর শেষদিকে মিলন এসে যোগ করেন ১ রান। ৪৮ বলে ৮৪ রান করে অপরাজিত ছিলেন মোহাম্মদ মিথুন।

ভারত সফরে ব্যাট হাতে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। তবে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগেই (বিপিএল) স্বরূপে ফিরলেন মোহাম্মদ মিথুন। বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে ঝড় তুলে ফিফটি করেছেন সিলেট থান্ডারের মিথুন। তার ৪৭ বলে ৮৪ রানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে সিলেটের সংগ্রহ ১৬২ রান।

ট্টগ্রামের হয়ে ২ উইকেট শিকার করেন রুবেল। ১টি করে উইকেট নেন নাসুম ও এমরিট।

১৬৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৬৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে কিছুটা ব্যাকফুটে চলে যায় চট্টগ্রাম। তবে ইমরুল কায়েসের লড়াকু ব্যাটিংয়ে সেই ধাক্কা কাটিয়ে উঠে জয়ের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে চ্যালেঞ্জার্সরা।

৬১ রানে ইমরুল কায়েস ফিরলে বাকি কাজটা সারেন ওয়ালটন এবং নুরুল হাসান। ৩০ বলে ৪৯ করে অপরাজিত থাকেন ওয়ালটন। ম্যাচ জয়ের মুহূর্তে তাকে সঙ্গ দিচ্ছিলেন নুরুল হাসান। এই দুই জন ৬ বল হাতে রেখেই ৫ উইকেটে দলকে জয় এনে দিয়ে মাঠ ছাড়েন। ম্যাচ সেরার পুরস্কার পান ইমরুল কায়েস।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত