ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১১ মিনিট আগে
শিরোনাম

নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের বীমা দাবি পূরণে কাজ শুরু

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২১ মার্চ ২০১৮, ০৮:৫৫

নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের বীমা দাবি পূরণে কাজ শুরু

নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের বীমা দাবি পূরণে কাজ শুরু করেছে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বীমা কোম্পানিগুলো। ক্ষতি নিরূপণের জরিপ রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই বীমা দাবির অর্থ পরিশোধ করা হবে দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবার ও আহতদের কাছে। সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে কত সময় লাগবে তা জানা না গেলেও সেনা কল্যাণ ইনস্যুরেন্স কর্তৃপক্ষের প্রত্যাশা এক মাসের মধ্যে দাবি পরিশোধের কার্যক্রম শুরু করতে পারবেন তারা। ক্ষতিপূরণের অর্থের পরিমাণে সন্তুষ্ট না হলে মামলা করার সুযোগ আছে ক্ষতিগ্রস্তদের।

নেপালে দুর্ঘটনায় পড়া ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমান, যাত্রী ও ক্রুদের বীমার অর্থ দাবি করে চিঠি দিয়েছে ইউএস বাংলা কর্তৃপক্ষ। দেশীয় সেনা কল্যাণ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি, সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের পাশাপাশি বীমার বড় অংশের শেয়ার ভারত ও লন্ডনভিত্তিক বীমা কোম্পানির। সেই দাবি অনুযায়ী এরই মধ্যে ক্ষতি নিরূপণে কাজ শুরু করেছে বিদেশি কোম্পানিগুলোর প্রতিনিধিরা। তদন্তের পর দেয়া হবে ক্ষতি নিরূপণের জরিপ রিপোর্ট।

রিপোর্ট পাওয়ার পরই শুরু হবে বীমা দাবির টাকা পরিশোধ প্রক্রিয়া। সংশ্লিষ্ট বীমা কোম্পানিগুলো বলছে, ওয়ার শ' কনভেনশন অনুযায়ী বিমান দুর্ঘটনায় হতাহতের ক্ষতিপূরণ হিসেবে সর্বোচ্চ ২ লাখ ডলার অর্থ সহায়তা পাবেন ক্ষতিগ্রস্তরা। দুর্ঘটনায় আহত ও নিহতদের পরিবারের কাছে ক্ষতি পূরণের অর্থ হস্তান্তর করবে ইউএস বাংলা কর্তৃপক্ষ। আগামী ১ মাসের মধ্যে এ প্রক্রিয়া শুরু করার ব্যাপারে আশাবাদী সেনা কল্যাণ ইনস্যুরেন্স কর্তৃপক্ষ।

সেনা কল্যাণ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শফিক শামীম বলেন, 'আজ-কালকের মধ্যে আশাকরি, বিমার প্রথম অংশের রিপোর্টটা অর্থাৎ ইউএস বাংলার এয়ারক্রাফট বিধ্বস্তের রিপোর্ট পেয়ে যাবো। এটা পেয়ে গেলে পরবর্তী পনেরো থেকে এক মাসের মধ্যে ক্ষতিপূরণের প্রক্রিয়াটা যে শুরু হয়েছে সেটা বুঝা যাবে।'

আর সাধারণ বীমা করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ শাহরিয়ার আহসান বলেন, 'বাইরের কোম্পানিগুলোর কাছে আমাদের বেশি অংশটা রয়েছে। তারা যাতে তাদের ক্ষতির অংশটা তাড়াতাড়ি ইউএস বাংলাকে দিয়ে দিতে পারে সেজন্য ব্যবস্থা করছি এবং আমাদের অংশে যেটুকু পড়ছে, সেনা কল্যাণের অংশে যেটুকু পড়ছে তারা সেটা দিয়ে দিবে।'

দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বীমা কোম্পানিগুলোর মধ্যে সমন্বয় রক্ষাকারী ব্রোকার হাউস কে. এম. দাস্তুর বলছে, যতটা সম্ভব কম সময়ের মধ্যে বীমা দাবি নিষ্পত্তির চেষ্টা করছেন তারা। পুরো প্রক্রিয়া তদারকি করছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ।

কে. এম. দাস্তুরের কান্ট্রি ডিরেক্টর সাইদুল ইসলাম বলেন, 'নেপালে আমাদের টিম চলে গেছে এবং আমাদের আইনজীবী বাংলাদেশে চলে এসেছে। এটা যতদ্রুত সম্ভব আমরা সমাধান করবো।'

বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সদস্য গোকুল চাঁদ দাস বলেন, 'আমরা তাদের অবিলম্বে বিমা দাবি পরিশোধ করার জন্য বলতে পারি। যদি তারা না মানে তাহলে জরিমানা করা যেতে পারে কিংবা অন্য কোনো ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে।'

দুর্ঘটনায় যে ক্ষতি হয় তা পূরণ হবার নয় কোন ভাবেই। নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় হতাহতদের বেলাও তা একই। যেসব ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে বীমা করা হয়েছিল হতাহতদের, সেই বীমা দাবি পূরণ হলে হয়তো আহতরা খুঁজে পাবেন এক চিলতে আশা, নিহতদের পরিবার হয়তো পাবেন বেঁচে থাকার আশ্রয়। তাই সংশ্লিষ্টদের প্রত্যাশা, কোনো রকম জটিলতা ছাড়াই সম্পন্ন হবে বীমার অর্থ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া।

এসএস

  • সর্বশেষ
  • পঠিত