ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

তারুণ্য নির্ভর ফ্রান্স নাকি উদ্যোমী আর্জেন্টিনা?

তারুণ্য নির্ভর ফ্রান্স নাকি উদ্যোমী আর্জেন্টিনা?

একদিকে তরতাজা ফ্রান্স। অন্যদিকে, নব উদ্যমে জেগে ওঠা আর্জেন্টিনা। এক দিকে এক ঝাঁক তরুণ ফুটবলার। অন্য দিকে, ত্রিশোর্দ্ধদের ভিড়। এক দিকে প্রতিভাবানদের ছড়াছড়ি। অন্য দিকে, মহাতারকাই নিউক্লিয়াস।

শেষ পর্যন্ত কে জিতবে তা জানা যাবে আজ রাতেই। আর কিছুক্ষণ পরই যুদ্ধে নামতে যাচ্ছে এই দুই দল। আর্জেন্টিনা মানেই লিওনেল মেসি। তাকে ঘিরে রাখা মানেই নীল-সাদা জার্সির ঔজ্জ্বল্য ফিকে। ফ্রান্স মানে কোনও একজন নন। পল পগবা, আন্তোনিও গ্রিজম্যান, অলিভার জিহু, ডেম্বেলেরা সবাই।

তবে আর্জেন্টিনা পেরিয়ে এসেছে সেই অশান্ত সময়। নিয়েছে অনন্ত চাপ। ছিটকে যাওয়ার খাঁড়া ঝুলছিল মাথার ওপর। প্রায় নেমেও এসেছিল ঘাড়ে। স্নায়ুর চাপ সামলে তা পেরিয়ে এসেছেন মেসিরা। শিবিরে অশান্তিও ছিল। কোচ সাম্পাওলির প্রতি অনাস্থা ক্রমশ জোরালো হচ্ছিল। নানা জল্পনা আর গুজব উড়ছিল বাতাসে। ফিসফাস আর সন্দেহের বাতাবরণ ঘিরে ধরছিল শিবিরকে। একটা জয় পাল্টে দিয়েছে সেই আবহ। নকআউটে ওঠা বদলে দিয়েছে শিবিরকে। মেসিকে নিয়ে বাঁচার স্বপ্ন, আরও বড় লক্ষ্যে ছুটে যাওয়ার সঙ্কল্প এখন মাসচেরানো, মারিয়া, ওটামেন্ডি, আগুয়েরোদের চোখে-মুখে। তাই এলএম টেন আর একা থাকছেন না। পাশে পেয়ে যাচ্ছেন ইস্পাত-কঠিন মানসিকতার সতীর্থদের।

ফ্রান্স আবার জোর দিয়েছে হোমওয়ার্কে। কী ভাবে মেসিকে থামানো যায়, কী ভাবে মেসিকে বল ছাড়া রাখা যায়, সেই ছক তৈরি। ফ্রান্সের গড় বয়স অনেক কম। কোনও কোনও ফুটবলার গ্রুপের শেষ ম্যাচ বিশ্রাম পাওয়ায় টগবগে। সমস্যা হল, ফ্রান্স দ্রুত এগিয়েছে গ্রুপে। তাই চাপ সামলে জ্বলে ওঠার পরীক্ষায় বসতেই হয়নি। আর্জেন্টিনা যদি কাজান স্টেডিয়ামে দিদিয়ের দেশমের দলকে চাপে ফেলতে পারে, তখনই ফরাসিদের আসল পরীক্ষা হবে।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত