আপনার শিশুকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলতে...
মা-বাবার চেয়ে বড় শিক্ষক জগতে নেই। প্রিয় সন্তানটিকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করেন বাবা মা। সন্তানকে ভালোবাসার পাশাপাশি তার শৈশবকে সুন্দর ও বর্ণিল করে তোলা প্রয়োজন।
আপনার ছোট ছোট কাজগুলো কি আসলেই খুব কঠিন হবে সন্তানের জন্য করার!!
আজকের বাংলাদেশ জার্নাল কিডস জোন ছবিতে , লামিয়া ও রুপকথা।
*বাচ্চারা খেলনা নষ্ট করবে এটাই স্বাভাবিক। এজন্য তাকে বকাঝকা না করে বোঝানোর চেষ্টা করুন। সবচেয়ে ভালো হয় যদি তার ভিতরে খেলনাগুলোর যত্ন নেওয়ার বোধ সৃষ্টি করা যায়। খেলার পর খেলনাগুলো আপনি বা কাজের লোককে দিয়ে গুছিয়ে তাকে দিয়েই খেলার ছলে গুছিয়ে ফেলার চেষ্টা করুন। প্রথমদিকে হয়তো কাজ হবে না। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে আপনার শিশুটি দেখবেন দায়িত্ববান হয়ে উঠেছে।
*স্বামী স্ত্রী এর মধ্যে দাম্পত্যে কলহ হবে এটাই স্বাভাবিক তবে লক্ষ্য রাখবেন আপনার শিশুটি যেন এর বলি না হয়। তার বাবা-মা এর মধ্যকার সম্পর্ক সে যেন সব সময় উপলব্ধি করে মধুর, যা তার ভবিষ্যৎ ব্যক্তিগত জীবনে সুখের ছায়া ফেলবে।
*সপ্তাহে অন্তত একদিন আপনার শিশুকে একটু প্রকৃতির কাছাকাছি নিয়ে যান। তাকে ছেড়ে দিন খোলা হাওয়ায়,স্পর্শ করান মাটিকে। ধরতে দিন ফুলের উপর বসা রঙ্গিন প্রজাপ্রতীটীকে। দৌড় দিতে দিন, দিতে দিন ঝাঁপ। দেখবেন প্রকৃতির সান্নিধ্য আপনার শিশুর মাঝে এক অপূর্ব ভালো লাগার স্নিগ্ধতার ছাপ ফেলে যাবে যা বাজার বা লক্ষ টাকা খরচ করেনাও কোন সুপার সপে পাবেন না ।
*ভিক্ষুক বা কোথাও কোন কিছু দান করার সময় যতটা পারেন আপনার শিশুকে সাথে রাখুন, এতে তার মন উদার হবে। পৃথিবীকে সে বেশী ভালবাসতে শিখবে।
*আপনার শিশুর মতামতকে তার সামনে তুচ্ছতাচ্ছিল্য না করে এমনভাবে বিষয়টি নিয়ে কথা বলুন যেন সে নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করে। এতে তার আত্মশ্রদ্ধা বাড়বে।
*মোটামুটি পড়তে এবং লিখতে পারলে তাকে তার ব্যক্তিগত ডায়েরি লেখার বা আঁকার ব্যাপারে উৎসাহিত করুন। এতে সে নিজেকে নিয়ে ভাবতে শিখবে, অনুভব করতে শিখবে। নিজের কাছে আত্মসমালোচনার দ্বার হবে উন্মুক্ত।
*পাঠ্যপুস্তকের বাইরে মজার মজার বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এতে সে পুরো পৃথিবী নতুন করে চিনতে শিখবে।
/ইইউ
