ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

বেতন বৈষম্য নিরসনে সরকারি চাকরিজীবীদের কঠোর হুঁশিয়ারি

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১১:৩৭  
আপডেট :
 ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১১:৪৯

বেতন বৈষম্য নিরসনে সরকারি চাকরিজীবীদের কঠোর হুঁশিয়ারি

বেতন বৈষম্য নিরসনে অভিন্ন নিয়োগবিধি বাস্তবায়ন এবং টাইম স্কেল-সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহালসহ আট দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে ১১ থেকে ২০ গ্রেডের সরকারি চাকরিজীবীদের সংগঠন সম্মিলিত অধিকার আদায় ফোরাম।

গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত ওই মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে দাবি পূরণে এক মাসের আলটিমেটামও দেয় ‘সম্মিলিত অধিকার আদায় ফোরাম’। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুমকি দিয়েছে সংগঠনটি।

আরও পড়ুন: শিক্ষকসহ সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বাড়ছে!

মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক মো. মিরাজুল ইসলাম এবং লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সদস্য সচিব মো. মাহমুদুল হাসান। এর আগে ভোর থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হন ১১-২০ গ্রেডের সরকারি চাকরিজীবীরা। সকাল ১০টার পর শুরু হয় মানববন্ধন। এতে সারা দেশ থেকে আসা সরকারি চাকরিজীবীরা তাদের ‘ন্যায্য দাবি’ মেনে নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি অনুরোধ জানান।

সভাপতির বক্তব্যে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক মিরাজুল ইসলাম আট দফা দাবি মেনে নিতে সরকারকে এক মাসের আলটিমেটাম দেন। তিনি বলেন, ‘৭ মার্চের মধ্যে দাবিগুলো মেনে নেয়া না হলে আমরা কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবো। তবে আমরা কঠোর কর্মসূচি এবং কর্মবিরতিতেও যেতে চাই না, আমরা শুধু আমাদের ন্যায্য দাবিগুলো আদায় চাই।’

আরও পড়ুন: শিক্ষকদের প্রতি শিক্ষামন্ত্রীর নতুন নির্দেশনা​

লিখিত বক্তব্যে ফোরামের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘১১ থেকে ২০ গ্রেডে এই বঞ্চিত লাখ লাখ কর্মচারীকে বাদ দিয়ে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করা সম্ভব নয়। এসব দাবি বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণে আমরা গত বছর ৯ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করি। এরপর ওই বছর ৩০ সেপ্টেম্বর ৬৪ জেলার জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করি।’

তিনি আরও বলেন, ‘১৬ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী কর্র্তৃক গঠিত জাতীয় বেতন বৈষম্য দূরীকরণ সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সদস্যদের দফতরে স্মারকলিপি প্রদান করি। এখন পর্যন্ত বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও সংসদের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভাপতিসহ প্রায় একশজনের অধিক সংসদ সদস্য মহোদয়কে এ সংক্রান্ত স্মারকলিপি প্রদান করেছি। এরপর আবারও সংবাদ সম্মেলন করি। কিন্তু এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।’

আরও পড়ুন: সরকারি চাকরিজীবীদের তিনটি ইনক্রিমেন্ট, নবম বেতন কমিশন গঠনে চিঠি

ফোরামের দাবিগুলো হলো- ১. বেতন বৈষম্য নিরসন করে গ্রেড অনুযায়ী বেতন স্কেলের পার্থক্য সমহারে নির্ধারণ এবং গ্রেড সংখ্যা কমানো (আইএলও অনুযায়ী বেতন নির্ধারণ)। ২. এক ও অভিন্ন নিয়োগ বিধি প্রণয়ন। ৩. সকল পদে পদোন্নতি পাঁচ বছর পরপর উচ্চতর গ্রেড প্রদান (ব্লগ পোস্ট নিয়মিতকরণ করা)। ৪. টাইম স্কেল সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহালসহ বেতন জ্যেষ্ঠতা বজায় রাখা। ৫. সচিবালয়ের ন্যায় পদবি ও গ্রেড পরিবর্তন করা। ৬. সকল ভাতা বাজার চাহিদা অনুযায়ী সমন্বয় করা। ৭. নিম্ন বেতনভোগীদের জন্য রেশন, শতভাগ পেনশন চালুসহ পেনশন গ্র্যাচুইটি হার এক টাকা সমান পাঁচশো টাকা করা ৮. কাজের ধরন অনুযায়ী পদের নাম ও গ্রেট একীভূত করা।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওয়াইএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত