ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

বিদ্যালয়ে আর হেঁটে যেতে হবে না

  দিনাজপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৯:১৩

বিদ্যালয়ে আর হেঁটে যেতে হবে না

শারমিন আক্তর ধুলাউড়ী কাশিমনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শেণির ছাত্রী। তিন ভাই-বোন আর মা বাবা মিলে পাঁচ জনের সংসার। বাবা মজিবুর রহমান একজন দিনমজুর। খেলাপড়ার প্রতি শারমিনের অদম্য আগ্রহ। শারমিন আক্তার পিএসসি ও জেএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে।

বাড়ি থেকে শারমিন আক্তারের ধুলাউড়ী কাশিমনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের দূরত্ব সাড়ে তিন কিলোমিটার। প্রতিদিন হেঁটে যেতে বিদ্যালয়ে। হেঁটে যাতায়াত করায় অনেক ক্লান্ত হয়ে পড়তে হয় তাকে। বাবা মজিবুর রহমানকে অনেকবার শারমিন বলেছে, 'বাবা আমার একটা সাইকেলের প্রয়োজন'। বাবা প্রতিশ্রুত এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে একটা সাইকেল কিনে দেওয়ার কথা থাকলেও, তা আর প্রয়োজন হল না।

শারমিন আক্তার স্বপ্নের সাইকেল পেয়ে গেছে। এবার রুখবে কে তাকে? এমনিভাবেই মরিয়ম খাতুন, সাবিনা ইয়াসমিন, লতা আক্তার ও বিউটির মতো ৬০ জন শিক্ষার্থীর স্বপ্ন পূরণ হলো।

রোববার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে দিনাজপুরের শতগ্রাম ইউনিয়নের ধুলাউড়ী কাশিমনগর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে 'এলজি অ্যাম্বেসেডর প্রোগ্রাম ২০১৯' এর আওতায় শতগ্রাম ইউনিয়নের ৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৫৬ জন দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীর হাতে বাইসাইকেল তুলে দেন প্রধান অতিথি বীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইয়ামিন হোসেন।

ইয়ামিন হোসেন বলেন, স্কুল থেকে ওদের বাড়ি দূরে। তাই প্রতিদিন স্কুলে যেতে হয় কখনো হেঁটে, কখনোবা কোনো যানে চড়ে। অবশ্যই হাঁটতেই হয় বেশিরভাগ সময়। এখন তাদের সে কষ্ট দূর হলো। প্রতিদিন স্কুলে যাওয়ার জন্য তারা পেয়েছে বাইসাইকেল। সাইকেল পেয়ে তাই প্রত্যেকের চোখে-মুখে এখন আনন্দের ঝিলিক।

এ সময় আরোও উপস্থিত ছিলেন, এলজি বাংলাদেশের সিএসআর ম্যানেজার, মোঃ গিয়াসউদ্দীন, অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ধুলাউড়ী কাশিমনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি, মোঃ আব্দুল হামিদ মন্ডল, অ্যাম্বেসেডর মাহবুব মন্ডলসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত