ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেটে চাকরি, ৪ পুলিশের আত্মসমর্পণ
যশোর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ২২:২৮
যশোরে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট দিয়ে পুলিশে চাকরির মামলায় চারজন আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মঞ্জুরুল ইসলাম আসামিদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলেন, যশোর সদরের ছাতিয়ানতলা ঘোপ গ্রামের সাইফুর রহমানের ছেলে (ইন্টিটেরিজম ইউনিট ঢাকা) রানা হাসান (কনস্টেবল নম্বর ১৪৬৫), বাঘারপাড়ার সাইটখালি গ্রামের আহাদ আলীর ছেলে (ঝিনাইদহ) বাপ্পী মাহমুদ (কনস্টেবল নম্বর ১৪৬৫), চৌগাছার জগন্নাথপুর গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে (কেএমপি) মনিরুজ্জামান (কনস্টেবল নম্বর ৬১৬৮) ও পেকাটালিপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তার বিশ্বাসের ছেলে আলীম উদ্দিন (কনস্টেবল নম্বর (১২২৪)।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ২৬ নভেম্বর পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে ৩ ডিসেম্বর যশোর পুলিশ লাইন ময়দানে কনস্টেবল পদে নারী-পুরুষ নিয়োগের জন্য পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন মুক্তিযোদ্ধা কোটায় কনস্টেবল পদে তারা চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হন। ৬ মাসের প্রশিক্ষণ শেষে তাদের বিভিন্ন কর্মস্থলে যোগদান করানো হয়। এরপর তাদের দেয়া মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট যাচাই-বাছাইয়ের জন্য পুলিশ হেড কোয়ার্টারের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পাঠানো হয়।
যাচাই-বাছাইয়ে ওই এদিন চূড়ান্তভাবে নিয়োগ পাওযা ৮ জনের দেয়া মুক্তিযোদ্ধার সর্টিফিকেট ভুয়া বলে প্রমাণিত হয়। এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে গত ৩০ ডিসেম্বর প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে ওই ৮ জনকে আসামি করে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন যশোর রিজার্ভ অফিসের আরওআই পরিদর্শক এম মশিউর রহমান।
এ মামলার এজাহারভুক্ত ওই চারজন পুলিশি গ্রেপ্তার এড়াতে রোববার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। বিচারক জামিন আবেদনের শুনানি শেষে তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
উল্লেখ, এর আগে ৪ আসামিকে পুলিশ আটক করেছিল।
বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে
