ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

পিটিয়ে শিক্ষার্থীর হাত ভেঙে দিলেন শিক্ষক

  ধামরাই প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৫:৪১

পিটিয়ে শিক্ষার্থীর হাত ভেঙে দিলেন শিক্ষক

ঢাকার ধামরাইয়ে সুতিপাড়া ইউনিয়নের শ্রীরামপুর বাজারে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সানমুন কিন্ডারগার্টেন এন্ড হাইস্কুলে একাধিক ছাত্রকে অমানুষিকভাবে পিটিয়ে হাত ভেঙে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে মো. মোখলেছুর রহমান নামের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

সোমবার দুপুর ১২টার দিকে শ্রীরামপুর বাজারের সানমুন কিন্ডারগার্টেন এন্ড হাইস্কুলের মাঠে ছাত্ররা খেলাধুলা করার সময় এ ঘটনা ঘটে।

ওই শিক্ষকের নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীরা হলেন, মো. আবদুল করিমের ছেলে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র মো. ইয়াছিন হোসেন (৯), মো. আনোয়ার হোসেনের ছেলে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র মো. নাঈম হোসেন (১৩) বাবু ঘোষের ছেলে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র বাঁধন ঘোষ (১২), লিটন ঘোষের ছেলে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র রাজা ঘোষ (১৩) ও মিলনকান্তি চক্রবর্তীর ছেলে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র স্বাধীন চক্রবর্তী (১২)। তাদের প্রত্যেকের বাড়িই উপজেলার সুতিপাড়া ইউনিয়নের শ্রীরামপুর এলাকার মাঝিপাড়া মহল্লায়।

আহত শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন হাসপাতাল ও প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি করার পর প্রাথমিক চিকিৎসার পর সুস্থ হয়েছে। তাদের মধ্যে বাঁধন ঘোষ ও স্বাধীন ঘোষের অবস্থা বেশি গুরুতর বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা যায় । আবার এক জন ছাত্রের হাত ভেঙে গেছে।

সানমুন কিন্ডারগার্টেন এন্ড হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক মো. মোখলেছুর রহমানের বাড়িও শ্রীরামপুর গ্রামেই। তিনি ওই গ্রামের মো. ইসহাক মিয়ার ছেলে।

জানা গেছে, রোববার স্কুলের টিউটোরিয়াল পরীক্ষার কারণে আগেই ছাত্র-ছাত্রীদের ছুটি দেয়া হয়। ছুটি শেষে বাঁধন ঘোষ, রাজা ঘোষ, স্বাধীন চক্রবর্তী, নাঈম, ইয়াছিন মিলে স্কুলের মাঠে খেলা করছিলেন। এই সময় শিক্ষক মোখলেছুর রহমান মাঠে জান এবং শিক্ষার্থীদের বলেন, বাড়িতে গিয়ে লেখাপড়া করার কথা বললেও ছাত্ররা না গিয়ে মাঠে খেলাধুলা করতে থাকে। এতে ওই শিক্ষক জাতীয় পতাকা উত্তোলনের বাঁশ দিয়ে তাদের পিটিয়ে আহত করে। পরে শ্রীরামপুর বাজারের লোকজন এগিয়ে এসে ওই শিক্ষকের কবল থেকে শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করেন।

আহত ওই শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন হাসপাতালে ও ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। প্যাথলজি পরীক্ষা শেষে চিকিৎসকরা আহত শিক্ষার্থীদের হাতের হাড় ভেঙেছে বলে জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে বাঁধন ঘোষের বাবা বাবু বলেন, আমার ছেলেকে শিক্ষক মোখলেছুর রহমান বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে হাত ভেঙে দিয়েছে। আমি এর বিচার চাই।

শিক্ষক মো. মোখলেছুর রহমানকে একাধিকবার ফোন করে তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। তিনি এখন পলাতক রয়েছেন বলে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে সানমুন কিন্ডার গার্টেন এন্ড হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা নাছিমা আক্তার বলেন, আমাদের স্কুলের শিক্ষার মান ভালো। তাই ছাত্রদের একটু শাসন করা হয়েছে তাদের দুষ্টুমির জন্য। শাসন না করলে তারা পড়তে চায় না। হাত ভাঙার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হয়তো হঠাৎ করে হাতে লেগে ভেঙে যেতে পারে।

এ ব্যাপারে সানমুন কিন্ডারগার্টেন এন্ড হাইস্কুলে প্রতিষ্ঠাতা মো. আবদুল করিম বলেন, শিক্ষক মোখলেছুর রহমান ছোট ছোট বাচ্চাদের বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে আহত করে কাজটা মোটেও ভালো করেননি। তবে স্কুলের বাকি শিক্ষকদের নিয়ে বসে শিক্ষক মোখলেছুর রহমানকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/ এমএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত