ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

মসজিদ ভেঙে পর্যটন নয়, মসজিদ ভিত্তিক পর্যটন গড়তে হবে

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৯:৪০

মসজিদ ভেঙে পর্যটন নয়, মসজিদ ভিত্তিক পর্যটন গড়তে হবে

কোনো অযুহাতে মসজিদ ভাঙা বা স্থানারিত করা ইসলামে কাট্টা হারাম এবং কুফরী উল্লেখ করে অবিলম্বে এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে মসজিদ ভাঙা প্রতিরোধ জাতীয় কমিটি। শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে বায়তুল মুকাররমে উত্তর গেটে এক মানববন্ধনে বক্তারা এ দাবি জানান।

তাদের দাবি, সড়ক, সেতু, ফ্লাইওভার, মেট্রোরেল, কল-কারখানা নির্মাণ এবং সৌন্দর্য বর্ধণসহ কথিত সৌন্দর্য বর্ধণ বা উন্নয়নের নামে কোনো মসজিদ ভাঙা চলবে না। প্রয়োজনে রাস্তা ঘুরিয়ে নিতে হবে। মসজিদ ভেঙে পর্যটন নয়, মসজিদ ভিত্তিক পর্যটন গড়তে হবে।

এর আগে ঢাকার চারপাশের নদী দখল করে গড়ে ওঠা মসজিদসহ ধর্মীয় স্থাপনা স্থানান্তর করে নদীর সীমানার বাইরে নির্মাণের জন্য একটি প্রকল্প নেয়া হচ্ছে বলে জানান নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

বক্তারা বলেন, সমস্ত মসজিদসমূহ উত্তমভাবে তা’যীম-তাকরীমের সাথে সংরক্ষণ করা, সার্বিকভাবে হিফাজত করা করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরয। আর এর বিপরীতে মসজিদ ভাঙা, মানহানী করা ও করার সহযোগীতা করা সবই কাট্টা কুফরী ও হারাম। পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদিছ শরীফ অনুযায়ী কোনো মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ ভাঙা বা স্থানান্তর করা জায়েজ নেই। তাই এসব মসজিদ ও মাদরাসা ভাঙার বা স্থানান্তর এর সিদ্ধান্ত অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার সাথে জড়িত নেপথ্য নায়কদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। তার এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে তাকে ক্ষমা চাইতে হবে।

তারা আরো বলেন, কথিত উন্নয়নের নামে ১৯৮৯ সালে নুর মুহাম্মদ মিয়ার দানকৃত ১৯৯৫ সালে রেজিস্ট্রি মূলে ওয়াকফকৃত ৬ শতক ভূমিতে প্রতিষ্ঠিত হাতিরঝিলের আলোচিত ভাসমান বায়তুল মাহফুজ মসজিদটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। ফেনীর মহিপালে ফ্লাইওভারের জন্য মহাপবিত্র মসজিদ ভেঙে ফেলা হয়েছে। কয়েক বছর আগে রাজধানীর আগারগাঁও এলাকায় কামাল পাশা সরণির উন্নয়নের নামে ৫টি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ ও একটি মাদরাসার অনেকাংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে। এগুলো নতুন করে নির্মাণ করে দিতে হবে। প্রয়োজনে রাস্তা ঘুরিয়ে নিতে হবে।

বক্তারা বলেন, মূলত সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে এমন একটি স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। সম্মানিত ইসলামী শরিয়তের হুকুম মেনে সে আলোকে ফায়সালা না করে জোরপূর্বক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ উচ্ছেদ করলে জামাত-হেফাযত সরকারকে ইসলাম বিদ্বেষী হিসেবে প্রমাণ করার ইস্যু পাবে। সুতরাং সরকারকে অতিসত্বর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ স্থানান্তর বা উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে হবে।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ মসজিদ ভাঙা প্রতিরোধ কমিটির সমন্বয়ক আলহাজ্জ হাফেজ মাওলানা মুহম্মদ আব্দুস সাত্তার, আলহাজ্জ কাজী মাওলানা মুহম্মদ আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী, মাওলানা মুহম্মদ শওকত আলী শেখ ছিলিমপুরী, লায়ন আলহাজ্জ মাওলানা মুহম্মদ আবু বকর সিদ্দিক, মাওলানা মুহম্মদ শোয়েব আহমেদ গোপালগঞ্জী প্রমুখ।

বাংলাদেশ জার্নাল/এইচকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত