ঢাকা, রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

৬ মাসের মধ্যে দেশেই আন্তর্জাতিক মানের পিপিই তৈরী

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ৩০ মার্চ ২০২০, ১৩:০৩

৬ মাসের মধ্যে দেশেই আন্তর্জাতিক মানের পিপিই তৈরী

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস মোকাবেলায় চিকিৎসকদের সুরক্ষা দিতে আগামী ৬ মাসের মধ্যে আন্তর্জাতিক মানের (ডব্লিউএইচও স্ট্যান্ডার্ড) পার্সোনাল প্রটেকটিভ ইক্যুইপমেন্ট (পিপিই) তৈরি সম্ভব বলে জানিয়েছেন বিজিএমইএর সভাপতি রুবানা হক।

সম্প্রতি করোনায় বর্তমান পরিস্থিতিতে আক্রান্ত রোগীদের সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসকদের সুরক্ষা পোশাক তৈরির কাজে হাত দিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য পিপিই তৈরির চিন্তা এসেছে কারখানা মালিকদের।

রোববার রুবানা হক বলেন, বাংলাদেশে এতদিন পর্যন্ত মেডিকেল গ্রেড বা ডব্লিউএইচও স্ট্যান্ডার্ডের পিপিই তৈরি হত না। এখন জরুরি ভিত্তিতে প্রাথমিক পর্যায়ের (লেভেল ওয়ান) ২০ হাজার পিপিই তৈরি করতে গিয়ে তারা দেখছেন, আগামী ছয় মাসের মধ্যে লেভেল ৩/৪ বা চিকিৎসকদের ভাইরাসপ্রতিরোধী পিপিই তৈরির সক্ষমতা অর্জন করা সম্ভব।

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, আমাদের দেশের পোশাক প্রস্ততকারকরা সাধারণত পিপিই তৈরি করেন না। মেডিকেল গ্রেড বা ডব্লিউএইচও স্ট্যান্ডার্ডের ফেব্রিক চীন থেকে আমদানি করতে হয়। হাসপাতালে ব্যবহারের উপযোগী পিপিই তৈরি করতে হলে কারখানাগুলোতে বায়ু প্রতিরোধী সেলাই মেশিনসহ আরও কিছু যন্ত্রপাতি বসাতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা এখন যা তৈরি করছি সেটা হবে লেভেল-১ পিপিই। করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার কাজে নিয়োজিত ডাক্তারদের জন্য প্রয়োজন হবে লেভেল-৩/৪ মানের পিপিই। এছাড়া আমাদের পিপিইগুলো স্বীকৃত নয়। এটা কেবল শতভাগ পানিরোধী পোশাক। এর ডিজাইন আসল পিপিইর মতোই। এগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রে চিকিৎসা সহকারীরা ব্যবহার করবে। এছাড়া এখনকার পরিস্থিতিতে যেসব চিকিৎসকরা তাদের নিয়মিত কাজে যোগ দিতে ভয় পাচ্ছেন তারাও ব্যবহার করতে পারবেন।

রুবানা হক জানান, বর্তমানে প্রচলিত কাপড় দিয়ে পিপিই তৈরি করা হলেও আগামী ১৫-২০ দিনের মধ্যে চীন থেকে পিপিই তৈরির কাপড় নিয়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে। সেই ক্ষেত্রে আরও ভালো মানের পিপিই তৈরি করা তাদের পক্ষে সম্ভব হবে।

বিজিএমইএ কর্মকর্তারা জানান, যেসব ফেব্রিক দিয়ে পিপিইগুলো তৈরি করা হচ্ছে সেগুলো ইতোমধ্যেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমোদন পেয়েছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/আর

  • সর্বশেষ
  • পঠিত