ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩০ মিনিট আগে
শিরোনাম

চাঁদপুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সাপ্তাহিক হাট, আতঙ্কে স্থানীয়রা

  চাঁদপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ : ৩০ মার্চ ২০২০, ১৪:১২  
আপডেট :
 ৩০ মার্চ ২০২০, ১৪:৩৪

চাঁদপুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সাপ্তাহিক হাট, আতঙ্কে স্থানীয়রা

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে চাঁদপুরে সরকারি নিষেধাজ্ঞা মানছেন না সাধারণ জনগণ। এতে মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়তে পারে জেলার মানুষ। জেলার প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলের হাট-বাজারগুলোতে সকাল বিকাল জমছে জনসমাগম। এ ঘটনায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

স্থানীয় প্রশাসন নিষেধাজ্ঞা জারি, জনসচেতনতা, জরিমানা করার পরও জনসাধারণরা সচেতন হচ্ছেন না। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলার প্রত্যেক উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলগুলোর হাট-বাজারগুলোতে সকাল বিকাল জমছে জনসমাগম।

জেলার কচুয়া উপজেলার সাপ্তাহিক হাট প্রতি শনি ও মঙ্গলবার। সেই ধারাবাহিকতায় গত শনিবারও হাট বসানো হয় কচুয়া পৌর বাজারে।

জেলার মতলব দক্ষিণ উপজেলার নারায়ণপুর বাজারেও গতকাল (২৯মার্চ) রোববার সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সাপ্তাহিক হাট বসানোর অভিযোগ উঠেছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সকল হাট ও জনসমাগম নিষেধ থাকলেও নারায়ণপুর বাজারে আগের মতোই বসানো হয়েছে সাপ্তাহিক হাট। কেনাকাটায় উপচে পড়া ভীড় ছিল ক্রেতাদের। সামজিক দূরত্ব বজায় ছিল না কারোই। এ ঘটনায় আতঙ্কে আছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, গতকাল রোববার সাপ্তাহিক হাটের দিন বিকেল ৪ টায় নারায়ণপুর বাজারে লোকে লোকারণ্য ছিল। ব্যবসায়ীরা হরেক রকম পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছিলেন। আর ক্রেতাদেরও ছিল উপচে পড়া ভীড়। দেখে যে কেউ ভাবতে পারে এখানে করোনাভাইরাসের কোন বালাই নেই। গা ঘেঁষাঘেঁষি করে সদাই কেনার জন্য ব্যস্ত মানুষ। বাজারের গলিগুলোতে ছিল মানুষের ঠাসাঠাসি।

কালিকাপুর এলাকার নুরুল ইসলাম নামে এক ক্রেতা এ প্রতিনিধিকে বলেন, বাজার সদাই না করলে খামু কি ? আমাগো তো এক মাসের সদাই কেনার তওফিক নাই। দিন আনি দিন খাই।

উপজেলা প্রশাসন থেকে হাট বসানো নিষেধ করে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও বাজার কমিটিকে বলা হলেও সে বিষয়ে কার্যকর কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন।

তবে বাজার খাজনা আদায়ের জন্যই সুবিধাভোগীরা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জেলার বিভিন্ন উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে সাপ্তাহিক হাট বসানো অব্যাহত রেখেছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। কারণ সাপ্তাহিক হাটের দিন বিপুল পরিমান টাকা কালেকশন হয় এ বাজার থেকে। এর সাথে বাজার কমিটি, স্থানীয় প্রভাবশালীরা জড়িত রয়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন স্কুল শিক্ষক বলেন, সারা পৃথিবী যখন করোনাভাইরাসে লন্ডভন্ড, আমাদের দেশের মানুষরা টোল (খাজনা) আদায়ের জন্য হাট বসায়।

মতলব দক্ষিণ থানার ওসি স্বপন কুমার আইচ বলেন, আমাদেরকে উপজেলা প্রশাসন থেকে নির্দেশ দিলে আমরা পুলিশ পাঠিয়ে হাট বন্ধ করে দেব।

জেলার মতলব দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমিদা হক বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, সকালে আমরা হাট বন্ধ করার জন্য লোক পাঠিয়েছি। পরে শুনছি বিকেলেও হাট চলমান ছিল।

তিনি আরো বলেন, আমরা তো স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও বাজার কমিটিকে হাট বসাতে নিষেধ করেছি।

বাংলাদেশ জার্নাল/আর

  • সর্বশেষ
  • পঠিত