ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

জামালপুরে জমি নিয়ে বিরোধে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা

  জামালপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০১ এপ্রিল ২০২০, ১৯:০৭

জামালপুরে জমি নিয়ে বিরোধে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা

জামালপুরের মেলান্দহের তেলীপাড়া গ্রামে শফিউল আলম মুছা নামের এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে জমি নিয়ে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেফেলে রেখে যায় প্রতিপক্ষরা।

গুরুতর আহত মুছাকে প্রথমে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হলে তাকে সন্ধায় ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাচলাকালে কর্তব্যরত ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রের্ফাড করে। রাতে ঢাকায় নেয়ার পথে মারা যায় তিনি।

বুধবার (১লা এপ্রিল) সকালে এই ঘটনায় নিহতের ভাবি রুমানা ইসলাম বাদি হয়ে ১২ জন আসামী করে মেলান্দহ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

নিহতের পরিবার ও পুলিশ জানিয়েছে, মেলান্দহ উপজেলার তেলীপাড়া গ্রামের মৃত জামাল উদ্দিনের পুত্র মহিদুল ইসলামের সঙ্গে প্রতিবেশী দরবার মন্ডলের পুত্র আলাল উদ্দিন ও তার ভাইদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এই বিরোধের জের ধরে মঙ্গলবার দুপুরে দরবার মন্ডলের পুত্র আলাল উদ্দিন তার ভাইদের নিয়ে মহিদুলদের ক্রয়কৃত জমিতে জোরপুর্বক ঘর উঠাতে যায়।

খবর পেয়ে মহিদুল, শহিদুল, ওবায়দুল ও শফিউল তার পরিবারের অন্যান্য লোকজন নিয়ে বাঁধা দিতে যায়। এসময় প্রতিপক্ষ আলাল উদ্দিনের লোকজনরা তাদের উপর হামলা চালিয়ে মারপিট করে। হামলাকারীদের এলোপাতাড়ি মারপিটের সময় মহিদুলসহ অন্যান্যরা দৌড়ে বাড়িতে আসার সময় প্রতিপক্ষের লাঠির আঘাতে শফিউল আলম মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।

এসময় প্রতিপক্ষরা তাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর ভাবে আহত করে চলে যায়। পরে পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় গুরুতর আহত অবস্থায় শফিউলকে উদ্ধার করে প্রথমে জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল ভর্তি করে। সেখানের তার অবস্থার অবনতি তাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যকেলে নেয়ার পথে রাত সাড়ে ৮টার দিকে মারা যান শফিউল।

এই হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহতের ভাবী রুমানা ইসলাম বাদি হয়ে ছামিউল ইসলাম বেলু, তার পুত্র রমজান আলী, দরবার মন্ডলের পুত্র আলাল উদ্দিনসহ ১২ এবং অজ্ঞাত আরও ৫/৬ জনকে আসামী করে মেলান্দহ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মেলান্দহ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল ইসলাম খান হত্যাকান্ডের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। নিহতের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যার কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/ এমএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত