ঢাকা, রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

‘স্বাস্থ্যশিক্ষাকে পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৮ এপ্রিল ২০২০, ১৫:০৭  
আপডেট :
 ০৮ এপ্রিল ২০২০, ১৫:১৩

‘স্বাস্থ্যশিক্ষাকে পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’

‘করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ছে। এখন পর্যন্ত বিশ্বের ২০৬টি দেশ ও অঞ্চলে করোনায় ১৩ লাখ ৬২০৪৫ জন আক্রান্ত হয়ে ৭৬৩৪০ জন মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে। ডাক্তার, নার্সসহ এ পেশায় সম্পৃক্তরা ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছে। আবার অনেক দেশে ঝুঁকিভাতা দিয়েও তাদের পাওয়া পাওয়া যাচ্ছে না। এ অবস্থায় সকল মানুষকে সচেতন করতে পাঠ্যপুস্তকে স্বাস্থ্যবিষয়ক ৪০ শতাংশ শিক্ষা ৫ম থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতে অন্তর্ভুক্তকরণ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য ব্যাংক (ওয়ার্ল্ড হেলথ ব্যাংক)সহ বিভিন্ন ধরনের কমসূচি নেওয়া প্রয়োজন।‘

মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে ‘মুভমেন্ট ফর ওয়ার্ল্ড এডুকেশন রাইটস’ (এমডব্লিইআর) অনলাইনে 'স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে বিশ্বনেতৃবৃন্দের করণীয়' শীর্ষক এক আলোচনাসভার আয়োজন করে। সেখানে আলোচকরা এসব কথা বলেন।

এমডব্লিইআর’র আহ্বায়ক ফারুক আহমাদ আরিফের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন এমডব্লিইআরের যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এনায়েতুল্লাহ কৌশিক ও রায়হান ওয়াজেদ চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার মেসবাহ উল হক ও আরিফুল ইসলাম, স্থপতি মারুফ আহমেদ, ডা. লুৎফুর রহমান শাহীন ও জুনায়েদ আহমেদ, জীম মন্ডল, মালয়েশিয়া থেকে সাংবাদিক ওয়াহিদ সোহান, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে সাইফুল ইসলাম রনি, সৌদি আরব থেকে ইঞ্জিনিয়ার সাইদুল ইসলাম সুমন, কাতার থেকে হাসান বক্স, দক্ষিণ কোরিয়া থেকে দাস সজীব প্রমুখ।

ফারুক আহমাদ আরিফ বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বের স্বাস্থ্যসেবা খাত ভেঙে পড়েছে। এ অবস্থায় বিশ্বনেতাদের যৌথ সিদ্ধান্ত প্রয়োজন যেমন ১. ৫ম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত মানবজীবনের প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিষয়ক ৪০ শতাংশ জ্ঞান পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত ও বাধ্যতামূলক করা; ২. বিশ্ব স্বাস্থ্য ব্যাংক করা-যাতে বিশ্বের সকল মানুষকে ২০৪১ সালের মধ্যে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা যায়। ব্যাংকটির বিশ্বের সকল দেশে শাখা থাকবে। প্রত্যেক ব্যক্তি সেখানে অর্থ দিবে।

আরিফুল ইসলাম বলেন, করোনায় অনেক মানুষ শুধু পরীক্ষা-নিরীক্ষার অভাবে মৃত্যুবরণ করেছে তাই রোবোটিক্স সিস্টেম চালু করা ও টেলিমেডিসিন শক্তিশালী করা তবে মোবাইল চার্জ কম রাখতে হবে; পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্তির পাশাপাশি জনগণকে সম্পৃক্ত করা ও গবেষণায় বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে বিশ্বনেতাদের সজাগ হতে হবে।

এনায়েতুল্লাহ কৌশিক বলেন, আমরা ২০১৮ সালেই বলেছিলাম বিশ্বের সকল মানুষকে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দিতে যা করণীয় সরকারগুলোকে তা ভাবতে হবে। তিনি প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্কাউটদের মতো একটি করে টিম গঠনেরও গুরুত্ব দেন।

ডা. লুৎফুর রহমান শাহীন বলেন, ব্যক্তিগত ও সামাজিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় পাঠ্যক্রমে অবশ্যই নিয়ে আসা এবং বিশ্বনেতাদের স্বাস্থ্যখাতে অধিক বিনিয়োগ করা- কোন ধরনের সীমা না রেখে সকল দেশেই এটি করতে হবে।

ডা. জুনায়েদ আহমেদ বলেন, এটা হয়তো কঠিন তবে প্রয়োজন মাফিক প্রাথমিক স্বাস্থ্যবিষয়ক জ্ঞান পাঠ্যক্রমে নিয়ে আসতে হবে। বিশ্বের সকল দেশে স্বাস্থ্যশিক্ষাকে জনতার শিক্ষায় পরিণত করতে হবে।

ওয়াহিদ সোহান বলেন, এখন রোগগুলো প্রায় একই ধরনের হচ্ছে। তাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে আরো শক্তিশালী করতে হবে। তাদের বাণীগুলো প্রান্তিক মানুষ পর্যন্ত পৌঁছাতে হবে। এতে বিশ্বনেতাদের ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে শুধু মানুষ নয়, প্রতিটি প্রাণিকে বাঁচাতে এগিয়ে আসতে হবে।

সাইফুল ইসলাম রনি বলেন, সকল চিকিৎসাসেবা দানকারী সংস্থাকে একই কেন্দ্রীভূত করা এখন সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে। পাশাপাশি যৌথ শিক্ষাক্রমে স্বাস্থ্যসেবাকে আনতে হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত