পায়রা তাপবিদুৎ কেন্দ্রের উন্নয়ন কাজ বন্ধ ঘোষণা

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পায়রা তাপ বিদুৎকেন্দ্রে বাংলাদেশি শ্রমিক অভ্যন্তরে প্রবেশ বন্ধ ঘোষণা করেছে তাপ বিদুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ। বুধবার থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত সব উন্নয়ন কাজ বন্ধ থাকবে। তবে ৬৬০ মেগাওয়াট প্রথম ইউনিটের উৎপাদিত বিদ্যুৎ বাণিজ্যিকভাবে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত রাখার কাজ চালু থাকবে বলে জানা গেছে।

করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করার পর বিসিপিসিএলের কর্মকর্তারা এক সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।

নতুন গন্তব্যে এমভি আবদুল্লাহ

বিসিপিসিএলের সহকারি ব্যবস্থাপক শাহমনি জিকো জানান, দেশের সর্ববৃহৎ পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র দেড় হাজার বাংলাদেশি এবং ১ হাজার ২০০ চীনা নাগরিক কর্মরত। তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজে যুক্ত আরও ২০০-৩০০ বাংলাদেশি শ্রমিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের বাইরে বসবাস করছেন। এরা সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশে স্বাভাবিক কাজকর্ম করে যাচ্ছেন। সব শ্রমিক, কর্মচারী, প্রকৌশলী সুস্থ আছেন। তারা সবাই তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের নিজস্ব চিকিৎসা দলের সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। পটুয়াখালীর সিভিল সার্জন এখানকার পুরো স্বাস্থ্যগত প্রক্রিয়া তদারকি করছেন।

বিসিপিসিএলের নির্বাহী প্রকৌশলী রেজওয়ান ইকবাল খান সাংবাদিকদের বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে সব উন্নয়নকাজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। তবে প্রথম ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাণিজ্যিকভাবে জাতীয় গ্রিডে সঞ্চালন করার কাজ সচল থাকবে। পায়রা বিদুৎকেন্দ্র থেকে এখন প্রতিদিন প্রায় ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে।

তিনি বলেন, দেশীয় সব শ্রমিকের মার্চ মাসের বেতন-ভাতা পরিশোধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বিদ্যুৎকেন্দ্র ভেতর থেকে বের হতে কিংবা ঢুকতে পারবেন না। ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত এমন সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।

সভায় বিসিপিসিএলের নির্বাহী প্রকৌশলী রেজওয়ান ইকবাল খান, চীনা প্রতিষ্ঠান চায়না ন্যাশনাল অ্যানার্জি ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডের (সিইসিসি) প্রকল্প ব্যবস্থাপক হান লিগুয়ে, নম্বর ওয়ান ইলেকট্রিক পাওয়ার কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডের (এনইপিসি) উপব্যবস্থাপক লিউ সুয়ে, বিসিপিসিএলের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মিথুন মাহালী, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী জর্জিস তালুকদার উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/আর