ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

ইফতারি বিক্রির সিদ্ধান্তে বাড়ছে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি

  কিরণ শেখ

প্রকাশ : ০২ মে ২০২০, ১৭:১৪

ইফতারি বিক্রির সিদ্ধান্তে বাড়ছে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি
ফাইল ছবি

করোনাভাইরাসের প্রকোপ রোধে সরকারি নির্দেশে রাজধানীসহ পুরো দেশ লকডাউন রয়েছে। তবে এ আপদকালীন সময়ে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে গত ২৮ এপ্রিল থেকে রাজধানীর প্রতিষ্ঠিত রেস্তোরাঁ বা রেষ্টুরেন্টে ইফতার তৈরি এবং বিক্রি করা হচ্ছে।

তবে হোটেলগুলোতে ইফতার বিক্রির অনুমতি পাওয়ার পরে রমজানে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে ইফতার সামগ্রী বিক্রি করতে বলা হলেও তা প্রকৃত পক্ষ হচ্ছে না। একারণে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে।

গত ২৭ এপ্রিল প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২৮ এপ্রিল থেকে হোটেল এবং রেস্তোরাঁয় ইফতারি বিক্রি করা যাবে। আর প্রতিষ্ঠিত রেস্তোরাঁ বা রেষ্টুরেন্টে ইফতার তৈরি এবং বিক্রি করতে পারবে। তবে ফুটপাতে কোনো ধরণের ইফতার বিক্রি করা যাবে না।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে আরো জানানো হয়, ইফতার সামগ্রী বিক্রির সময় ক্রেতা-বিক্রেতা সবাইকে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। কেউ রেষ্টুরেন্টে বসে ইফতারি খেতে পারবে না। কিনে সেখান থেকে চলে আসতে হবে।

ইফতারের বাজার ঘুরে সরেজমিনে দেখা গেছে, হোটেলগুলোতে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে ইফতার সামগ্রী বিক্রি করা হচ্ছে না। আর করোনার সময়ে হোটেলের কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদেরকে যে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে ইফতারি বিক্রি করতে বলা হয়েছে, তা হোটেলের কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদেরকে পালন করতে দেখা যায়নি।

এবিষয়ে জানতে চাইলে কারওয়ান বাজারের হোটেল ব্যবসায়ী মিজান হোসেন এই প্রতিবেদককে বলেন, আমরা শুধু মুখে মাস্ক পড়ে হোটেল চালাচ্ছি। এতে এখন পর্যনন্ত কোন সমস্যা হয়নি।

এদিকে রেস্তোরাঁ খোলায় কারণে এর সুবিধা পাচ্ছে শ্রমিকরা। কারণ শ্রমিকদের খাওয়ার অন্য কোন জায়গা নেই। তারা রেষ্টুরেন্টেই সকাল, দুপুর এবং রাতে খাবার খান। আর এর বাইরে সুবিধা পাচ্ছেন রেষ্টুরেন্টের মালিকরা এবং হোটেলের শ্রমিকরা।

জানতে চাইলে রফিক নামের এক শ্রমিক এই প্রতিবেদক বলেন, রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকলে আমাদের সমস্যা হয়। তবে এখন হোটেল খোলা থাকার কারণে কোন সমস্যা হচ্ছে না।

প্রতিটি হোটেল মালিক দুই থেকে তিন জন কারিগর নিয়ে ইফতারির দোকান চালু করেছে। আর তারা ইফতারির বিভিন্ন আইটেম তৈরী করছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে, ছোলা ভুনা, বেগুনি, নিমকি, পেঁয়াজু, বুরিনদা, ডিম চপ, আলুর চপ এবং জিলাপীসহ নানা বাহারী খাবার তৈরী করছে। এছাড়া সকালের নাস্তা, দুপুর এবং রাতের খাবারও হোটেলগুলো বিক্রি করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির হিসাব অনুযায়ী, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় সাড়ে ৪ হাজার এবং উত্তর সিটি করপোরেশনে সাড়ে ৩ হাজার হোটেল ও রেস্তোরাঁ রয়েছে। এর মাধ্যমে প্রায় আড়াই লাখ লোকের কর্মসংস্থান হচ্ছে।

কেএস/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত